ইলেকট্রনিক বর্তনী
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
ইলেকট্রনিক বর্তনী হচ্ছে একধরনের তড়িৎ বর্তনী যাতে সক্রিয় ইলেকট্রনীয় যন্ত্রাংশ যেমন রোধক (রেজিস্টর), ধারক (ক্যাপাসিটর), আবেশক (ইনডাক্টর), দ্বিতড়িৎদ্বার (ডায়োড) ও ট্রানজিস্টর বিদ্যমান। এগুলি তার বা পরিবাহী রেখা (ট্রেস) দ্বারা সংযুক্ত থাকে যেগুলির ভেতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে। কোনও বৈদ্যুতিক বর্তনীতে কমপক্ষে একটি সক্রিয়া উপাদান থাকলে সাধারণত সেটিকে বৈদ্যুতিক বর্তনীর পরিবর্তে ইলেকট্রনীয় বর্তনী নামে ডাকা হয়। উপাদান ও তারের সংযোগের দ্বারা বিভিন্ন সরল ও জটিল ক্রিয়া সম্পাদন করা সম্ভব হয়। যেমন কোনও সংকেতকে বিবর্ধিত করা, পরিগণনা সম্পাদন করা, উপাত্ত স্থানান্তর করা, ইত্যাদি।[১]
ইলেকট্রনীয় বর্তনীগুলির বিচ্ছিন্ন উপাদানগুলিকে একটি একটি করে তারের অংশ দিয়ে সংযুক্ত করে বর্তনী নির্মাণ করা সম্ভব হলেও বর্তমানে শিলালোকচিত্রণ কৌশলের দ্বারা একটি বহু-পরতবিশিষ্ট অধোস্তরে আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি করে (একটি মুদ্রিত বর্তনী ফলক) এবং উপাদানগুলিকে ঐ আন্তঃসংযোগগুলির সাথে ঝালাই করে দেওয়াই অধিক প্রচলিত। একটি সমন্বিত বর্তনীতে উপাদান ও আন্তঃসংযোগগুলি একই অধোস্তরে গঠন করা হয়। সাধারণত এই অধোস্তরটি একটি খাদযুক্ত সিলিকন জাতীয় অর্ধপরিবাহী বা কদাচিৎ গ্যালিয়াম আর্সেনাইড দিয়ে তৈরি হয়। [২]
একটি ইলেকট্রনীয় বর্তনীকে সাধারণত অ্যানালগ বর্তনী, ডিজিটাল বর্তনী বা মিশ্র-সংকেত বর্তনী (অ্যানালগ ও ডিজিটাল বর্তনীর সমন্বিত রূপ) হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। ইলেকট্রনীয় বর্তনীগুলিতে সবচেয়ে ব্যাপকরূপে ব্যবহৃত অর্ধপরিবাহী সাধনীটি হল মসফেট (ধাতব অক্সাইড-অর্ধপরিবাহী ক্ষেত্র-ক্রিয়া ট্রানজিস্টর)[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Charles Alexander and Matthew Sadiku (২০০৪)। "Fundamentals of Electric Circuits"। McGraw-Hill।
- ↑ Richard Jaeger (১৯৯৭)। "Microelectronic Circuit Design"। McGraw-Hill।
- ↑ Golio, Mike; Golio, Janet (২০১৮)। RF and Microwave Passive and Active Technologies। CRC Press। পৃষ্ঠা 18-2। আইএসবিএন 9781420006728।