আলাপ:ভারতের মৌলিক অধিকার, নির্দেশাত্মক নীতি ও মৌলিক কর্তব্য

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Jonoikobangali কর্তৃক ১৪ বছর পূর্বে
  • প্রথমত, আপনি লিখেছেন অংশ তিনটি ভারত রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভ। এমন কথা সংবিধানে কোথায় লেখা নেই। সংবিধান সংক্রান্ত কোনো আলোচনাতেও আমি এই কথাটি পাইনি।
  • দ্বিতীয়ত, আপনি লিখেছেন অংশগুলি তিনটি পৃথক অনুচ্ছেদে বর্ণিত। পরিভাষাগত ত্রুটি। কিন্তু ভয়াবহ ত্রুটি। ভারতীয় সংবিধানে খণ্ড আর অনুচ্ছেদের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে।
  • প্রবিধান শব্দটি হিন্দি। বাংলাতে এই শব্দটির চল নেই।
  • “সংবিধানের চতুর্থ খণ্ডে বর্ণিত এই নীতিগুলি ভারত সরকার কর্তৃক বলবৎযোগ্য ; আদালত কর্তৃক বলবৎযোগ্য নয়। তবে সংবিধানধৃত বয়ানের সরকারী ভাষ্য সম্পর্কে সন্দেহের কারণ থাকলে বা তা অনুসরণে সরকারের বিচ্যূতি হলে উচ্চ আদালত এ ব্যাপোর জনস্বার্থে সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারকে তা অনুসরণে বাধ্য করবার প্রাধিকার সংরক্ষণ করে।” –এই বক্তব্যটি, আমার ধারণা, বিভ্রান্তিজনক। কারণ সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা হয়েছে আদালত নির্দেশাত্মক নীতি পালনে রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে পারে না। তাছাড়া বলবৎযোগ্য কথাটির অর্থ এখানে আদালতে বিচারযোগ্য। ভারত সরকার তাই এগুলি বিচার করতে পারে না।
  • দেশানুগত্য রক্ষা ও সামাজিক ঐক্য রক্ষা তথা দেশের ঐক্য রক্ষা – এত বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। এটি ভূমিকা। ভূমিকাংশ নির্মেদ থাকাই বাঞ্ছনীয়। মূল বক্তব্যটি তুলে দিলেই চলবে।
  • “তবে সঠিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে সংশয়ের সৃষ্টি হলে উচ্চ আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের প্রাধিকার সংরক্ষণ করে।” - এটি সমগ্র সংবিধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই মনে হয়েছে, আলাদা করে এটির উল্লেখ দেওয়া আবশ্যক নয়।

উপরিউক্ত “তথ্যবিভ্রান্তি, পরিভাষা ও বানানগত ত্রুটির জন্য”ই আমি ভারতের মৌলিক অধিকার, নির্দেশাত্মক নীতি ও মৌলিক কর্তব্য নিবন্ধে আপনার প্রথম সম্পাদনা অংশটি সম্পূর্ণ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলাম। অত্যন্ত দুঃখিত যে আমি এই ব্যাপারে আপনাকে পূর্বে অবহিত করতে পারিনি। তবে আপনি নিঃসংশয়ে আমাকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে পারতেন। এতে আমার সম্মানহানি বা অমর্যাদা ঘটত না। বরং সম্ভাব্য ভুলবোঝাবুঝি ঠেকানো যেত, যেমন এখন গেল। --অর্ণব দত্ত (talk) ০৪:৪৮, ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"ভারতের মৌলিক অধিকার, নির্দেশাত্মক নীতি ও মৌলিক কর্তব্য" পাতায় ফেরত যান।