আসকিয়া'র সমাধি মালির গাও'তে অবস্থিত সব থেকে জনপ্রিয় সম্রাট ১ম আসকিয়া মোহাম্মাদের মাজার বলে বিশ্বাস করা হয়। এটা ১৫ শতকের শেষভাগে নির্মিত এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।[১]

আশকিয়ার সমাধি
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
আশকিয়ার সমাধি
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: ii, iii, iv
সূত্র১১৩৯
তালিকাভুক্তকরণ২০০৪ (২৮তিম সভা)

ইউনেস্কো সমাধি টিকে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে মৃত্তিকা নির্মিত সমাধি ভবন ঐতিহ্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে। চত্বরের মধ্যে পিরামিডিয় সমাধি, দুটি মসজিদ, একটি কবরস্থান এবং জমায়েতের স্থান আছে। ১৭ মিটারের উচ্চতার সমাধি অত্র অঞ্চলের সব থেকে বড় প্রাক কলোনিয়াল স্থাপত্য সৌধ। এটা ইসলামি স্থাপত্যশৈলীর প্রথম নিদর্শন যার অনুকরণে পরবর্তীতে আশপাশে আরো অনেকগুলি নির্মিত হয়।

আসকিয়া নিয়মিতভাবে মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটা গাও শহরের জন্য সরকারি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই সাইট এবং এর সংলগ্ন বাফার অঞ্চল জাতীয় এবং স্থানীয় আইন দ্বারা সংরক্ষিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

আসকিয়া মোহাম্মদ ছিলেন প্রথম আসকিয়া সম্রাট যিনি সংঘাই রাজত্বকে সুবিস্তৃত করেন। ধার্মিক মুসলমান হিসেবে তিনি মক্কায় হজ্বব্রত পালনের তাগিদ অনুভব করেন। ১৪৯৫ সালে মক্কা থেকে ফেরার সময়ে তিনি তার সমাধি নির্মাণের উপকরণ নিয়ে আসে। সমাধির সকল কাঠ এবং মাটি মক্কা থেকে নিয়ে আসেন। বলা হয়ে থাকে একশো উটের সমন্বয়ে ক্যারাভান তৈরি করা হয়েছিলো। একটি গৃহের আদলে সমাধি নির্মাণ করা হয় যেখানে বেশ কিছু কক্ষ এবং চলাচলের পথ আছে। আসকিয়া মোহাম্মাদের মৃত্যুর পরে এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সমাধির মধ্যে শুধুমাত্র আসকিয়া মোহামাদ্দকে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু উঠোনে বেশ কিছু আসকিয়াকে কবর দেওয়া হয়েছে।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা