এমভি কোকো-৪
এমভি কোকো-৪ একটি লঞ্চ ছিল যা ২৭ নভেম্বর ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ভোলা দ্বীপের নিকটে এসে ডুবে যায়,এতে পাটাতনে অবস্থান করা এক হাজার লোকের মধ্যে কমপক্ষে ৫৬জন লোক প্রাণ হারায়, একই সাথে কয়েক ডজন লোকের খবর আর জানা যায়নি।[১]
![]() ভোলা দ্বীপ (বাংলাদেশ) | |
তারিখ | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ |
---|---|
সময় | মধ্যরাত |
অবস্থান | ভোলা, বাংলাদেশ |
কারণ | একদিকে হেলে পরে |
অংশগ্রহণকারী | ১ হাজার যাত্রী এবং কর্মী |
নিহত | ৫৬ জন |
ইতিহাস
সম্পাদনাফেরীটি ২৭ নভেম্বর ২০০৯ সালে ভোলা দ্বীপের কাছেই এসে ডুবে যায়। ফেরীটি ঈদের আগে বাড়ি ফেরার জন্য লোকে লোকারণ্য ছিল।[২] ২৯ নভেম্বর, উদ্ধার জাহাজ এম. ভি. হামজা লঞ্চটিকে উত্তোলন করে, যাতে উদ্ধার কর্মীরা জাহাজের নিম্নাংশের অতিরিক্ত জায়গায় প্রবেশ করতে পারে।[৩] এই উদ্ধার কাজে, দেরি হওয়ার জন্য উদ্ধার কর্মীরা ক্রুদ্ধ জনতার রোষানলে পরে। বেঁচে যাওয়া একজনের মতে, "ফেরীটি শুক্রবার মধ্যরাতে ডুবে যায়, কিন্তু উদ্ধার কর্মীরা সকালের আগে এসে পৌঁছায়নি।" ফেরীটি ডুবে যাওয়ার সঠিক কারণ জানা যায়নি, তবে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে জানা যায় যে ফেরীটি ঘাটে এসে ভিড়লে যাত্রীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে একদিকে চলে আসলে এটি নিমজ্জিত হয়ে যায়। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বলেন যে "লঞ্চটি যখন কিনারায় এসে পৌঁছায়, তখন বিনা টিকেটে যাত্রীরা ভ্রমণ করেছে কি না, তা দেখতে ফেরীর বহির্গমন গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে যাত্রীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পরে, যার ফলে ফেরীটি নিমজ্জিত হয়ে যায়।"[৪]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Capsized Bangladesh ferry death toll rises to 75"। NY Daily News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪।
- ↑ "At Least 30 Killed In Bangladesh Ferry Disaster"। RadioFreeEurope/RadioLiberty। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪।
- ↑ "Bangladesh boat accident leaves many dead"। www.enca.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪।
- ↑ "Bangladesh ferry death roll rises to 72"। BBC News। ৩০ নভেম্বর ২০০৯।
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- "Capsized Bangladesh ferry death toll rises to 75"। New York Daily News। Associated Press। ২৯ নভেম্বর ২০০৯। ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭।
- "Bangladesh ferry toll reaches 71"। ABS-CBN News। Agence France-Presse। ৩০ নভেম্বর ২০০৯।
- "MV Coco-4 officials sued"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১ ডিসেম্বর ২০০৯।
- "Coco-4 capsized for overloading"। দ্য ডেইলি স্টার। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯।
- Jackson, Joe (২০ জানুয়ারি ২০১২)। "Unsafe at Sea: Asia's History of Deadly Ferry Disasters"। Time।