উগান্ডার ইতিহাস
উগান্ডার ইতিহাস সেই সব মানুষের ইতিহাস নিয়ে গঠিত, যারা উগান্ডা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আগে, বর্তমান সময়ের উগান্ডা অঞ্চলে বসবাস করত। এর সাথে আছে দেশটি প্রতিষ্ঠা হবার পর দেশটির ইতিহাস। পুরা প্রস্তর যুগের প্রমাণ থেকে দেখা যায় যে কমপক্ষে ৫০,০০০ বছর ধরে মানুষজন উগান্ডায় বাস করেছে। উগান্ডার বনাঞ্চল ধীরে ধীরে পরিষ্কার করা হয়েছিল কৃষকদের জন্য। তারা সম্ভবত বান্টু ভাষায় কথা বলত। ১৮৯৪ সালে, উগান্ডা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আশ্রিত রাজ্য হয়ে উঠে ছিল, এবং ১৯৬২ সালে ব্রিটেন উগান্ডাকে স্বাধীনতা দেয়। ১৯৭১ সালে ইদি আমিন, মিল্টন ওবোতেকে গদিচ্যুত করে উগান্ডার শাসনভার দখল করেন। ১৯৭৯ সালে উগান্ডা-তানজানিয়া যুদ্ধের ফলস্বরূপ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। একাধিক অন্যান্য নেতার পরে, ইয়োভেরি মুসেভেনি ১৯৮৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন এবং সেই সময় থেকেই তিনি উগান্ডার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাক-ঔপনিবেশিক সময়
সম্পাদনাউগান্ডায় মানুষের বসবাসের প্রমাণ অন্তত ৫০,০০০, বছর আগের পুরা প্রস্তর যুগ থেকেও পাওয়া গেছে এবং সম্ভবত ১,০০,০০০ বছর আগেও এখানে মানুষের অস্তিত্ব ছিল। ভিক্টোরিয়া লেকের আগেকার পরিবেশ থেকে উদ্ধারকৃত অ্যাকেলিয়ান পাথরের সরঞ্জামগুলি এর প্রমাণ দেয়। এগুলি কাগেরা নদী উপত্যকার আশেপাশে মূলত সোনেজির আশেপাশে পাওয়া গিয়ে ছিল।[১]
যে কৃষকরা জঙ্গল পরিষ্কার করেছিল তারা সম্ভবত বান্টু ভাষাভাষী ছিল। তাদের ধীর কিন্তু অনভিজ্ঞ বিস্তার ধীরে ধীরে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে সমগ্র আফ্রিকায় ব্যপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তারা ছাগল ও মুরগি পালনও করত, এবং তারা সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দের মধ্যে কিছু গবাদি পশুও রেখেছিল। কৃষিক্ষেত্র সম্পর্কে তাদের জ্ঞান এবং লোহা-ঢালাইয়ের প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের জমি পরিষ্কার করতে এবং বহুসংখ্যক বসতি স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল। তারা দেশীয় শিকারী-সংগ্রহকারীদের ছোট ছোট দলগুলিকে বাস্তুচ্যুত করেছিল। বাস্তুচ্যুতরা দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছিল।[২]
এদিকে, খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীর মধ্যে এবং সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর প্রথমদিকে পশ্চিম তানজানিয়ায়, কিছু নির্দিষ্ট বান্টু-ভাষী ধাতুবিদ প্রাক-উত্তপ্ত চুল্লিতে মাঝারি মানের কার্বন ইস্পাত উৎপাদনে লোহা-ঢালাইকে নিখুঁত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। যদিও এই বিকাশ বেশিরভাগই আধুনিক উগান্ডার সীমানার দক্ষিণ-পশ্চিমে সংঘটিত হয়েছিল, কিছু দিনের মধ্যেই দেশের অনেক জায়গায় খণিজ লোহা উৎপাদন এবং ঢালাই শুরু হয়েছিল।[২]
উগান্ডা আশ্রিত রাজ্য (১৮৯৪–১৯৬২)
সম্পাদনা১৮৯০ এর দশকে, ব্রিটিশ ভারত থেকে ৩২,০০০ শ্রমিককে উগান্ডা রেলওয়ে নির্মাণের জন্য শর্তবদ্ধ করা শ্রম চুক্তির আওতায় পূর্ব আফ্রিকায় নিয়োগ করা হয়েছিল।[৩] বেঁচে থাকা বেশিরভাগ ভারতীয় স্বদেশে ফিরে এসেছিলেন, তবে ৬,৭২৪ জন ভারতীয় কাজ শেষ হওয়ার পরেও পূর্ব আফ্রিকায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[৪] পরবর্তীকালে, কিছু মানুষ ব্যবসা শুরু করেন এবং তুলো থেকে সুতো উৎপাদন ও পোশাকনির্মান বিষয়ক খুচরো বাজার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।[৫]
১৯০০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে উগান্ডার দক্ষিণ অংশে, ভিক্টোরিয়া লেকের উত্তর তীরে বরাবর, ঘুমের অসুস্থতা মহামারীতে ২,৫০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।[৬]
স্বাধীন উগান্ডার প্রথমদিক (১৯৬২–৭১)
সম্পাদনা১৯৬২ সালে ব্রিটেন উগান্ডাকে স্বাধীনতা প্রদান করেছিল, এবং ১৯৬১ সালের ১লা মার্চ সেখানে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেনেডিক্টো কিওয়ানুকা প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন। পরের বছর উগান্ডা প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র হয়ে ওঠে এবং কমনওয়েলথে তার সদস্যপদ বজায় রেখে দেয়।
উত্তরোত্তর বছরগুলিতে, কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্রের সমর্থকেরা, মুক্ত সঙ্ঘের এবং উপজাতীয় ভিত্তিক স্থানীয় রাজ্যগুলির জন্য শক্তিশালী ভূমিকার পক্ষে যারা ছিল তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক কূটকৌশল চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়, যখন প্রধানমন্ত্রী মিল্টন ওবোতে সংবিধান স্থগিত করে দেন এবং সমস্ত সরকারী ক্ষমতা অধিগ্রহণ করেন, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির অপসারণ করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরে, একটি নতুন সংবিধানের বলে উগান্ডাকে একটি প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়, রাষ্ট্রপতিকে আরও বৃহত্তর ক্ষমতা প্রদান করা হয় এবং প্রচলিত রাজত্বগুলি বিলুপ্ত করা হয়।
ইদি আমিনের শাসনকালে উগান্ডা (১৯৭১-৭৯)
সম্পাদনা১৯৭১ সালের ২৫শে জানুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পরে, ওবোতেকে ক্ষমতা থেকে পদচ্যুত করা হয়েছিল এবং স্বৈরশাসক ইদি আমিন দেশের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছিলেন। আমিন পরবর্তী আট বছর সেনাবাহিনী নিয়ে উগান্ডা শাসন করেছিলেন[৭] এবং নিজের শাসন বজায় রাখতে দেশের অভ্যন্তরে গণহত্যা চালিয়েছিলেন।আনুমানিক ৩,০০,০০০ উগান্ডাবাসী তাঁর সরকারের হাতে প্রাণ হারায়, তাদের অধিকাংশই ছিল উত্তরে, যাদের তিনি ওবোতের অনুগামী মনে করেছিলেন।[৮] তাঁর বর্বরতার পাশাপাশি, তিনি উদ্যোগপতি ভারতীয় সংখ্যালঘুবর্গকে উগান্ডা থেকে জোর করে অপসারণ করেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়ে।[৯] ১৯৭৭ সালে আমিনের নৃশংসতার কথা তাঁর একজন প্রাক্তন মন্ত্রী হেনরি কেম্বা স্পষ্টভাবে এ স্টেট অফ ব্লাড শিরোনামের বইতে বর্ণনা করেছিলেন। ততদিনে ইদি আমিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
১৯৭২ সালে, উগান্ডার তথাকথিত "আফ্রিকানাইজেশন" এর ফলে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ৯৮২,৭৫৯ আমেরিকান উগান্ডা ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৭,০০০ জনকে কানাডায় বসতি স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; তবে, খুব কম সংখ্যক মানুষই এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন। এবং ২০০৬ সালের আদমশুমারিতে দেখা গিয়েছিল কানাডায় উগান্ডা বংশোদ্ভূত ৩,৩০০ জন লোক আছেন।
আমিনের আট বছরের শাসনকালে অর্থনৈতিক অবক্ষয়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখা গিয়েছিল। আচলি এবং লাঙ্গি জাতিগোষ্ঠীগুলি আমিনের রাজনৈতিক নির্যাতনের বিশেষ বিষয় ছিল কারণ তারা ওবোতেকে সমর্থন করেছিল এবং সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশ তারাই ছিল। ১৯৭৮ সালে, আন্তর্জাতিক আইনজীবী কমিশন অনুমান করেছিল যে আমিনের সন্ত্রাসবাদের সময় ১,০০,০০০ জনেরও বেশি উগান্ডাবাসীকে হত্যা করা হয়েছিল। কিছু কর্তৃপক্ষ তো এই সংখ্যাটিকে আরও বেশি- ৩,০০,০০ মনে করেছিল — ২০০৬ সালের চলচ্চিত্র দ্য লাস্ত কিং অফ স্কটল্যান্ড এর শেষে একটি পরিসংখ্যান উদ্ধৃত হয়েছিল, যেখানে উপাখ্যাত হয়েছিল আমিনের একনায়কতন্ত্রের কিছু অংশ।
উগান্ডা থেকে নির্বাসিতরা, যারা উগান্ডা সীমান্তের কাছে মুটুকুলার একটি শিবির ছিল, উগান্ডা সেনাবাহিনীর তানজানিয়ায় আক্রমণ করার ফলে তারা একটি সীমান্ত বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৭৮ সালের অক্টোবরে, তানজানিয়ান সশস্ত্র বাহিনী, আমিনের সৈন্যদের তানজানীয় অঞ্চলে আক্রমণ, প্রত্যাহত করেছিল। তানজানিয়ান সেনাবাহিনী, উগান্ডার নির্বাসিতদের কাছে সমর্থন পেয়ে, আমিনের সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল। লিবিয়ার সেনাদের প্রেরণ করা হয়েছিল আমিনকে সাহায্য করার জন্য। ১১ই এপ্রিল ১৯৭৯, কাম্পালা দখল করা হয় এবং আমিন তাঁর অবশিষ্ট বাহিনী নিয়ে লিবিয়া পালিয়ে যান।
উগান্ডা-তানজানিয়া যুদ্ধের পরে আমিনের রাজত্ব ১৯৭৯ সালে শেষ হয়েছিল। এই যুদ্ধে তানজানিয়ার সেনাবাহিনী উগান্ডার নির্বাসিতদের সহায়তায় উগান্ডা আক্রমণ করেছিল। এর ফলে ওবোতের প্রত্যাবর্তন ঘটে, যিনি ১৯৮৫ সালে জেনারেল টিটো ওকেলো দ্বারা আবার পদচ্যুত হন। ওকেলো পদচ্যুত হওয়ার আগে পর্যন্ত ছয় মাস শাসন করেছিলেন। উগান্ডার গেরিলা যুদ্ধের পরে তিনি পদচ্যুত হয়েছিল। ইয়োভেরি মুসেভেনি এবং বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেমন অ্যান্ড্রু কায়িরার ফেডারেল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জন কোয়াঙ্গার অন্য একটি দলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে জাতীয় প্রতিরোধ সেনা (এনআরএ), লড়াই করেছিল। গেরিলা যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী অ-যোদ্ধাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল।[১০]
১৯৭৯ সাল থেকে উগান্ডা
সম্পাদনাআমিনের অপসারণের পরে, উগান্ডা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে, যার সভাপতি ছিলেন ইউসুফ লুলে এবং মহাসচিব জেরেমিয়া লুকাস ওপিরা। এই সরকার প্রশাসনের কাজের জন্য একটি মন্ত্রিসভা গ্রহণ করেছিল এবং জাতীয় পরামর্শদাতা কমিশন (এনসিসি) নামে পরিচিত একটি অর্ধ সংসদীয় পর্ষদ তৈরি করে। এনসিসি এবং লুলে মন্ত্রিসভা ব্যাপকভাবে পৃথক রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করছিল। ১৯৭৯ সালের জুনে, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার সীমা নিয়ে বিরোধের পরে, এনসিসি লুলেকে সরিয়ে গডফ্রে বিনাইসাকে নিয়ে আসে।
অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে অব্যাহত বিতর্ক এর মধ্যে, বিনাইসাকে ১৯৮০ সালের মে মাসে সরানো হয়েছিল। এরপরে, পাওলো মুওয়াঙ্গার সভাপতিত্বে একটি সামরিক কমিশন উগান্ডার শাসনভার নিয়েছিল। ১৯৮০ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মিল্টন ওবোতের নেতৃত্বে ইউপিসিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে দেয়, মুওয়াঙ্গা এই সরকারে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ওবোতের শাসনকালে, সুরক্ষা বাহিনীর মানবাধিকার রেকর্ড বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে খারাপ ছিল। ইয়োভেরি মুসেভেনির নেতৃত্বে জাতীয় প্রতিরোধ সেনা (এনআরএ)র একটি বিদ্রোহ দমনে তাদের প্রয়াসে, তারা দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশে বর্জ্য ছড়িয়ে দিয়েছিল, বিশেষত কাম্পালার উত্তরে লুভেরো অঞ্চলে।
ওবোতে ১৯৮৫ সালের ২৭শে জুলাই পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। বেশিরভাগ জাতিগত আচোলি সেনা সমন্বিত এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাজিলিও ওলারা-ওকেলো দ্বারা পরিচালিত সেনা ব্রিগেড, কাম্পালা দখল করে সামরিক সরকার ঘোষণা করে। ওবোতে জাম্বিয়া প্রবাসে পালিয়ে এসেছিলেন। প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার জেনারেল টিটো ওকেলোর নেতৃত্বে নতুন সরকার, (লে.জেনারেল ওলারা-ওকেলোর সাথে কোনও সম্পর্ক নেই), মুসেভেনির বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে আলোচনার সূচনা করে এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ানো, উপজাতিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষ করা এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরই মধ্যে ওকেলো সরকার এনআরএর সমর্থন নষ্ট করার প্রয়াসে নৃশংস পাল্টা জঙ্গিবাদ চালিয়ে যাওয়ায় এই সময়ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত ছিল।
১৯৮৫ সালের শুরুর দিকে নাইরোবিতে ওকেলো সরকার এবং এনআরএর মধ্যে আলোচনা হয়েছিল, কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি ড্যানিয়েল আরপ মোই যুদ্ধবিরতি এবং উগান্ডায় একটি জোট সরকার চেয়েছিলেন। যদিও ১৯৮৫ সালের শেষের দিকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানানো হয়েছিল, এনআরএ লড়াই চালিয়ে যায় এবং কাম্পালা সহ দেশ দখল করে ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে। ওকেলোর বাহিনী উত্তর সুদানে এ পালাতে বাধ্য হয়। মুসেভেনির বাহিনী রাষ্ট্রপতি হিসাবে মুসেভেনিকে নিয়ে একটি সরকার সংগঠিত করে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, মুসেভেনি এবং তার অনুসারীদের দ্বারা তৈরি রাজনৈতিক দল দ্বারা প্রভাবিত সরকার, জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন (এনআরএম বা "আন্দোলন"), পূর্ববর্তী সরকারগুলির মানবাধিকার লঙ্ঘনকে বহুলাংশে বন্ধ করে দিয়েছে, প্রচুর রাজনৈতিক উদারীকরণ এবং সাধারণ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচনা করেছে, এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক, এবং দাতা সরকারগুলির সাথে পরামর্শের পরে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার প্রতিষ্ঠা করেছে।
উত্তরাঞ্চলে যেমন আচোলি বসতভূমিতে, ১৯৮৬ সাল থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ চলছে। আচোলি ভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে উগান্ডা পিপলস ডেমোক্রেটিক আর্মি এবং হোলি স্পিরিট আন্দোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। কেবলমাত্র বাকী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হ'ল লর্ডের প্রতিরোধ সেনা যার নেতৃত্বে ছিলেন জোসেফ কোনি, যে দল সৈনিক বা যৌন দাস হিসাবে সেবা দেওয়ার জন্য শিশুদের ব্যাপকভাবে অপহরণ করত।
১৯৯৬ সালে, বিদ্রোহী নেতা লরেন্ট-ডিজায়ার কাবিলার পক্ষে প্রথম কঙ্গো যুদ্ধে, জায়ারের রাষ্ট্রপতি মোবাউটু সেজ সেকোর উচ্ছেদের মূল সমর্থক ছিল উগান্ডা।
আরও দেখুন
সম্পাদনাটীকা
সম্পাদনা- ↑ East Africa Living Encyclopedia
- ↑ ক খ Rita M. Byrnes, ed. Uganda: A Country Study. Washington: GPO for the Library of Congress, 1990. p. 4
- ↑ Evans, Ruth (২৪ মে ২০০০)। "Kenya's Asian heritage on display"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Chao (২৬ অক্টোবর ২০১৪)। "THE LUNATIC EXPRESS – A PHOTO ESSAY ON THE UGANDA RAILWAY."। Thee Agora। ২২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ West, Stewart (ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Policing, Colonial Life and Decolonisation in Uganda, 1957–1960" (পিডিএফ)। The Ferguson Centre for African and Asian Studies, Working Paper No. 03। পৃষ্ঠা 3–4। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Fèvre, E. M.; Coleman, P. G.; Welburn, S. C.; Maudlin, I. (এপ্রিল ২০০৪)। "Reanalyzing the 1900–1920 Sleeping Sickness Epidemic in Uganda" (পিডিএফ)। Emerging Infectious Diseases। US: Centers for Disease Control and Prevention। ১০ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ "A Country Study: Uganda", Library of Congress Country Studies
- ↑ Keatley, Patrick (১৮ আগস্ট ২০০৩)। "Obituary: Idi Amin"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০০৮।
- ↑ "UK Indians taking care of business", The Age (8 March 2006). Retrieved 24 March 2013.
- ↑ Henry Wasswa, “Uganda's first prime minister, and two-time president, dead at 80,” Associated Press, 10 October 2005
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- এই নিবন্ধটিতে Library of Congress Country Studies থেকে পাবলিক ডোমেইন কাজসমূহ অন্তর্ভুক্ত যা পাওয়া যাবে এখানে । - Uganda
- U.S. State Department Background Note: Uganda
- East Africa Living Encyclopedia, African Studies Center, University of Pennsylvania
- Origins of Bunyoro-Kitara Kings, Bunyoro-Kitara website
- Phyllis Martin and Patrick O'Meara (আগস্ট ১৯৯৫), Africa. 3rd edition, Indiana University Press
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- "Uganda"। Political Chronology of Africa। Political Chronologies of the World। Europa Publications। ২০০১। আইএসবিএন 0203409957।