বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী (সংক্ষেপে - উদীচী) হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬৮ সালে বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেন উদীচী গঠন করেন। পরবর্তী সময়ে রণেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লাহ কায়সার সহ একঝাঁক তরুণ উদীচীর সাথে সম্পৃক্ত হন।[১] জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে। উদীচী ’৬৮, ’৬৯, ’৭০, ’৭১ সালে বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। এ সংগ্রাম গ্রাম-বাংলার পথে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালে উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। দেশের সকল গণতান্ত্রিক, মৌলবাদবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে এ সংগঠন বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে। বর্তমানে সারাদেশে উদীচীর তিন শতাধিক শাখা রয়েছে। দেশের বাইরেও ছয়টি দেশে শাখা রয়েছে উদীচীর। ২০১৩ সালে এই সংঠনটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক লাভ করে।[২]
মূলনীতি | এ যুগের চারণ মোরা, মানুষের গান শুনিয়ে যাই যেখানে মতের বিভেদ, মিলনেরই মন্ত্র শোনাই… |
---|---|
গঠিত | ১৯৬৮ |
প্রতিষ্ঠাতা | সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
সদরদপ্তর | ঢাকা |
অবস্থান |
|
ক্ষেত্রসমূহ | সঙ্গীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, চারুকলা ও সাহিত্য |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা, ইংরেজি |
সভাপতি | সফিউদ্দিন আহমদ |
সাধারণ সম্পাদক | জামসেদ আনোয়ার তপন |
ওয়েবসাইট | udichi |
বিভাগ ও শাখা
সম্পাদনাউদীচীর অধীনে সঙ্গীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, চারুকলা, চলচ্চিত্র ও সাহিত্য বিভাগ কাজ করছে। বর্তমানে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সংসদের তত্ত্বাবধানে দেশব্যাপী উদীচীর কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। ঢাকা কেন্দ্রকে ভিত্তি করে ৭১টি সাংগঠনিক জেলাসহ তিন শতাধিক শাখা রয়েছে। জেলা কমিটি সমূহ ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট এবং শাখা কমিটি সমূহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট। বর্তমানে উদীচীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫,০০০। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার ১৪/২ তোপখানা সড়ক (দোতলায়) অবস্থিত। এছাড়াও প্রবাসে উদীচীর ৬টি শাখা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সে।
কার্যক্রম
সম্পাদনা- নাটক
উদীচী প্রযোজিত মঞ্চনাটক সমূহের মধ্যে নরক গুলজার, মিছিল, ধলা গেরামের নাম, অভিশপ্ত নগরী, চিরকুমার সভা, বিবাহ উৎসব,বৌ বসন্তি, শুভ্র তিমির, চিলেকোঠার সেপাই, বৌ বসন্তি ও হাফ আখড়াই প্রধান। পথনাটকগুলির মধ্যে রয়েছে আরও মানুষ চাই, দিন বদলের পালা, রাজা রাজা খেল, মাদারীর খেল, তেভাগার পালা, রাজাকারের প্যাঁচালী, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ইতিহাস কথা কও, তাঁতাল, সংগ্রামই সুন্দর ইত্যাদি। এর মধ্যে “ইতিহাস কথা কও” গীতি আলেখ্যটি বাংলাদেশের হাটে মাঠে ঘাটে শত সহস্রবার পরিবেশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ উদীচীই পারে চ্যালেঞ্জ নিতে, দৈনিক সমকাল]
- ↑ "Udichi's anniversary celebration across the country"। দ্য ডেইলি স্টার। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- উদীচী-এর প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট।
- বাংলাপিডিয়ায় উদীচী বিষয়ক নিবন্ধ।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |