ইউএন ওমেন বা জাতিসংঘ লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতাবিষয়ক সংস্থা জাতিসংঘের অধীন একটি সংস্থা যা নারীর ক্ষমতা আনয়নে কাজ করে।


هيئة الأمم المتحدة للمرأة
妇女署
UN Women
ONU Femmes
ООН-Женщины
ONU Mujeres
সংস্থার ধরনজাতিসংঘের একটা সংস্থা
প্রধানফুমজিল মিয়াম্বো[১]
প্রতিষ্ঠাকাল২০১০
প্রধান কার্যালয়নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ওয়েবসাইটwww.unwomen.org

২০১১ সালের জানুয়ারিতে এই সংস্থাটি কাজ শুরু করে।[২] চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাশেলেট এর প্রথম নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। বর্তমান নির্বাহী পরিচালকের নাম ফুমজিল মিয়াম্বো।[১]

ইউএন ওমেন জাতিসংঘ উন্নয়ন গ্রুপের একটি সদস্য। [৩]

ইতিহাস সম্পাদনা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি রেজোলুশনের জবাবে ২০০৬ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব একটি রিপোর্ট পেশ করেন। রিপোর্টটির শিরোনাম ছিল “লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একটি সংস্থা গঠনের সমন্বিত প্রস্তাবনা’। এই রিপোর্টে জাতিসংঘ মহাসচিব তুলে ধরেন যে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাকে লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জড়িত না করে এজন্য একটী পৃথক সংস্থা সৃষ্টির প্রয়োজন। সংস্থাটি জাতিসংঘের হয়ে উক্ত লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। মহাসচিব বান কি মুন বলেন যে সংস্থাটির প্রাথমিক গঠনে এবং কার্যক্রম পরিচালনায় বার্ষিক প্রায় ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে।[৪]

কয়েক বছর ধরে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের, নারী ক্ষমতায়নে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২ জুলাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ইউএন ওমেন প্রতিষ্ঠা করে। ডিভিশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অফ ওমেন, ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ ওমেন, অফিস অফ দ্য স্পেশাল অ্যাডভাইজার অন জেন্ডার ইস্যুজ অ্যাডভান্সমেন্ট অফ ওমেন এবং ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ফর ওমেনকে একত্রীত করে ইউএন ওমেন গঠন করা হয়। বান কি মুন ঘোষণা করেন যে বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি আশা প্রকাশ করেন ইউএন ওমেন বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় এবং বৈষম্য নিরসণে জাতিসংঘের প্রচেষ্টা জোরদার করবে।[৫]

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাশেলেট ইউএন ওমেন-এর প্রধান নিয়োজিত হন। বিভিন্ন রাষ্ট্র ইউএন ওমেন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে এবং এর প্রধান হিসেবে মিশেল ব্যাশেলেটের নিয়োগকে সমর্থন প্রশংসা করেন।২০১৪ সালে অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন প্রথমবারের মত ইউএন ওমেন-এর শুভেচ্ছা দূত নিয়োজিত হন।[৬]

উদ্দেশ্য সম্পাদনা

ইউএন ওমেন এর উদ্দেশ্য:[২]

  • বিভিন্ন আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থা ও সংগঠনকে নারী ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা ও সমর্থন করা।
  • জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে কাজ করা। রাষ্ট্রসমূহে উক্ত উদ্দেশ্য অর্জনে আর্থিক ও কৌশলগত সহায়তা প্রদান করা এবং সুশীল সমাজের সাথে এবিষয়ক অংশীদারত্ব গড়ে তোলা।
  • লিঙ্গ সমতা অর্জনের অঙ্গীকার রক্ষার্থে জাতিসংঘের কার্যব্যবস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সাথে কাজ করা।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. http://www.unwomen.org/en/news/stories/2013/7/phumzile-mlambo-ngcuka-appointed-as-new-un-women-executive-director
  2. "Frequently Asked Questions"। UN Women। ২০১০-০৯-১৪। ২০১০-১২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-১১ 
  3. "UNDG Members"। ১১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  4. "Report on the Secretary General: Comprehensive proposal for the composite entity for gender equality and the empowerment of women"। United Nations। ২০১০-০১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৩-১৩ 
  5. "Welcome to UN Women — UN Women"। Unwomen.org। ২০১০-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৫  C1 control character in |শিরোনাম= at position 21 (সাহায্য)
  6. http://www.unwomen.org/en/news/stories/2014/7/un-women-announces-emma-watson-as-goodwill-ambassador#sthash.1gXYI5Hn.dpuf

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা