ইবনে ওয়াদ্দাহ

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ওয়াদ্দাহ বিন বাজিহ আল-উমাওয়ি’ ল-মারওয়ানী আল-কুরতুবী ( Abū ʿAbdallāh Muḥammad ibn Waḍḍāḥ ibn Bazīʿ al-Umawī l-Marwānī l-Qurṭubī ) ( ১৯৯ হিজরী - ২৮৭ হিজরী / ৮১৫-৯০০ খৃঃ) একজন ইসলামী পণ্ডিত ও বিখ্যাত মুসলিম সেনা কমান্ডার ও আধুনিকতাবাদী আন্দালুসিয়ান ছিলেন। তার দাদা বায়জী ছিলেন একজন দাস সৈনিক, যিনি সম্ভবত উমাইয়া আমির-আবদ আল-রামন প্রথম (৭৫৬-৮৮ খৃঃ) এর সময়ে ওভিডো থেকে আসা একজন খ্রিস্টান ছিলেন। সেইসময়ে একজন আরবীয় না হয়েও ইবনে ওয়াদ্দাহ ইসলামী পান্ডিত্যের জগতে বিচরন করেছিলেন।

তার জীবন সম্পাদনা

আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ওয়াদ্দাহ ইবনে বাজিহ আল-মারওয়ানী আল-কুরতুবী ১৯৯ হিজরিতে আবদুল-রহমান আল- দাখিলের অনুসারীদের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। [১] তিনি আন্দালুসিয়ায় মুহাম্মদ বিন ইসা আল-আশা, মুহাম্মদ বিন খালিদ আল-আশাজ, ইয়াহইয়া বিন ইয়াহিয়া, সাইদ বিন হাসান, জুনান বিন আল - হাসান, আবদুল আল- মালিক বিন হাবিব এবং আবদ-আল- ইলা ইবনে ওয়াহাবের অনুগত্য গ্রহণ করেছিলেন । [২]

তিনি দুবার ওরিয়েন্টে গিয়েছিলেন। প্রথমবার ২১৮ হিজরীতে, যে সময়ে সাইদ বিন মনসুর, আদম বিন আবি আইয়াস আল-আসকালানী, ইয়াহিয়া বিন মুইন, আহমেদ বিন হাম্বল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সাথে সাক্ষৎ করেছিলেন।

যদিও তাঁর ভ্রমণের লক্ষ্য ছিল খৃষ্টান সন্ন্যাসী-উপাসকদের সাথে দেখা করা এবং সেখানে মুসলমান ও খৃষ্ট্রানদের মধ্যে সুসম্পর্ক দৃঢ় করা।

অতঃপর তিনি দ্বিতীয়বার সফরে গিয়েছিলেন এবং ইসমাইল বিন আবি উয়েস ও ইয়াকুব বিন হামিদ বিন কাসিবসহ বহু বাগদাদী, মক্কা, শামী, মিশরীয় গ্রামবাসীর কাছ থেকে তিনি এ সম্পর্কে শুনেছিলেন। এছাড়াও জুহায়ের বিন আববাদ, আসবাগ বিন আল-ফারাজ, সাহনুন বিন সাঈদ আল-তনৌখী প্রমুখ ব্যক্তিদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন।, ইবন আল-ফারাদী তাকে তাদের ১৭৫ পুরুষদের একজন বলে মানত। [২]

ইবনে ওয়াদ্দাহ কর্তৃক রচিত বইগুলি হল-

১."দাস ও দাস( العباد والعوابد )", যেটি ইবাদহ সম্পর্কিত একটি বই । ২. "মেষ ( القطعان)" , যা হাদীসের একটি বই।

৩. "বিজ্ঞানের গোপন রহস্য ও নিষ্কাশন ( مكنون السر ومستخرج العلم ) ", যেটি মালিকি আইনশাস্ত্রের উপর লেখা।

৪. "ধর্মবিরোধী এবং এর নিষেধাজ্ঞা ( البدع والنهى عنها )"

এবং একটি বইয়ে হাদীসের আলোকে স্রষ্টার দিকে প্রত্যাবর্তন বিষয়ক একটি বই। [৩] যেগুলো আহমাদ ইবনে খালিদ আল-জবাব, কাসিম বিন আসবাগ, মুহাম্মদ বিন আয়মান, আহমদ বিন উবাদাহ, মুহাম্মদ ইবনে-মাসওয়ার প্রমুখ সুত্রে বর্ণিত। [১]

ইবনে ওয়াদ্দাহ ২রা মোহাররম, ২৮৭ হিজরী (৮ ই জানুয়ারী, ৯০০ খৃঃ)-তে মৃত্যুবরণ করেন। [২]

তার সম্পর্কে পণ্ডিতদের মতামত সম্পাদনা

আল যাহাবী তাঁর সম্পর্কে বলেছেন: "ইমাম আল-হাফিজ, বাকী বিন মুখলেদ-এর মত তিনিও আন্দালুসিয়ার একজন আধুনিকতাবাদী ছিলেন। [১] ইবনে আল-ফারদী বলেছেন: ‘মুহাম্মদ ইবনে ওয়াদ্দাহ ও বাকী ইবনে মুখলিদকে নিয়ে আন্দালুসিয়া হাদিসের আবাসস্থল হয়ে উঠেছিল। তিনি তাঁর সম্পর্কে আরও বলেছেন যে: তিনি হাদীসের একজন আলেম ছিলেন, হাদীসের ব্যাখ্যা ও কারণ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন। [২] ইসনেড এবংদুর্লভ দেখে বিশ্ব কথা বলছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. إسلام ويب - المكتبة الإسلامية - سير أعلام النبلاء للذهبي - ابن وضاح ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-০৬-১৫ তারিখে
  2. ابن الفرضي 1966
  3. "المكتبة الشيعية - الأعلام لخير الدين الزركلي - ابن وضاح"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২০ 

সূত্র সম্পাদনা

  • تاريخ علماء الأندلس। الدار المصرية للتأليف والترجمة। ১৯৬৬।  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)