উদ্ভিদ-নিরোধক ব্যবস্থা

উদ্ভিদ-নিরোধক ব্যবস্থা হলো রোগ- এবং কীট-মুক্ত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদজাত সামগ্রী নিশ্চিত করার একটি কৌশল, যার মাধ্যমে একটি উদ্ভিদকে আলাদা করা হয় এবং সমস্যার উপস্থিতি শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা করা হয়।

প্রশাসন

সম্পাদনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

সম্পাদনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণী ও উদ্ভিদ স্বাস্থ্য পরিদর্শন সেবা (এপিএইচআইএস) উদ্ভিদকে পৃথকীকরণের কাজটি করে থাকে, যদিও সংস্থাটির সীমান্ত-পরিদর্শন কার্যটি পি.এল. ১০৭-২৯৬ দ্বারা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগে (ডিএইচএস) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ

সম্পাদনা

১৯৭৮ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কমিশনের (Asia & Pacific Plant Protection Commission) সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ । ধ্বংসাত্মক কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই আইন, ১৯১৪ (Destructive Insect and Pest Act, 1914, II of 1914)-এর ৩ ধারার ১ উপধারা, শাখা ৪-এ ও ৪-ডি ধারার অধীনে ধ্বংসাত্মক কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই আইন ১৯৬৬ (Destructive Insects and Pests Rules, 1966) নামে পরিচিত উদ্ভিদ নিরোধন আইন প্রণয়ন করা হয়।[]

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা; আমানত শাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম এবং ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট; চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর; যশোরের বেনাপোল, সিলেটের তামাবিল, লালমনিরহাটের বুড়িমারী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং দিনাজপুরের হিলি স্থলসীমান্ত চেকপোস্ট; এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে বাংলাদেশের উদ্ভিদ নিরোধন কেন্দ্রগুলি চালু রয়েছে। ঢাকার খামারবাড়িতে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে (উদ্ভিদ সংরক্ষণ শাখা) দেশের বাইরে থেকে আগত যে কোনো পণ্যের নিরোধন পর্যবেক্ষণ করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. লতিফ, মোঃ আবদুল। "উদ্ভিদ-নিরোধক ব্যবস্থা"বাংলাপিডিয়া। ৯ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০