ঊর্মিলা দেবী
ঊর্মিলা দেবী (৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৩ - মে ১৯৫৬) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।[১]
ঊর্মিলা দেবী | |
---|---|
জন্ম | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৩ |
মৃত্যু | মে ১৯৫৬ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ, লেখক |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | পুষ্পহার গ্রন্থ |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, লবণ সত্যাগ্রহ |
দাম্পত্য সঙ্গী | অনন্তনারায়ণ সেন |
সন্তান | সতী সেন (কন্যা) |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ (বড় ভাই) আনন্দমোহন সহায় (জামাতা) |
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনাঊর্মিলা দেবী ১৮৮৩ সালে ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের তেলিরবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ভুবনমোহন দাশ ও মাতার নাম নিস্তারিণী দেবী। স্বামীর নাম অনন্তনারায়ণ সেন। ঊর্মিলা দেবী ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বোন। দাদার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন।[২]
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনাদেশবন্ধুর প্রেরণায় তিনি নারীদের মধ্যে কাজ গড়ে তোলেন। ১৯২১ সালে ‘নারী-কর্মমন্দির’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ছিল চরকা ও খদর জনপ্রিয় করা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা। ১৯৩২ সালে অসহযোগ আন্দোলনে যে প্রথম তিনজন মহিলা আইন অমান্য করেছিলেন, ঊর্মিলা দেবী ছিলেন তাদেরই একজন। তিনি কলিকাতা ‘নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’র সভানেত্রী ছিলেন।
সাহিত্যকর্ম
সম্পাদনাসে সময় নারায়ণ পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তার প্রকাশিত সাহিত্যগ্রন্থ পুষ্পহার। মহাত্মা গান্ধী, সরোজিনী নাইডু প্রমুখের স্মৃতিকথাও রচনা করেছেন ।
মৃত্যু
সম্পাদনাঊর্মিলা দেবী মে ১৯৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত, অঞ্জলি বসু। সংসদ বাংলা চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ সংস্করণ)। সংসদ। পৃষ্ঠা ১০৩।
- ↑ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ৬৮-৬৯। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।