এডভিন হেনিখ (জার্মান - Edwin Hennig; জন্ম - ২৭ এপ্রিল, ১৮২২; বার্লিন - মৃত্যু - ১২ নভেম্বর, ১৯৭৭; ট্যুবিঙেন) হলেন একজন প্রখ্যাত জার্মান পুরাজীববিদ

এডভিন হেনিখ
Edwin Hennig
জন্ম২৭ এপ্রিল, ১৮৮২
মৃত্যু১২ নভেম্বর ১৯৭৭(1977-11-12) (বয়স ৯৫)
ট্যুবিঙেন, জার্মানি
জাতীয়তাজার্মান
পেশাপুরাজীববিদ

এডভিন হেনিখের পিতা আর্তুর হেনিখ (১৮৪৬ - ১৮৯২) ছিলেন জার্মানির একজন ব্যবসায়ী; তার মা ছিলেন লুইজা ভিবকা (১৮৫৩ - ১৯২৮); তারা পাঁচ ভাই ছিলেন। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ভৌগোলিক ও পরিবহন-বিজ্ঞানী রিখার্ড হেনিখ তার এক দাদা। কিন্তু এডভিনের বয়স যখন মাত্র ১০ বছর, তখনই তার বাবার মৃত্যু ঘটে। ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রকৃতি বিজ্ঞান, দর্শননৃবিজ্ঞান (অ্যানথ্রোপোলজি) নিয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে জার্মানির বাডেন-ভুর্টেমবার্গ প্রদেশের ফ্রাইবুর্গ শহরে অবস্থিত আলবের্ট-লুডভিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সেখান থেকেই অধ্যাপক ওটো ইয়াকেলের অধীনে বিলুপ্ত মাছেদের গণ জাইরোডাসের উপর গবেষণা করে তার ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি বার্লিনের হুমবোল্ট‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বপুরাজীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ভিলহেল্‌ম ফন ব্রাঙ্কা্র সহকারী পদে যোগ দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯১৩ সালে এখানেই তিনি তার হ্যাবিলিটেশন ডিগ্রি লাভ করেন ও প্রাইভেট লেকচারারের পদে যোগ দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সামরিক বাহিনীতে ভূতাত্ত্বিক হিসেবে যোগ দেন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ট্যুবিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদ লাভ করেন। ১৯২৮/২৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সেখানে রেক্টরের দায়িত্ব সামলান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব-পুরাজীববিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর হন। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নাৎসি দলে যোগ দেন। ১৯৪৫ তাকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় ও তাকে ডিনাৎসিফিকেশন (জার্মান - Entnatzifizierung ; এনটনাৎসিফিৎসিয়েরুং) প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ১৯৫১ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন।[১][২]

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে ট্যুবিঙেনে তার জীবনাবসান ঘটে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন জার্মান পূর্বআফ্রিকা বা আজকের তানজানিয়ার টেন্ডাগুড়ুতে ভের্নার ইয়ানেশের নেতৃত্বে যে খনন অভিযান চলে, হেনিখ ছিলেন তার অন্যতম সদস্য। তার আরেক উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল অস্ট্রালোপিথেকাস আফারেনসিসের বিবরণ প্রকাশ। পূর্ব আফ্রিকাতে লুডভিগ কোল-লারসেনের নেতৃত্বে চলা অভিযানে প্রাপ্ত জীবাশ্ম দেহাবশেষ থেকে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই বিবরণ প্রকাশ করেন। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্রন্থের লেখক হিসেবে বিখ্যাত।

তিনি বিবর্তনের অর্থোজেনেসিস তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন। এ' বিষয়ে তার পূর্বসুরী ছিলেন প্রখ্যাত অস্ট্রিয় পুরাজীববিদ ওটেনিও আবেল

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Georgy Levit, Lennart Olsson Evolution on Rails. Mechanisms and Levels of Orthogenesis, Annals of the History and Philosophy of Biology, Band 11, 2006, পৃঃ - ৯৯. হেনিখের জীবনী এখানে ছোট করে নথিবদ্ধ আছে।
  2. Helmut Hölder, Helmut Kiderlen (Herausgeber): Festband Edwin Hennig zur Vollendung des 70. Lebensjahres, Neues Jahrbuch für Geologie und Paläontologie, Band 97, (জার্মান ভাষায়) 1953

আরও পড়ুন সম্পাদনা

  • Helmut Hölder, Wolf von Engelhardt: Mineralogie, Geologie und Paläontologie an der Universität Tübingen von den Anfängen bis zur Gegenwart, J. C. B. Mohr, Tübingen 1977

আরও দেখুন সম্পাদনা