কারামেহের যুদ্ধ

কারামেহের যুদ্ধ ছিল ১৯৬৮ সালের ২১শে মার্চে ক্ষয়কারক যুদ্ধ চলাকালে জর্দানের কারামেহ শহরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এবং ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (পিএলও) ও জর্দানি সশস্ত্র বাহিনীর (জেএএফ) যৌথবাহিনীর মধ্যে সংঘটিত ১৫ ঘণ্টার একটি সামরিক যুদ্ধ। এটি পিএলও শিবিরে দুটি সমকালীন অভিযানের একটি হিসেবে ইসরায়েল দ্বারা পরিকল্পিত হয়েছিল। দুটি অভিযানের একটি কারামেহ্তে এবং অন্যটি দূরবর্তী সাফি গ্রামে পরিচালিত হয়েছিল, যাদের সাংকেতিক নাম যথাক্রমে অপারেশন ইনফার্নো এবং অপারেশন আসুতা, তবে প্রথম অভিযানটি একটি পুরোদস্তর যুদ্ধে পরিণত হয়। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর, পিএলও তাদের ঘাঁটি জর্দানে সরিয়ে নেয় এবং সীমান্তবর্তী কারামেহ শহরে সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গেরিলা আক্রমণের পদক্ষেপ নেয়। আইডিএফ দাবি করে যে, তাদের আক্রমণের কারণ ছিল কারামেহের সংগ্রামী পিএলও শিবির ধ্বংস করা এবং ইয়াসির আরাফাতকে প্রতিশোধ হিসেবে বন্দি করা। যদিও ধারণা করা হয়ে থাকে, আইডিএফ ফিলিস্তিনি ফেদাইনদের (ফেদাইন, যার অর্থ আত্মত্যাগী) প্রতি জর্দানের সমর্থনের জন্য জর্দানকে শায়েস্তা করতে চেয়েছিল। ইসরায়েল ধারণা করেছিল জর্দান সেনাবাহিনী যুদ্ধে যোগদান থেকে বিরত থাকবে, কিন্তু জর্দানি সেনারা তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত করে ভারী কামান মোতায়ন করে। ইসরায়েলিরা এক দিনব্যাপী যুদ্ধের পর কারামেহ শিবিরের অধিকাংশ ধ্বংস করে এবং ১৪০ জন পিএলওর সদস্যকে বন্দি করার পর সৈন্যদের প্রত্যাহার করে। এ যুদ্ধের ফলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রেজ্যুলেশন ২৪৮ গৃহীত হয়, যা সর্বসম্মতিক্রমে ইসরায়েলকে অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘ্ন ও সামরিক শক্তির অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারের জন্য দায়ি করে। (বাকি অংশ পড়ুন...)