উত্তরাধুনিক নারীবাদ
উত্তরাধুনিক নারীবাদ হলো উত্তর গাঠনিকবাদ, উত্তর আধুনিকতাবাদ এবং ফরাসি নারীবাদের একটি মিশ্রণ।[১] এর মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে প্রচলিত পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করা, যা লিঙ্গ বৈষম্যের একটি কারণ।[২] উত্তরাধুনিক নারীবাদীরা প্রয়োজনবাদ, দর্শন এবং সার্বজনীন সত্য যেগুলো প্রত্যেক নারী এক নয় এ বিষয়টি প্রদর্শন করতে নারীর মধ্যকার পার্থক্যগুলোর উপর গুরুত্ব দেয় সেগুলো বর্জন করে তাদের লক্ষ অর্জন করার চেষ্টা করে।[৩] তারা বিশ্বাস করেন যে, যদি সমাজের সকল নারীর উপর একটি সার্বজনীন সত্য প্রযোজ্য হয়, তাহলে তা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা কমিয়ে দেয়। তবে তারা সমাজের নীতি হিসেবে পরিচিত ধারণা সম্পর্কে নারীদের সতর্ক করেছেন কারণ তা নারী সম্পর্কে পুুরুষের ধারণা থেকে উৎপত্তি হতে পারে।[৪]
উত্তরাধুনিক নারীবাদীরা সমাজের লিঙ্গ সমাজে লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ হিসেবে থাকা যেকোনো ধারণা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে। তারা এই ধারণাগুলো বিশ্লেষণ করেন এবং লোগোসেন্ট্রিসম এর সমালোচনা, বিভিন্ন বক্তৃতা সমর্থন, লেখার অর্থ বিশ্লেষণ এবং সাবজেক্টিভিটি তুলে ধরার মাধ্যমে তারা তারা লিঙ্গ সমতা তুলে ধরে। উত্তরাধুনিক নারীবাদীরা দ্বিবিভাজনের দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং ভাষা কীভাবে লিঙ্গ চিন্তায় প্রভাব ফেলে তা দেখানোর জন্য স্বীকৃত।[১][৩]
নারীবাদী তত্ত্বে উত্তরাধুনিক নারীবাদের অন্তর্ভূক্তি সকল নারীবাদীদের মতে নির্দ্ধিধায় গ্রহণযোগ্য নয়। কারো কারো বিশ্বাস যে, উত্তরাধুনিক নারীবাদ নারীবাদী তত্ত্বের করা লড়াইকে ছোট করে দেখায়, যেখানে বাকিরা এটির পক্ষে।[১] এ কারণে উত্তর আধুনিকতাবাদ এবং নারীবাদের সম্পর্ক সর্বদাই জটিল।[৫]
উৎপত্তি এবং ইতিহাস
সম্পাদনাবাটলার
সম্পাদনানারীবাদের অন্যান্য শাখাগুলো থেকে উত্তরাধুনিক নারীবাদের প্রধান পার্থক্য হলো একটি বিতর্ক, যা সমর্থন করে যে, যৌনতা এবং লিঙ্গ ভাষার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি জুদিথ বাটলার এর ১৯৯০ সালে প্রকাশিত বই, “জেন্ডার ট্রোবোল” উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি সিমন দ্য বোভোয়ার, মিশেল ফুকো ও জাক লাকঁ এর বই এবং লুসি ইরিগারে এর বিতর্ক পর্যালোচনা এবং সমালোচনা করেন, যেখানে লুসি ইরিগারে যুক্তি দিয়েছেলেন যে, আমরা যা আনুষ্ঠানিকভাবে “নারীত্ব” হিসেবে বিবেচনা করি তা শুধুমাত্র “পুরুষত্ব” হিসেবে যা গঠিত হয়েছে তাই।[৬][৭]
বাটলার পূববর্তী নারীবাদের তৈরি করা যৌনতা এবং লিঙ্গের মধ্যকার পার্থক্যের সমালোচনা করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেন জড় বস্তুসমুহকে (যেমন: দেহ) কেন আমরা সমাজের গঠনের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করি না। তিনি যুক্তি দেন যে, এটি প্রয়োজনীতাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমালোচনা করতে বাধা দেয়। যা হলো: নারীবাদীরা লিঙ্গ সামাজিকভাবে সৃষ্ট বলে বিশ্বাস করলেও তারা মনে করেন যে, এটি সব সময় একইভাবে তৈরি হয়েছে। তিনি তার বিতর্কের মধ্যে বলেন যে, নারীদের অধীনতার কোনো একটি কারণ বা সমাধান নেই। তাই পদক্ষেপের কোনো স্বচ্ছ উপায় নাই বলে উত্তরাধুনিক নারীবাদের সমালোচনা করা হয়। অনেক বেশি অস্পষ্ট হওয়ায় এটি অর্থবহ হতে পারেনি বলে বিবেচনা করে বাটলার নিজেই “উত্তর আধুনিকতাবাদ” শব্দটি বর্জণ করেন।[৮]
পাউলা মোয়া এর মতে, চেরি মোরাগা এর কীর্তি ভূলভাবে পড়ার কারণে বাটলার উত্তর আধুনিকবাদ বর্জন করেছেন। “নির্যাতন এর শ্রেণিবিন্যাস করার মধ্যে বিপদ রয়েছে”, মোরাগা এর এই বক্তব্যটিকে তিনি ভূলভাবে পড়েছিলেন। যার অর্থ ছিল: আমাদের বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন নিয়ে বিচার করার উপায় নেই- বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনকে যুক্তিসঙ্গত বলা বা শ্রেণিভুক্ত করার কোনো যেকোনো চেষ্টা সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশ অথবা একত্রীকরণের ইঙ্গিত হতে পারে এবং এর ফলে, চেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে। যদিও প্রথমে মনে হয়েছিল যে, যেসব নারীরা ঐতিহাসিকভাবে নারীবাদের “বিষয়” অবস্থানটি থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয় বাটলার তাদের সমালোচনা বুঝেছিলেন, তবে পরবর্তীতে পরিস্কার হয়ে যায় যে, তাদের কথাগুলো তার কাছে শুধু সুর মাত্র (মোয়া, ৭৯০)। মোয়া বর্ণনা করেন যে, যেহেতু বাটলার এর মতে, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনকে একইভাবে শ্রেণিভূক্ত করা যায় না বা শ্রেণিভূক্ত করাই যায় না, তাই তিনি উত্তর আধুনিকতাবাদের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন, অর্থাৎ এক কথায়, নারীদের প্রত্যাখ্যান করেন।[৯]
ফ্রাগ
সম্পাদনামেরি জো ফ্রাগ এর মতে, মানুষের উত্তর আধুনিকতাবাদের “নীতি” হলো সেই মনুষ্য অভিজ্ঞতা, যা “অনিবার্যভাবে” ভাষার মধ্যে রয়েছে। ক্ষমতা শুধু সরাসরি জোর করেই ব্যবহার করা যায় না, বরং ভাষা যেভাবে বাস্তবতাকে প্রভাবিত এবং সীমাবদ্ধ করে সেভাবেও ব্যবহার করা যায়। ভাষার যেহেতু পুনরায় ব্যাখ্যা দেওয়া যায়, তাই এটিকে সেই প্রভাব এবং সীমাবদ্ধতা আটকাতেও ব্যবহার করা যায়। একইভাবে, রাজনৈতিক সমস্যার সম্ভাবনাময় দিকের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারটি সত্য।
ফ্রাগ এর দ্বিতীয় উত্তরা আধুনিক নীতি হলো যৌনতা কোনো প্রাকৃতিক কিছু নয় এবং এটি কোনো সম্পূর্ণভাবে নির্ধারিত বা নির্ধারণযোগ্য কিছু নয়, বরং এটি অর্থের একটি নিয়মের অংশ, যা ভাষার কারণে তৈরি হয়েছে।[১০]
ফরাসি নারীবাদ
সম্পাদনা১৯৮০ এর দশকের উত্তর আধুনিকতাবাদের বড় আন্দোলনের একটি অংশ হিসেবে এলিস জার্ডাইন ফরাসি নারীবাদকে রূপ দেয়, যা ছিল একটি অ্যাংলো-আমেরিকান আবিষ্কার। এর মধ্যে রয়েছে আধুনিকতা প্রকল্পের ব্যর্থতা এবং তার ব্যতিক্রম। বিশেষভাবে, নারীবাদের ক্ষেত্রে, সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের বিতর্কে ফিরে আসা।[১১] টোরিল মোই তার বই, সেক্সুয়াল/টেক্সুয়াল পলিটিক্সে ফরাসি নারীবাদ কথাটির আরো ব্যাখ্যা দেন। এই বইতে তিনি ফরাসি নারীবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। শুধুমাত্র ফরাসি নারীবাদ এবং অ্যাংলো-আমেরিকান নারীবাদের মধ্যে পার্থক্য দেখাতে হ্যালেন সিক্সু, হুলিয়া ক্রিস্টেভা এবং লুসি ইরিগারে এর মতো লেখকদের কথা যুক্ত করার জন্য তিনি ফরাসি নারীবাদের ব্যাখ্যা দেন।[১২] তিনি বলেন যে, এ দুটি নারীবাদের পার্থক্য হলো অ্যাংলো-আমেরিকান নারীবাদীরা একটি নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন এবং তারা নারীদের জন্য একটি নিজস্ব পরিচিতি পাওয়ার চেষ্টা করেন, যেহেতু আগে তাদের কোনো নিজস্ত পরিচিতি দেওয়া হতো না। ফরাসি নারীবাদীদের বিশ্বাস যে নারীদের কোনো পরিচিতি নেই কিন্তু “যেসব ক্ষেত্রে পার্থক্য বা ভিন্নতা রয়েছে সেগুলোতে নারীত্ব শনাক্ত হতে পারে”।[১১] অ্যালেইন মার্কস নামক একজন নারী গবেষক যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের নারীবাদীদের মধ্যে আরেকটি পার্থক্য চিহ্নিত করেন। ফরাসি নারীবাদীরা, বিশেষ করে, চরমপন্থী নারীবাদীরা যেসব নিয়ম পুরুষদের সুবিধা প্রদান করে সেগুলো এবং বিস্তৃতভাবে থাকা নারী বিদ্বেসের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নারীবাদীদের চেয়ে তীব্রভাবে আঘাত এবং সেগুলোর সমালোচনা করেছেন।[১৩] যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা ফরাসি নারীবাদের নিজম্ব ধারণা তৈরি করে নেওয়ার মাধ্যমে সাইক এট পো (সিকেনালিজ এট পলিটিক) এর সাথে সংযুক্ত নারী তাত্ত্বিক এবং অন্যান্য গবেষক যারা নিজেদের নারীবাদী বলে দাবিই করেনি তাদের উপর মনোযোগ দিতে গিয়ে তারা ইতোমধ্যে স্ব-পরিচিত নারীবাদীদের পৃথক করেছেন এবং তাদের এড়িয়ে গিয়েছেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নারীবাদীরা চরমপন্থি নারীবাদী এবং মুভমো দে লিবারেশন দে ফেম এর মতো দলগুলোর তৎকালীন রাজনৈতিক বিষয়সূচিগুলোর পরিবর্তে ফরাসি নারীবাদীদের তত্ত্বে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।[১৪]
সমালোচনা
সম্পাদনা১৯৯০ এর দশকে উত্তরাধুনিক নারীবাদের উৎপত্তির পর থেকে এটির অনেক সমালোচনা করা হয়। অধিকাংশ সমালোচনায় আধুনিকতাবাদী এবং নারীবাদীরা তাদের আধুনিকতাবাদী চিন্তা সমর্থন করেছেন। তারা উত্তরাধুনিকতাবাদের বর্ণনা অনুসারে অপেক্ষবাদ এবং চূড়ান্ত নাস্তিবাদের বিষয়বস্তুগুলোর উপর গুরুত্ব দেন। যদিও আধুনিকতাবাদী সমালোচকরা বিশ্বাস করেন যে, আলোকিত চিন্তার মূল্য বাদ দিয়ে যাওয়ায় উত্তরাধুনিক নারীবাদ “স্বাধীন রাজনৈতিক পদক্ষেপকে বাধা প্রদান করে”।[১৫] এমন চিন্তা মেগান মোরিস এর মতো সমালোচকদের সমালোচনায় লক্ষণীয়। তাদের মতে, উত্তরাধুনিক নারীবাদ সেটির প্রয়োজনীয়তাাবদের বিরোধিতার কারণে লিঙ্গ বৈষম্য ভিত্তিক পদক্ষেপগুলোর রাজনৈতিক ভিত্তি নষ্ট করার আশঙ্কা রাখে।[১৬] অ্যালিসন অ্র্যাসিটার উত্তরাধুনিক নারীবাদী এবং তাদের সমর্থকদের সমালোচনা করতে এনলাইটেনড ওমেন প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি লিখেছেন যে, আলোকিত বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিক নারীবাদে ফিরে আসা উচিত।[১৭] গ্লোরিয়া স্টেইনেম নারীবাদী তত্ত্বের সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে, তিনি উত্তরাধুনিক নারীবাদকে বেশি গবেষণা ভিত্তিক এবং এর বক্তব্য কঠিন ভাষা এবং দুর্বোধ্যতায় পরিপূর্ণ বলে সমালোচনা করেন।[১৮]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Sands, Roberta; Nuccio, Kathleen (নভে ১৯৯২)। "Postmodern Feminist Theory and Social Work: A Deconstruction"। Social Work। 37: 489। আইএসএসএন 1545-6846। ডিওআই:10.1093/sw/40.6.831।
- ↑ Ebert, Teresa L. (ডিসে ১৯৯১)। "The "Difference" of Postmodern Feminism"। College English। 53 (8): 886–904। আইএসএসএন 0010-0994। জেস্টোর 377692। ডিওআই:10.2307/377692।
- ↑ ক খ Tong, Rosemarie (১৯৮৯)। Feminist thought : a comprehensive introduction । Boulder, Colorado: Westview Press। পৃষ্ঠা 217–224। আইএসবিএন 9780429493836। ওসিএলসি 1041706991।
- ↑ Wallin, Dawn C (২০০১)। Postmodern Feminism and Educational Policy Development। McGill Journal of Education। পৃষ্ঠা 27–43। ওসিএলসি 967130390।
- ↑ Bolatito, A Lanre-Abbas (Fall ২০০৩)। "Feminism in the postmodernist age"। The Journal of Social, Political, and Economic Studies। 28: 355–368। প্রোকুয়েস্ট 216810839। templatestyles stripmarker in
|আইডি=
at position 1 (সাহায্য) - ↑ G. Gutting ed., The Cambridge Companion to Foucault (2002) p. 389
- ↑ Digeser, Peter (সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। "Performativity Trouble: Postmodern Feminism and Essential Subjects"। Political Research Quarterly। 47 (3): 655–673। এসটুসিআইডি 144691426। ডিওআই:10.1177/106591299404700305।
- ↑ Judith Butler, "Contingent Foundations" in Seyla Benhabib et al., Feminist Contentions: A Philosophical Exchange (New York: Routledge, 1995), pp. 35-58
- ↑ Moya, Paula M.L. From Postmodernism, 'Realism,' and the Politics of Identity: Cherríe Moraga and Chicana Feminism in Gilbert, Susan M.; Gubar, Susan Eds (২০০৭)। Feminist literary theory and criticism : a Norton reader (1st সংস্করণ)। New York: W.W. Norton। পৃষ্ঠা 787–797। আইএসবিএন 9780393927900।
- ↑ Frug, Mary Joe (মার্চ ১৯৯২)। "A Postmodern Feminist Manifesto (An Unfinished Draft)"। Harvard Law Review। 105 (5): 1045–1075। জেস্টোর 1341520। ডিওআই:10.2307/1341520।
- ↑ ক খ Gambaudo, Sylvie A. (মে ২০০৭)। "French Feminism vs Anglo-American Feminism: A Reconstruction" (পিডিএফ)। European Journal of Women's Studies। 14 (2): 93–108। এসটুসিআইডি 144756187। ডিওআই:10.1177/1350506807075816।
- ↑ Moi, Toril (২০০২)। Sexual/textual politics: feminist literary theory (2nd সংস্করণ)। London: Routledge। আইএসবিএন 978-0415280112। ওসিএলসি 49959398।
- ↑ New French feminisms : an anthology । Marks, Elaine., De Courtivron, Isabelle.। Amherst: University of Massachusetts Press। ১৯৮০। আইএসবিএন 978-0870232800। ওসিএলসি 5051713।
- ↑ Moses, Claire Goldberg (১৯৯৮)। "Made in America: "French Feminism" in Academia"। Feminist Studies। 24 (2): 241–274। জেস্টোর 3178697। ডিওআই:10.2307/3178697। টেমপ্লেট:GALE প্রোকুয়েস্ট 233178967। templatestyles stripmarker in
|আইডি=
at position 20 (সাহায্য) - ↑ Hekman, Susan J. (১৯৯০)। Gender and Knowledge। Boston: Northeastern University Press। পৃষ্ঠা 152–153।
- ↑ Schmidt, K. (২০০৫)। The Theater of Transformation । পৃষ্ঠা 129–130।
- ↑ Assiter, Alison (১৯৯৫)। Enlightened Women। London: Routledge।
- ↑ Denes, Melissa (২০০৫-০১-১৭)। "'Feminism? It's hardly begun'"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-২৯।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Assiter, Alison (১৯৯৬)। Enlightened women modernist feminism in a postmodern age। London New York: Routledge। আইএসবিএন 9780415083386।
- Kottiswari, W. S. (২০০৮)। Postmodern feminist writers। New Delhi: Sarup & Sons। আইএসবিএন 9788176258210।
- Williams, Susan H.; Williams, David C. (১৯৯৭)। "A feminist theory of malebashing (paper 574)."। Michigan Journal of Gender & Law। Faculty Publications। 4 (1): 35–128। ১ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ক্রিস্টন ওল্ফ, 'উত্তরাধুনিক নারীবাদ' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে
- '৩ পৃষ্ঠায় উত্তরাধুনিক নারীবাদ'