আলাপ:রমাপদ চৌধুরী

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Ragib কর্তৃক ১৪ বছর পূর্বে ""ভারতীয় বাঙালি"" অনুচ্ছেদে

তথ্যযোগ প্রয়োজন সম্পাদনা

এ ধরনের নিবন্ধগুলোতে আরও তথ্যের প্রয়োজন। নতুবা নিবন্ধের বিষয়ের উল্লেখযোগ্যতার অভাবে নিবন্ধটি ফুছে ফেলা হতে পারে।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৬:৫২, ৭ মে ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"ভারতীয় বাঙালি" সম্পাদনা

"ভারতীয় বাঙালি" বলা দরকার আছে কি? বিশেষ করে প্রাক-স্বাধীনতা বাঙালিদের জন্য?--সপ্তর্ষি(আলাপ | অবদান) ০৪:৪২, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

প্রাক-স্বাধীনতা আমলে জন্ম হলেও যাঁরা স্বাধীনতা ও দেশভাগের পর ভারতে থেকে যান এবং ভারতের নাগরিক বলে বিবেচিত হন অথবা ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তাঁদের ভারতীয় বলাই যায়। এখানে ভারতীয় বাঙালি শব্দদুটির মাধ্যমে তার জাতীয়তা ও জাতি বোঝাচ্ছে। যেহেতু বাংলা ভাষা ভারত ও বাংলাদেশ দুদেশেরই মাতৃভাষা সেক্ষেত্রে বাঙালি বলার সঙ্গে সঙ্গে এটা স্পষ্ট হয় না তিনি কোন দেশের নাগরিক। বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে আলাদা করে বাঙালি বলার প্রয়োজন হয় না, তার কারণ বাংলাদেশী মাত্রেই বাঙালি। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বসবাসকারী বাঙালিদের পরিচিতির ক্ষেত্রেও এই ধরনের দেশবাচক শব্দ একান্ত প্রয়োজনীয়। অর্ণব দত্ত ০৪:৫৯, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

তাছাড়াও আমি মনে করি, ভারতীয় শব্দটি ব্যাপকতর অর্থে প্রচলিত। ১৯৪৭-উত্তর পর্বে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের যেমন ভারতীয় বলে অভিহিত করা যায়, তেমনই প্রাক-৪৭ পর্বের ব্রিটিশ ভারতের যে কোনো নাগরিককেই ভারতীয় বলা যায়, কারণ তাঁরা যে দেশে জন্মগ্রহণ করেন সেই দেশটিরও নাম ছিল ভারত। রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পান, তখন তিনি সারা বিশ্বে ভারতীয় কবি হিসেবেই অভিহিত হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর নাগরিকত্ব ছিল ব্রিটিশ-ভারতীয়। অর্ণব দত্ত ০৫:১১, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বাংলাদেশের সবাই বাঙালি নন। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী (যেমন চাকমা, সাঁওতাল, মণিপুরী) লোকজন আছেন। প্রাক-স্বাধীনতাকালে মারা গেছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য কেবল বাঙালি বলাই যথেষ্ট। তবে পরেও কেউ বেঁচে থাকলে এবং ভারতের নাগরিক হিসাবে থাকলে তাদের "ভারতীয়" বলতে বাধা নেই। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা থেকেই যায়, যেমন নজরুলকে কী বলা যাবে তা স্পষ্ট নয়। সেরকম ক্ষেত্রে কেবল "বাঙালি" বলাই যথেষ্ট। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:১৮, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
তবে প্রাক-স্বাধীনতাকালীন সময়ের ভারত আর ৪৭ পরবর্তী ভারতকে এক করে ফেলাটাতেই সমস্যা দেখা যায়। এই জন্য রবীন্দ্রনাথকে "ভারতীয়" কবি বললে বিভ্রান্তি আসে, রবীন্দ্রনাথ ব্রিটিশ ভারতের পাসপোর্টধারী ছিলেন (পাসপোর্টের প্রথম পাতায় তাই লেখা থাকতো)। কাজেই সেরকম ধরতে গেলে রবীন্দ্রনাথকে "ব্রিটিশ ভারতীয়" বলে লিখতে হবে, অন্যথায় সেই ভারত আর ৪৭ পরবর্তী ভারত যে এক নয়, তা বোঝা দায় হয়ে পড়ে। এসব জটিলতা এড়াতে রবীন্দ্রনাথকে "বাঙালি" বলাটাই যথেষ্ট। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:১৮, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ভালো আলোকোপাতের জন্য ধ্ন্যবাদ। এই আলোচনা বা আনুরূপ আলোচনা অন্য কোথাও হয়ে থাকলে তাদেরকে কোন একটা ভালো জায়গায় এক্ত্রে আর্কাইভ করে রাখা দরকার পরে রেফারেন্সের জন্য। — Dr.saptarshi (আলাপঅবদান) এই স্বাক্ষরহীন মন্তব্যটি যোগ করেছেন।

না রাগিব ভাই, আমি প্রাক-স্বাধীনতার ভারত ও স্বাধীনতা-উত্তর ভারতকে এক করে ফেলছি না। এই দুই সময়ে ভারতের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আদর্শগত জায়গাটি পৃথক। আমি আপনার সূত্র ধরেই রমাপদবাবুকে ভারতীয় নাগরিক বলে উল্লেখ করতে চাইছিলাম। রবীন্দ্রনাথের উদাহরণটা কথার কথা। আমি হয়ত রবীন্দ্রনাথকে উদাহরণে টেনে একটু ভুল করে ফেলেছি। আমি আপনার সঙ্গে একমত যে তাঁকে বাঙালি বলাই যথেষ্ট। তবে খেয়াল করবেন, আমি যে অর্থে ভারতীয় রবীন্দ্রনাথকে আমি সেই অর্থে ভারতীয় বলিনি। তাঁকে ব্রিটিশ-ভারতীয়ই বলেছি। আপনি এর আগেও কাউকে ব্যাপারটি সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এখন ঠিক মনে পড়ছে না।

নাগরিকত্ব পরিচয় নিয়ে ঝামেলা থাকলে সূচনায় শুধু জাতি পরিচয় করালেই চলবে। পরে তিনি যে বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন সে কথাটা উল্লেখ করে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অর্ণব দত্ত ০৬:০৪, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন


অর্ণব, রমাপদ বাবুকে নিয়ে কিছু বলছি না। উনি নাগরিকত্বের হিসেবে ভারতীয় ছিলেন ৪৭ পরবর্তী সময়ে, কাজেই তাঁর ক্ষেত্রে ভারতীয় বাঙালি বলতে সমস্যা নেই। :) --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৮:১০, ২০ জুলাই ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"রমাপদ চৌধুরী" পাতায় ফেরত যান।