এস. এন. লক্ষ্মী

অভিনেত্রী

সেনালকুড়ি নারায়ণ লক্ষ্মী (১৯২৭ - ২০শে ফেব্রুয়ারি ২০১২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন। তাঁকে প্রায় সকল চলচ্চিত্রে মা বা ঠাকুরমার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। তিনি রাজ্য সরকারের কালাইমামনি পুরস্কার এবং কালাইসেলবম পুরস্কার পেয়েছেন। লক্ষ্মী তাঁর অভিনয় জীবনে প্রায় ১,৫০০এরও বেশি চলচ্চিত্র এবং ৬,০০০-এর মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন।[]

এস. এন. লক্ষ্মী
জন্ম
সেনালকুড়ি নারায়ণ লক্ষ্মী

১৯২৭
মৃত্যু২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২(2012-02-20) (বয়স ৮৪–৮৫)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৫৫–২০১২

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

সেনালকুড়ি নারায়ণ লক্ষ্মী ১৯২৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সীর (বর্তমানে তামিল নাড়ু) বিরুধুনগরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি তাঁর বাবা মায়ের ত্রয়োদশ সন্তান ছিলেন। তাঁর বাবার নাম নারায়ণ থেবার। তিনি মাত্র ১১ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে চলে যান; কারণ তাঁর ছয় বড় ভাই তাঁর যত্ন নিতেন না। তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পরে তাঁর পরিবার তাঁদের গ্রাম সেনালকুড়ি থেকে বিরুধুনগরে চলে গিয়েছিল এবং তাঁর পরিবারের খরচ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর মা একটি ছোট হোটেল এবং মন্দিরে কাজ করেছিলেন। তাঁর প্রতিবেশী (যিনি একজন নৃত্যশিল্পী) লক্ষ্মীকে একটি নাটকের দলে যোগ দিতে সাহায্য করেছিলেন এবং তিনি উক্ত দলের সাথে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করতেন।[] উক্ত দলের অভিনয়শিল্পীরা রাজা মান্নারগুড়ির কাছে পৌঁছে তাঁকে একটি পরিবারের কাছে ছেড়ে চলে যান, যাঁরা তাঁকে মাদ্রাজে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। যখন তিনি একা বসে বসে ভাবছিলেন, তখন একটি লরি চালকের স্ত্রী তাঁকে সহায়তা করতে এসেছিলেন, যিনি তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে জেমিনি স্টুডিওতে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন; যেখানে অসহায় মানুষেরা সাহায্য নিয়ে থাকে। অতঃপর নিজের পরিবারকে খুঁজে পেতে তাঁর প্রায় আট বছর সময় লেগেছিল।

এরপরই তিনি স্টুডিও কর্মীদের সাথে প্রতি মাসে ১৫০ টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন এবং তারপরে আরও চার যুবতী মেয়েকে নিয়ে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছিলেন; সেখানে তাঁরা রান্নার কাজের জন্য একজন রাঁধুনি রেখেছিলেন। চলচ্চিত্রের জীবন শুরু হওয়ার পূর্বে লক্ষ্মী বহু বছর ধরে নাটকে কাজ করেছেন। তিনি সে সময় প্রায় ২,০০০-এর মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

লক্ষ্মী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, "বিবাহ তাঁর ভালো লাগে না"। তাঁর ভাইদের নাতি নাতনি এবং তাদের বাচ্চারা নিয়মিত তাঁর কাছে আসে।[] ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে লক্ষ্মী গাড়ি চালিয়ে শহরে ঘোরাফেরা করতেন, কিন্তু তাঁর পা ভেঙে যাওয়ায় তিনি গাড়ি চালানো ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রতি রবিবার সকালে তিনি সাই কৃপা নামে চেন্নাইয়ের একটি দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্রে যান এবং সেখানে কর্মীদের সহায়তা করেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Veteran Tamil actor S N Lakshmi dies at 85"The Times of India। TNN। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৪ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  2. "Friday Review Chennai : Courage goaded her on ..."। The Hindu। ২৮ মে ২০১০। ৩০ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা