ইয়াসমিন আরা চৌধুরী

ইয়াসমিন আরা চৌধুরী একজন ব্রিটিশ সামাজিক উদ্যোক্তা, এবং লাভদেশ এবং এমকারিজা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা

ইয়াসমিন চৌধুরী
জন্ম
ইয়াসমিন আরা চৌধুরী
জাতীয়তাব্রিটিশ
শিক্ষাবিএ অর্নাস ব্যবসায় শিক্ষা
মাতৃশিক্ষায়তনঅয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
রোয়হ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসামাজিক উদ্যোক্তা
কর্মজীবন২০০৯–বর্তমান
উপাধিলাভদেশ এবং এমকারিজা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা
পিতা-মাতাআবদুল মুকিত চৌধুরী (পিতা)
রৌশন আরা চৌধুরী
আত্মীয়নাজমিন চৌধুরী (বোন)
নাজমুল চৌধুরী (ভাই)
জেসমিন চৌধুরী( বোন)
নাজরীন চৌধুরী (বোন)

প্রারম্ভের জীবন সম্পাদনা

ইয়াসমিন চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন সিলেটের একটি ধর্মীয় রক্ষণশীল পরিবারে। তার বাবা আলহাজ্ব আব্দুল মুকিত চৌধুরী এবং মা রৌশন আরা চৌধুরী। তিনি দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডন, ইংল্যান্ডে প্রতিপালিত হন। তার বাবারা আট ভাই যারা আলী নগর, বাংলাদেশে বড় হয়েছিল। ইয়াসমিন চৌধুরীর এক ভাই ও তিন বোন রয়েছে। তার বড় ভাই নাজমুল একটি এমবিএ স্নাতক করছেন, তার বড় বোন নাজমিন একজন উকিল, তার যমজ বোন জেসমিন একটি প্রাথমিক স্কুলের ডেপুটি প্রধান শিক্ষক, এবং তার ছোট বোন নাজরীন একজন চিত্রনাট্যকার। ইয়াসমিন চৌধুরী বিজনেস স্টাডিজ বিভাগের একটি বি.এ. স্নাতক এবং মার্কেটিং চার্টার্ড ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা করেছেন।[১][১][২][৩]

ক্যারিয়ার সম্পাদনা

নভেম্বর ২০১৩ সালে, চৌধুরী লাভদেশ নামে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন যেটি ভ্রমণের নিরাপত্তা প্রদান করে এবং ভ্রমণের প্যাকেজ সুবিধা দেয়। [৪][৫] মার্চ ২০১০ সালে তিনি এমকারিজা ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে যা বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের সাহায্য করার জন্য কাজ করে। [৬] ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে, চৌধুরী মেরটন,লন্ডনের মেরটন অ্যাবে মিলের একটি সাউন্ড লাউঞ্জ উৎসবে কাঠের আগুনে তৈরি কিছু বাংলাদেশী খাবারের উপস্থাপন করেন। ওই বছরের মে মাসে, তিনি বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক তার উপরে নাদিয়া আলী দ্বারা একটি সাক্ষাতকার নিয়েছিল। [৭] ওই বছরের জুলাই মাসে ডয়চে ভেলে তাকে নিয়ে একটি সাক্ষাতকার নেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে, তিনি #LTTTW ( চল তৃতীয় বিশ্ব ভ্রমণ করা যাক), নামক একটি প্রচারণা চালান যেটি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ভ্রমণের জন্য ভ্রমণকারীদের উৎসাহিত করে। [৪][৮]

সম্মাননা ও পুরস্কার সম্পাদনা

২০১৩ এর নভেম্বরে, চৌধুরী জিতেন বিশ্ব ঝলর ভ্রমণ মার্কেট প্রতিযোগিতা।[২] ভ্রমণ বিষয়ক অপরিচিত গন্তব্য শীর্ষক একটি তালিকায় তিনি অভিজ্ঞ হিসেবে গন্য হন।[২][৯]

২০১৬ এর ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেরা উদ্যোক্তার জন্য ব্রিটিশ মুসলিম এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। [১০]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

ইয়াসমিন চৌধুরী এক সন্তানের জননী। ২০০৪-এ সিলেটে একবার ভ্রমণের সময় তারঁ পিতা মারা যায়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Baker, Vicky (৫ জুলাই ২০১৪)। "How tourism is taking off in Bangladesh"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  2. Habib, Rumana (২৭ মার্চ ২০১৪)। "For Love of Desh"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। Dhaka। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  3. "For the love of Bangladesh"Deutsche Welle (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  4. Cann, Chloe (৩ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Lovedesh founder: 'Bootstrapping' makes you creative and focused"Travel Trade Gazette (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  5. "Bangladesh among top 40 countries to visit in 2014"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh। ৮ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৫ 
  6. Gray, Christopher (১০ জুলাই ২০১৪)। "Spice 'n' all things nice at The Snooty Mehmaan"The Oxford Times (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  7. "Can Bangladesh ever become a tourist hot spot?"BBC Asian Network (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  8. Barr, Ellen (২০ আগস্ট ২০১৪)। "It's written in the stars for Derry model and actor Caolan McClafferty"Derry Journal (ইংরেজি ভাষায়)। Derry। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৫ 
  9. "Yasmin Choudhury"Travel Trade Gazette। ১০ জুলাই ২০১৪। ২৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৫ 
  10. "British Muslim Awards 2016"Asian World (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ২১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা