এল. বিজয়লক্ষ্মী

ভারতীয় অভিনেত্রী

এল বিজয়লক্ষ্মী (তামিল: தமிழ்: எல்। விஜயலட்சுமி) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী, যিনি ১৯৬০-এর দশকে এবং ১৯৭০-এর দশকে বেশ জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[১] তিনি মালয়ালম, তামিল, কন্নড়, তেলুগু এবং হিন্দি ভাষার বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[২][৩] তার প্রথম চলচ্চিত্রটি ছিল মরুমকল; যেটি ১৯৫২ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

এল. বিজয়লক্ষ্মী
எல். விஜயலட்சுமி
জন্ম
বিজয়লক্ষ্মী লক্ষ্মণন

অন্যান্য নামএল বিজয়লক্ষ্মী, বিজয়লক্ষ্মী, বিজি, বিজয়লক্ষ্মী দত্ত
পেশাঅভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী
কর্মজীবন১৯৫২-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীসুরজিৎ কুমার দে দত্ত (বি. ১৯৬৯)
সন্তানরাজ কুমার দে দত্ত
পিতা-মাতালক্ষ্মণন (পিতা)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

এল. বিজয়লক্ষ্মী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের তিরুনেলবেলির এরনাকুলামে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তিনি তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তারপরে তাঁর পরিবারের সাথে পুনেতে চলে যায়। সেখানে থাকাকালীন ছয় বছরে, বিজয়লক্ষ্মী দক্ষিণ ভারতীয় সংস্থায় বৈজয়ন্তীমালা, ললিতা এবং পদ্মিনীর নৃত্য দেখে বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং তাঁর বাড়ির পিছনের উঠোনে নাচের অনুশীলন শুরু করেছিলেন। [৪] বিজয়লক্ষ্মীর বাবা তার নাচের প্রতিভা লক্ষ্য করেছিলেন এবং একজন পরামর্শদাতা হিসাবে তাকে সুকুমারা পিলাইয়ের কাছে নৃত্য শিক্ষা লাভ করতে প্রেরণ করেছিলেন।

বিজয়লক্ষ্মীর অন্ধ্র প্রদেশের একটি মন্দিরে মাত্র নয় বছর বয়সে প্রথম অভিনয় শুরু করেছিলেন। অতঃপর বিজয়লক্ষ্মীর উন্নত নাচ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হওয়ায় তারা পুনে থেকে মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) চলে আসেন, যেখানে তিনি ভরতনাট্যম নৃত্যের শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তারা দক্ষিণ ভারতের মাইলাপুরের মাদা স্ট্রিটে বসবাস করতেন এবং সেখানে বিজালক্ষ্মী কমলার পরামর্শদাতা ছিলেন। তারপরে, দুর্ঘটনাক্রমে কপালিশ্বরর মন্দিরের নিকটে হাঁটতে গিয়ে বিজয়লক্ষ্মী কে. জে. সরসার সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি তাকে নাচের শিক্ষক বজুভুর রামাইয়া পিলাইয়ের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ইভি সরোজাও ছিলেন বজুভুর রামাইয়ার শিক্ষার্থী।[৪] দশ মাস পরে, ১৯৫৫ সালের ২৮শে অক্টোবর তারিখে বিজয়লক্ষ্মীর সাংস্কৃতিক সংগঠন রসিকা রাজ্যসভায় আত্মপ্রকাশ ঘটে।

বিজয়লক্ষ্মী কোনও ধনী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। তিন ঘন্টার নৃত্য পরিবেশনের জন্য তাঁর কেবল একটি পোশাক ছিল। তাঁর পরিবার দর্শকদের আপ্যায়ন হিসেবে চায়ের চেয়ে বেশি কিছু প্রস্তাব করতে পারেনি এবং দর্শকদের জন্য কোনও মুদ্রিত আমন্ত্রণপত্রও তৈরি করতে পারেনি। এই অসুবিধাগুলো থাকা সত্ত্বেও, তারা তাদের আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠানটি ভালভাবে সম্পন্ন করতে পেড়েছিল। বিজয়লক্ষ্মীকে ক্লাসিকাল শিল্পী ই. কৃষ্ণা আইয়ার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন; যেখানে চলচ্চিত্রকার ভি. শান্তরাম এবং অভিনয়শিল্পী কমলা লক্ষ্মণনের মতো ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

তার আত্মপ্রকাশের পরে বিজয়লক্ষ্মীকে চারটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের (সভা) সাথে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে, তার শিক্ষক পরামর্শ দিয়েছেন যে, তিনি টি. কে. স্বামীনাথ পিল্লির সাথে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার নাচের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

বিয়ের পর এল. বিজয়লক্ষ্মী বারাণসীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক এবং মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন। সময়ের সাথে সাথে তিনি ম্যানিলা থেকে ভার্জিনিয়ার ব্ল্যাকসবার্গে চলে আসেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. L. Vijayalakshmi Internet Movie Database website.
  2. L Vijayalakshmi Malayalachalachithram.com Accessed 29 March 2015.
  3. Vijayalakshmi Malayalasangeetham.info 26 January 2009 Accessed 29 March 2015.
  4. Krishnamachari S. Interview with L Vijayalakshmi "The Hindu" 5 February 2015. Accessed 18 December 2015.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা