ইউসেফ দেই মসজিদ
ইউসেফ দেই মসজিদ,(আল বিচামকিয়া নামেও পরিচিত) তিউনিসিয়ার তিউনিস শহরের মদিনা এলাকায় অবস্থিত ১৭ শতকের একটি মসজিদ। মসজিদটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ এটি তিউনিসে নির্মিত প্রথম অটোমান-তুর্কি মসজিদ।[১]
ইউসেফ দেই মসজিদ | |
---|---|
جامع يوسف داي | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি |
অবস্থান | |
অবস্থান | তিউনিস, তিউনিসিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৩৬°৪৭′৪৯″ উত্তর ১০°১০′১০″ পূর্ব / ৩৬.৭৯৬৯৪° উত্তর ১০.১৬৯৪৪° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
এই মসজিদটি তিউনিসিয়ায় একটি সরকারী ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। এটি ১৬৩১ সালে ইউসেফ দেই দ্বারা মসজিদে রূপান্তরিত হয়। এর আগে এটি প্রাথমিকভাবে জনসাধারণের সভা-সমাবেশের স্থান হিসাবে পরিচালিত হয়েছিল। তখন এটি ছিল তিউনিসিয়ার রাজধানীতে নির্মিত হওয়া ১১তম মসজিদ। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আলী বে এর নির্দেশে এটি মসজিদ হিসেবে চূড়ান্তভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়। ১৯২৬ সালে একটি ডিক্রির মাধ্যমে মসজিদটি ইজ-জিতুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ রূপান্তর করা হয়।[২]
-
মিনার
-
২০ শতকের শুরুর দিকে ইউসেফ দেই মসজিদ
-
১৯০৮ সালে ইউসেফ দেই মসজিদ
-
বাইরের দৃশ্য
-
ভেতরের দৃশ্য
-
মসজিদ চত্বর
প্রার্থনা কক্ষ সম্পাদনা
মসজিদটির প্রার্থনা কক্ষের পূর্ব, উত্তর এবং পশ্চিম তিন দিক দিয়ে একটি উঠান রয়েছে। উত্তরের সম্মুখভাগ বরাবর, একটি পোর্টিকো রয়েছে। এটি একটি আয়তক্ষেত্রাকার কক্ষ। কক্ষটি বেশ কয়েকটি খুঁটির ওপর হাইপোস্টাইল কক্ষের মতো অনুযায়ী স্থির আছে। এটি নয়টি নেভ এবং সাতটি বেই (দুটি স্থাপনার মধ্যকার খোলা স্থান) নিয়ে গঠিত। এটির খিলানগুলি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এটি হাফসীয় স্থাপত্যশৈলীর স্তম্ভের উপরের অংশের শৈলীর একটি নিদর্শন। প্রার্থনা হলের আচ্ছাদন হলো একটি কুঁচকির খিলান। মিহরাবের সামনে একটি কপোলা এবং শৃঙ্গাকার অষ্টভুজাকার ভিত্তি রয়েছে।[৩] এটির কাছে পলিক্রোম মার্বেলের প্যানেল দিয়ে আচ্ছাদিত মিম্বর রয়েছে। সাধারণত সমস্ত মালিকীদের মসজিদে একটি অভিনব ধরনের কাঠের মিম্বর থাকে।[৩]
-
মসজিদের একটি দরজা
-
প্রার্থনা কক্ষের অভ্যন্তরের দৃশ্য
মিনার সম্পাদনা
এই মসজিদের মিনারটি তিউনিসে নির্মিত প্রথম অষ্টভুজাকার মিনার। এটি হাফসীয়দের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। অষ্টভুজাকার এই মিনারটি একটি বর্গাকার ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে আছে। এটির শেষপ্রান্তে কাঠের শামিয়ানা দ্বারা সুরক্ষিত একটি বারান্দা রয়েছে। মিনারের পুরোটিতে একটি সূর্যালোকে প্রবেশের উপযোগী পিরামিড আকৃতির ছাদ রয়েছে, যা সবুজ টাইলস দ্বারা আবৃত।[৩]
-
মিনারের দৃশ্য
-
মিনারের ওপরের অংশ
সমাধি সম্পাদনা
মসজিদটিতে ইউসেফ দেই-এর সমাধিও রয়েছে। তার সমাধিটি উপাসনার স্থানের সাথে যুক্ত। সমাধিটি বর্গাকার কাঠামোবিশিষ্ট এবং এটি পিরামিড আকৃতির একটি ছাদ ও এর ওপর সবুজ টাইলস দিয়ে আচ্ছাদিত। এটির সম্মুখভাগের প্রতিটি স্তরে একটি করে বৃহৎ আকৃতির বদ্ধ করিডর রয়েছে, যার নিচের সমতলে দুটি স্তরের কোণা রয়েছে। সাদা মার্বেল নির্মিত সম্মুখভাগের অংশটির ক্ল্যাভেলাস পর্যায়ক্রমে কালো এবং সাদা রঙে সজ্জিত। কেন্দ্রীয় খিলানের উপর একটি স্মারক শিলালিপি রয়েছে, যেখানে সমাধি নির্মাণের তারিখ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
-
ইউসেফ দেই এবং তার পরিবারের সমাধি
-
ওপরে শিলালিপি বিশিষ্ট সমাধির একটি দরজা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Houtsma, M. Th. (১৯৯৩)। E. J. Brill's First Encyclopaedia of Islam, 1913-1936, Volume 5। BRILL। পৃষ্ঠা 384। আইএসবিএন 9004097910।
- ↑ "Lieux de culte Municipalité de Tunis" (ফরাসি ভাষায়)। Government of Tunis। আগস্ট ১১, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১০।
- ↑ ক খ গ Youssef Dey Mosque (Museum without Borders)