এসেকুইবো নদী
এসেকুইবো নদী[২][৩] হল গায়ানার বৃহত্তম নদী এবং ওরিনোকো ও আমাজনের মধ্যবর্তী অঞ্চলের বৃহত্তম নদী। নদীটি ব্রাজিল-গিয়ানা সীমান্তের কাছে আকরাই পর্বতমালা থেকে উত্তরে ১,০১৪ কিলোমিটার (৬৩০ মাইল) বন ও সাভানার মধ্য দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবাহিত হয়। মোট ১,৫০,৭৬৯ বর্গ কিলোমিটার (৫৮,২১২ বর্গ মাইল) নিষ্কাশন অববাহিকা সহ নদীটি প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪,৫৩১–৫,৬৫০ (১,৬০,০০০–১,৯৯,৫০০ ঘন ফু/সে) ঘনমিটার জল নিষ্কাশন করে।
এসেকুইবো নদী Río Esequibo | |
---|---|
অবস্থান | |
রাষ্ট্র | গিয়ানা ও ভেনিজুয়েলা |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
মোহনা | আটলান্টিক মহাসাগর |
• স্থানাঙ্ক | ৭°০২′ উত্তর ৫৮°২৭′ পশ্চিম / ৭.০৩৩° উত্তর ৫৮.৪৫০° পশ্চিম |
• উচ্চতা | ০ ফু (০ মি) |
দৈর্ঘ্য | ১,০১৪ কিমি (৬৩০ মা) |
অববাহিকার আকার | ১,৫০,৭৬৯ কিমি২ (৫৮,২১২ মা২) |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | মোহনা,
এসেকুইবো, কুউনি, মাজারুনী |
• গড় | ৫,৬৫০ মি৩/সে (২,০০,০০০ ঘনফুট/সে)[১] |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• বামে | রুপুনুনী, পোতারো, মাজারুনী, চুয়ুনী |
নদীর নিকটবর্তী অঞ্চল ভেনেজুয়েলা ও গায়ানার মধ্যে একটি বিতর্কিত অঞ্চল।[৪]
ভূগোল
সম্পাদনানদীটি গুয়ানীয় আর্দ্র বন ইকোরিজিয়নের মধ্য দিয়ে চলে। এসেকুইবোর পথ ধরে অনেক র্যাপিড ও জলপ্রপাত (যেমন, পোতারো নদীর উপর কাইতিউর জলপ্রপাত) রয়েছে এবং এর ২০-কিলোমিটার (১২ মাইল) প্রশস্ত মোহনায় অসংখ্য ছোট দ্বীপ রয়েছে। এটি গায়ানার রাজধানী শহর জর্জটাউন থেকে ২১ কিলোমিটার (১৩ মাইল) দূরে আটলান্টিকে প্রবেশ করে। নদীতে মুরেজ জলপ্রপাত, পত জলপ্রপাত, কুমাকা জলপ্রপাত[৫] ও ওয়ারাপুতা জলপ্রপাত রয়েছে।[৬]
প্রাণীজগত
সম্পাদনানদীটির একটি খুব সমৃদ্ধ প্রাণীজগৎ রয়েছে। এসেকুইবো অববাহিকা থেকে ৩০০ টিরও বেশি মাছের প্রজাতির সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০ টি স্থানীয় প্রাণী রয়েছে।[৭] এটি প্রকৃত বৈচিত্র্যের একটি অবমূল্যায়ন হতে পারে, কারণ অববাহিকার অংশসমূহ মানব জগতের জগত নিকট খুব কম পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ মাজারুনী নদীর সমীক্ষায় ৩৬-৩৯ টি প্রজাতি পাওয়া গেছে (শ্রেণিবিন্যাসের কারণে সংখ্যার তারতম্য), যার মধ্যে ১৩-২৫% এর বর্ণনা ২০১৩ সাল পর্যন্ত করা হয়নি।[৮] অন্তত ২৪ টি প্রজাতির মাছ শুধুমাত্র মাজারুনী নদীতেই সীমাবদ্ধ।[৮]
বন্যার সময় ব্র্যাঙ্কো নদীর প্রধান জল (আমাজন অববাহিকার একটি অংশ) ও এসেকুইবো সংযুক্ত থাকে, যার ফলে দুটি নদী ব্যবস্থার মধ্যে মাছের মতো জলজ প্রাণীর মধ্যে বিনিময়ের একটি স্তর তৈরি হয়।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://www.vliz.be/imisdocs/publications/ocrd/116980.pdf&ved=2ahUKEwjL7o762b3zAhWZ_rsIHZEYCg0QFnoECBcQAQ&usg=AOvVaw1MaIHXqlbG5XSssa_qSOsm।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ Navarrete, Martín Fernández de (১৮২৯)। Colección de los viages y descubrimientos que hicieron por mar los españoles desde fines del siglo XV: con varios documentos inéditos concernientes á la historia de la marina castellana y de los establecimientos españoles en Indias (স্পেনীয় ভাষায়)। Imprenta real।
- ↑ Rojas, Juan Fernández de (১৮২৮)। El Páxaro en La liga: epistola gratulatoria al traductor de La liga de la teologia moderna con la filosofia (ফরাসি ভাষায়)। en la oficina de Don Benito Cano।
- ↑ Ince, Basil। "The Venezuela-Guyana Boundary Dispute in the United Nations"। Caribbean Studies।
- ↑ "Archived copy"। ২০১২-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "Ornamental Garden Plants of the Guianas" (পিডিএফ)। naturalhistory.si.edu। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ Hales, J., and P. Petry: Essequibo. Freshwater Ecoregions of the World. Retrieved 24 May 2014.
- ↑ ক খ Alofs; Liverpool; Taphorn; Bernard; and Lopez-Fernandez (২০১৩)। "Mind the (information) gap: the importance of exploration and discovery for assessing conservation priorities for freshwater fish"। Diversity and Distributions। 20 (1): 1–7। ডিওআই:10.1111/ddi.12127 ।
- ↑ Quinn, J.A.; S.L. Woodward, সম্পাদকগণ (২০১৫)। Earth's Landscape: An Encyclopedia of the World's Geographic Features। 1। পৃষ্ঠা 142। আইএসবিএন 978-1-61069-445-2।