এরিকা বুইয়ার

মার্কিন পর্নোগ্রাফিক অভিনেত্রী

এরিকা বুইয়ার (আইনি নামঃ আমান্ডা মার্গারেট জেনসেন (née Gantt) (জন্মঃ ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৫৬ সাল, আন্দালুসিয়া, আলবামা। মৃত্যুঃ ৩১শে ডিসেম্বর, ২০০৯, ফ্লোরিডা[১] ) একজন আমেরিকান পর্নোগ্রাফি অভিনেত্রী। AVN Hall of Fame এর একজন সদস্য।[২] তিনি XRCO Hall of Fame[৩] এর সদস্যও ছিলেন।

এরিকা বুইয়ার
এরিকা বুইয়ার, ১৯৯১ সাল 
জন্ম
আমান্ডা মারগারেট গ্যান্ট

আন্দালুসিয়া, আলবামা, যুক্তরাষ্ট্র.[১]
মৃত্যু৩১ ডিসেম্বর ২০০৯(2009-12-31) (বয়স ৫৩)
পানামা সিটি বিচ, ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুর কারণদূর্ঘটনা
অন্যান্য নামক্যারোল ক্রিস্টি, এরিকা বি, জয়ানি ম্যাকরে
উচ্চতা৫ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৬৫ মিটার)
দাম্পত্য সঙ্গীর‍্যান্ড গাওথেয়ার (১৯৮০ এর দশক, তালাক্ব),
ডেরিক জেনসেন (অজনা সময় থেকে ২০০৯ পর্যন্ত)
প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্রের
সংখ্যা
৩৬৬টি (সংকলনসহ) 

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

এরিকার বাবার নাম জোসেফ ব্রেকেনরিজ গ্র্যান্ট (Joe Breck Gantt)। তিনি আলবামার কভিংটন কাউন্টিতে বসবাস করতেন। ১৯৬৫ সালের মে মাসে নাগরিক অধিকার কর্মী ভাইওলা লিউজোর হত্যাকান্ডের ভুল বিচারে তাকে এটর্নী জেনারেল থেকে প্রসিকিউটর করা হয়।[৪][৫]

কর্মজীবন সম্পাদনা

পর্নোগ্রাফি অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশের পূর্বে এরিকা বুইয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে Mitchell brothers O'Farrell Theater কাজ করতেন। তিনি সেখানে নাচ এবং যৌন দৃশ্য মঞ্চায়নে অভিনয় করতেন।[৬] পর্নো ক্যারিয়ার শুরু করার পর তাকে ১৮৪ টি ফিচারে দেখা গিয়েছে। এরিকা পর্নো ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বিয়ন্ড ডি সাদের সাথে। তিনি XXX ডার্ক চেম্বারে মেরিলিন চেম্বারের সাথে কাজ করেন। পর্নোগ্রাফি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি কোকো বিচে তার নিজস্ব ম্যাসেজ থেরাপি ব্যবসা শুরু করেন। একই সাথে তিনি বিদূষক এবং মুখ চিত্রশিল্পী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবী কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯৮০ এর দশকে তিনি র‍্যান্ড গাওথেয়ার কে বিয়ে করেছিলেন, পর্নোগ্রাফিতে যিনি অস্টিন মুর নামে সমধিক পরিচিত। এই বিবাহ ছিল স্বল্পস্থায়ী।[৭] তার দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন সাবেক NFL প্লেয়ার, তার নাম ডেরিক জেনসেন। তাদের এক পুত্র সন্তান ছিল, নাম ডেভিস। ১২ বছর বয়সে ডেভিস মারা যায়।[৮] বুইয়ার সম্পর্কে যারা বর্ণনা করেন, তারা জানেন যে বুইয়ার একজন লেসবিয়ান ও উভকামী। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিনা হার্টলির সাথে তার সম্পর্ককে পর্নো ইন্ডাস্ট্রিতে সত্য লেসবিয়ান দম্পতি হিসেবে দেখা হত। কিন্তু তখনই এরিকা একজন পুরুষকে বিয়ে করাই তাকে উভকামী বলা হতে শুরু হলো। [৯] ১৯৮৯ সালে হাস্টলার ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাতকারে এরিকা বলেন যে তিনি একচেটিয়াভাবে একজন লেসবিয়ান। শুধুমাত্র টাকার জন্য তিনি ছেলে-মেয়ে পর্নোতে অভিনয় করতেন।[১০]

মৃত্যু সম্পাদনা

২০০৯ সালে ৫৩ বছর বয়সে তিনি একটি পথচারী দুর্ঘটনায় মারা যান।[১১] তিনি দুইবার বিয়ে করেছিলেন এবং তার একটি পুত্র সন্তানও ছিলো। [১২]

পুরস্কার সম্পাদনা

  • ১৯৮৫ XRCO পুরস্কারঃ Lascivious Lesbian - Body Girls এর জন্য (রবিন এভারেটের সাথে)।[১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Amanda Jensen Obituary in Panama City News Herald"www.legacy.com। জানুয়ারি ৭, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৪, ২০১০ 
  2. "AVN Hall of Fame"। Adult Video News। এপ্রিল ১৫, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪ 
  3. "XRCO Hall of Fame"। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪ 
  4. "TIME 14."। ৬ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  5. From Selma to Sorrow: The Life and Death of Viola Liuzzo by Mary Stanton.
  6. "Porn Legends Erica's Body & Soul"। আগস্ট ৮, ২০০৪। ডিসেম্বর ৮, ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৩, ২০১৪ 
  7. Chicago Lewis, Amanda। "Pam and Tommy: The Untold Story of the World's Most Infamous Sex Tape"Rolling Stone। সংগ্রহের তারিখ মে ১, ২০১৫ 
  8. "The Adult Industry Remembers Erica Boyer"AVN। জানুয়ারি ১৪, ২০১০। মার্চ ১৬, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৯, ২০১৭ 
  9. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  10. Erica Boyer .
  11. S. Brady Calhoun (জানুয়ারি ১, ২০১০)। "Pedestrian killed on New Year's Eve"Panama City News Herald। ১৬ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১২, ২০১০ 
  12. Foster, Jessica (জানুয়ারি ১, ২০১০)। "Pedestrian Fatality in Panama City Beach"। WMBB.com News। জানুয়ারি ৩, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১০ 
  13. MayorDefacto। "Transcript of the video A Night of Legends: First Annual XRCO Adult Film Awards"। আগস্ট ১২, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৯, ২০০৮