এরিক আক্সেল কার্লফেল্ট
এরিক আক্সেল কার্লফেল্ট (সুইডীয়: Erik Axel Karlfeldt; ১৮৬৪-১৯৩১) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুয়েডীয় কবি। তিনি সুইডেনের দালার্না প্রদেশের ফোল্কল্যার্না জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে খনন ও কৃষিকাজে জড়িত ছিল। তিনি উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে সাংবাদিক, শিক্ষক, একাধিক রাজকীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক হিসেবে কাজ করেন। ১৯০৪ সালে তিনি সুয়েডীয় অ্যাকাডেমির সদস্য ও ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী সচিবের পদ লাভ করেন।
এরিক আক্সেল কার্লফেল্ট | |
---|---|
জন্ম | এরিক আক্সেল এরিকসন ২০ জুলাই ১৮৬৪ কার্লবো, সুইডেন |
মৃত্যু | ৮ এপ্রিল ১৯৩১ স্টকহোম, সুইডেন | (বয়স ৬৬)
পেশা | কবি |
জাতীয়তা | সুয়েডীয় |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার |
Member of the Swedish Academy (Seat No. 11) | |
কাজের মেয়াদ 20 December 1904 – 8 April 1931 | |
পূর্বসূরী | Clas Theodor Odhner |
উত্তরসূরী | Torsten Fogelqvist |
Permament Secretary of the Swedish Academy | |
কাজের মেয়াদ February 1913 – April 1931 | |
পূর্বসূরী | Hans Hildebrand |
উত্তরসূরী | Per Hallström |
কার্লফেল্টের কাব্যের বিষয়বস্তু ছিল তাঁর জন্মস্থানের গ্রামীণ কৃষকের জীবন ও প্রকৃতির বর্ণনা। তাঁর কাব্যলিখনশৈলী হাস্যরস ও আধ্যাত্মিক গভীরতা দ্বারা চরিত্রায়িত। তিনি বিভিন্ন রূপের কবিতা লিখেছেন এবং ছন্দের মাত্রা ও প্রাচীন সুয়েডীয় ভাষার ব্যবহারে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন।[১] তাঁর লেখা বিখ্যাত কাব্যের মধ্যে আছে ১৮৯৫ সালে প্রকাশিত ভিলদমার্কস অখ শার্লেকসভিসোর (Vildmarks och Kärleksvisor, অর্থাৎ "বন্যপ্রকৃতি ও প্রেমের গাথা"), ১৮৯৮ সালে প্রকাশিত ফ্রিদোলিনস ভিসোর (Fridolins Visor, "ফ্রিদোলিনের গাথা") ও ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হ্যোস্টহোর্ন (Hösthorn, "অন্নপূর্ণার ঝাঁপি")। তাঁর কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনূদিত হয়েছে যেগুলি ১৯৩৮ সালে আর্কেডিয়া বোরেয়ালিস নামক সংকলন গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।
কার্লফেল্টকে ১৯১২ সালেই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হলেও তিনি সুয়েডীয় অ্যাকাডেমির কর্মচারী ছিলেন বলে পুরস্কারটি আজীবন প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৩১ সালে তাঁকে মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Erik Axel Karlfeldt"। nobelprize.org। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২৩।