ইউরেশীয় পিগমী শ্রীউ

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

ইউরেশিয়ান পিগমী শ্রীউ (ইংরেজি: Eurasian pygmy shrew; বৈজ্ঞানিক নাম: Sorex minutus), একে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পিগমী শ্ৰীউ বলে গণ্য করা হয়, হচ্ছে একপ্রকারে ইউরেশীয় অৰ্থাৎ ইউরোপ এবং এশিয়ার উত্তরাঞ্চলে পাওয়া ইঁদুরজাতীয় একটি প্ৰাণী। এটি আয়ারল্যান্ড-এর একমাত্ৰ স্থানীয় শ্ৰীউ।[৩]

ইউরেশিয়ান পিগমী শ্রীউ
Eurasian pygmy shrew[১]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: Eulipotyphla
পরিবার: Soricidae
গণ: Sorex
প্রজাতি: S. minutus
দ্বিপদী নাম
Sorex minutus
লিনীয়াস, 1766
ইউরেশিয়ান পিগমী শ্রীউয়ের বিস্তার

রাতদিন উভয় সময়ে সক্ৰিয় থাকা, ইউরেশিয়ান পিগমী শ্রীউ সাধারণত লতাগুল্ম এবং পাতার ঝুপড়ীতে বাস করে এবং ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।[৪] গড়ে এর ভর হচ্ছে মাত্ৰ ৪ গ্ৰাম[৩] এবং ইউরেশিয়ান পিগমী শ্রীউয়ের দেহের মধ্যে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার সবথেকে বেশি জীবদের মধ্যে একটি, সেজন্যে এদের প্ৰতি দুঘণ্টা বা এরকম নিয়মিত বিরতিতে খাদ্যগ্রহণ অবশ্যই প্ৰয়োজন পড়ে।[৫]

এদের প্ৰজনন কাল এপ্ৰিল থেকে আগস্টের মধ্যে। স্ত্রী শ্ৰীউ সাধারণত দু’টা থেকে আঠটা পৰ্যন্ত ছানা জন্ম দেয় এবং মাটির গর্তে অবস্থিত বাসায় এগুলোকে লালন পালন করে। এদের গৰ্ভকাল মাত্ৰ তিন সপ্তাহ। সেজন্য এরা বছরে পাঁচ বার বাচ্চা প্রসব করতে পারে। এদের জীবনকাল মাত্ৰ ১৫ মাস।[৪]

২০০৮ সালের এপ্ৰিল মাসে, আয়ারল্যান্ডে গ্রেটার হোয়াইট টুথড শ্রীউ আবিষ্কৃত হয়।[৬] যখন এই অন্তৰ্ভুক্তিকরণ হুমকির মুখে পড়া শিকারি পাখি, যেমন- লক্ষ্মীপেঁচা দের টিকিয়ে রাখবে, তখন ইউরেশিয়ান পিগমী শ্রীউ’র মতো ক্ষুদ্রতর দেশি প্ৰজাতির জন্য বিদেশি প্ৰজাতির স্তন্যপায়ীরা হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।[৬]

সাধারণ শ্ৰীউ এবং পিগমী শ্ৰীউয়ের মধ্যে আকারগত তুলনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. হাটারার, আর. (২০০৫)। উইলসন, ডি.ই.; রিডার, ডি.এম., সম্পাদকগণ। বিশ্বের স্তন্যপায়ী প্রজাতি: ট্যাক্সোনমিক এবং জিওগ্রাফিক তথ্যভান্ডার (৩য় সংস্করণ)। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 292। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0ওসিএলসি 62265494 
  2. {{{assessors}}} (1996). Sorex minutus. 2006 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2006. Retrieved on 2006-05-12.Database entry includes a brief justification of why this species is of least concern
  3. "Irish mammals — the Pygmy Shrew"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২৭ 
  4. "UK safari on Pygmy shrews"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-২৭ 
  5. Burton, Robert; Burton, Maurice (১৯৭০)। The international wildlife encyclopedia। Marshall Cavendish। পৃষ্ঠা 2358–2359। আইএসবিএন 0-7614-7266-5। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১০ 
  6. "For Good Or Ill, Ireland Gains Another Mammal Species"। Science Daily। ২০০৮-০৪-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-০৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা