উইলিয়াম স্টার্ন

জার্মান মনোবিজ্ঞানী

উইলিয়াম স্টার্ন (২৯ এপ্রিল ১৯৭১ – ২৭ মার্চ ১৯৩৮) একজন জার্মান মনোবিজ্ঞানী এবং দার্শনিক ছিলেন, যার জন্ম নাম লুই উইলিয়াম স্টার্ন। তিনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্রিক মনোবিজ্ঞানের বিকাশের জন্য পরিচিত যেখানে পরিমাপযোগ্য ব্যক্তিত্বকেন্দ্রিক-প্রলক্ষণগুলোর (চরিত্র নির্ধারক বিশেষ বৈশিষ্ট্য) পরীক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তির উপর সেই সাথে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে আমিত্বের তথা সত্তার সৃষ্টিতে এই প্রলক্ষণগুলোর যে মিথষ্ক্রিয়া তার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।

উইলিয়াম স্টার্ন
জন্ম
লুইস উইলিয়াম স্টার্ন

এপ্রিল ২৯, ১৮৭১ (1871-04-29)
মৃত্যুমার্চ ২৭, ১৯৩৮ (1938-03-28) (বয়স ৬৬)
জাতীয়তাজার্মান
পেশামনোবিজ্ঞানী
দাম্পত্য সঙ্গীক্লারা স্টার্ন
সন্তানহিল্ড (১৯০০–১৯৬২),

গুন্থার অ্যান্ডার্স (১৯০২–১৯৯২),

ইভা (১৯০৪–১৯৯২)
পিতা-মাতা
  • জোসেফ স্টার্ন (১৮৩৭-১৮৯০) (পিতা)

স্টার্ন বুদ্ধ্যঙ্ক বা আইকিউ শব্দটি উদ্ভাবন করেন। শব্দের তীক্ষ্মতার পরিবর্তন একজন মানুষের মধ্যে কেমন উপলব্ধির তৈরি করে সেই বিষয়টি অধ্যয়নের একটি নতুন উপায় হিসেবে তিনি স্বর পরিবর্তক নামের একটি যন্ত্রের আবিষ্কার করেছিলেন। স্টার্ন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে হারমান এবিংহাউসের অধীনে মনোবিজ্ঞান এবং দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং দ্রুতই সেখান থেকে ব্রেসলাউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাতার কাজে স্থানান্তরিত হন। পরে তিনি হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন।

কর্মজীবন চলাকালীন স্টার্ন বিভেদী মনোবিজ্ঞান, ক্রিটিক্যাল পার্সোনালিজম, ফরেনসিক মনোবিজ্ঞান, এবং বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষণের মতো মনোবিজ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্রগুলোর পথিকৃত অনেক বই লিখেছেন। স্টার্ন শিশু মনোবিজ্ঞান ক্ষেত্রটিতেও একজন অগ্রগামীর ভূমিকা পালন করেন। উইলিয়াম স্টার্ন এবং সহধর্মিনী ক্লারা জোসেফি স্টার্ন এই দম্পতি ১৮ বছর ধরে পরিশ্রম করে তাদের ৩ সন্তানের জীবনের উপর বিশদভাবে নির্ভুল রোজনামচা লিখে রাখতেন। এই খতিয়ানগুলো পরে তিনি বেশ কয়েকটি বই লেখার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। সময়ের তুলনায় এটা যে শিশু মনোবিজ্ঞানের বিকাশে এক অভূতপূর্ব দৃষ্টিভঙ্গি এর মাধ্যমে সেটা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়।

জীবনী সম্পাদনা

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৮৭১ সালের ২৯ এপ্রিল স্টার্ন জার্মানির বার্লিনে রোজা এবং জোসেফ স্টার্ন (১৮৩৭-১৮৯০) দম্পতির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা-মা তাদের একমাত্র সন্তানের নাম লুইস উইলিয়াম রাখেন, কিন্তু পরে স্টার্ন তার নামের প্রথম পদটি বাদ দেন এবং কেবল উইলিয়াম নামে পরিচিত হন। স্টার্নের বাবার বার্লিনে একটি ছোট ডিজাইনের স্টুডিও ছিল, যদিও ব্যবসাটি খুব একটা সফল হয়নি। জোসেফ তার পরিবারের জন্য যৎসামান্য অর্থকড়ি রেখেই ১৮৯০ সালে এমন এক সময়ে পরলোকগত হন যখন উইলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ফলে অসুস্থ মায়ের দেখভালের জন্য ১৮৯৬ সালে তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত স্টার্নকে ছাত্র পড়িয়ে অর্থোপার্জন করতে হয়েছিল।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Lamiell 2003, পৃ. 2–6।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা