ইটোরো অথবা ইডোলো হচ্ছে পাপুয়া নিউগিনির উপজাতীয় গোষ্ঠী। বসাবি রাজ্যের উত্তর-পূর্বদিকে এই জাতির বসবাস। এই গোষ্ঠীর তরুণ এবং পুরুষদের মধ্যে যে সম্পর্ক তার জন্য এরা নৃতাত্ত্বিকদের কাছে খুবই সুপরিচিত। ইতোরো গোষ্ঠী বিশ্বাস করে, পরিপক্ব এবং শক্তিশালী পুরুষ হওয়ার জন্য তরুণদের পুরুষদের বীর্য গলাধঃকরণ করতে হবে।[১]

ইটারো জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস করা তারা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণে জীবনীশক্তি ধারণ করে; যার সম্পূর্ণটাই নিহিত আছে বীর্যতে। এই জীবনীশক্তি একজন থেকে অপরজনে প্রবাহিত হয় সঙ্গমের মাধ্যমে। সঙ্গমের পর নারী যদি সন্তান জন্ম দিতে না পারে তবে তাকে জীবনীশক্তির নাশকারী হিসেবে অভিহিত করা হয়। ধীরে ধীরে কোনো মানুষ যখন বয়স্ক হয় এবং তাদের শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়, সেই মানুষের জীবনীশক্তি হ্রাস পাচ্ছে বলে বিশ্বাস করা হয় ইটোরো জনগোষ্ঠীতে।

২০০৯ খ্রিষ্ঠাব্দে,ন্যাশনাল জিওগ্রাফির সোসাইটির প্রতিবেদন অনুসারে ১৬৬৮ জনেরও কম মানুষ ইটোরো ভাষায় কথা বলেন।[২]

বিবাহ সম্পাদনা

ও নেইল এবং কট্টাক যুক্তি দেন, বেশিরভাগ পুরুষকে বিবাহ করতে হয় এবং তাদের স্ত্রীর সাথে বিষমকামী সম্পর্ক তৈরি করতে হয়। তবে এই গোষ্ঠীর মানুষেরা মনে করেন বিষমকামী যৌন সম্পর্কের ফলে তাদের মৃত্যুর সময় ত্বরান্বিত হবে পক্ষান্তরে সমকামী যৌন সম্পর্কের ফলে তাদের মৃত্যুর সময় দীর্ঘায়িত হবে। তারা বিষমকামী যৌন সম্পর্ক করে শুধুমাত্র প্রজননের জন্য।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Henrich, Joseph; Heine, Steven; Norenzayan, Ara (২০১০)। "The weirdest people in the world?" (পিডিএফ)Behavioral and Brain Sciences33 (2–3): 61–83; discussion 83–135। ডিওআই:10.1017/S0140525X0999152Xপিএমআইডি 20550733 
  2. "Papua New Guinea Expedition -- Enduring Voices Project, Endangered Languages, Map, Facts, Photos, Videos -- National Geographic"National Geographic। Summer ২০০৯। ২০১৬-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২০ 
  3. O'Neil, Dennis। "Sex and Marriage: Homosexuality"Sex and Marriage: An Introduction to The Cultural Rules Regulating Sexual Access and Marriage। ২০০২-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৬-২০