আলাপ:বাংলাদেশে বিবাহপ্রথা

সাম্প্রতিক মন্তব্য: 202.86.221.137 কর্তৃক ২ মাস আগে "Sumon" অনুচ্ছেদে

নিবন্ধটির উন্নয়নকল্পে সম্ভাব্য নির্দেশিকা সম্পাদনা

নিবন্ধটি শুরু করা হয়েছে শ্রেফ হুজুগে। কিন্তু এখন ব্যাপারটা সিরিয়াস হয়ে গেছে। নিবন্ধের আকারও আর হেলাফেলা করে ফেলে রাখার মতো অবস্থায় নেই। তথ্যগুলোই তথ্যসূত্র দিয়ে সমৃদ্ধ হতে শুরু করেছে। তারপরও বাংলাদেশের বিয়ে এতো বিশদ একটি বিষয় যে, আমি একা তথ্য দিয়ে এর কোনো কুল কিনারা করতে পারবো না। নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বিয়ের উল্লেখ করতে গিয়েও বাদ পড়ে যাবে অনেক অনেক কিছু। তাই যখনই সম্ভাব্য যা কিছু নিবন্ধে যোগ করার মতো থাকবে, তাই এই থ্রেডে লিখে রাখবো, যাতে যেকোনো অবদানকারী এসংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য যোগ করে নিবন্ধটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।

  • বিয়ের আগে এ্যাঙ্গেজমেন্ট (সিলেটে পান-চিনি অনুষ্ঠান কিংবা বাটা অনুষ্ঠান; অন্যান্য অঞ্চলে পান-চিনি(?))
  • আক্‌দের অনুষ্ঠান
  • গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের রূপভেদ
  • বরের গোসল করা এবং জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে বিয়ের পোষাক পরিধান
  • বর-কনের বিয়ের পোষাক (অতীত, বর্তমান : আধুনিকতা), পোষাকের বিভিন্ন অংশের নাম
  • ঘটক, ম্যারেজ মিডিয়া, ইন্টারনেট ম্যাচ ম্যাকিং ওয়েবসাইট
  • বিয়ের পালঙ্ক সাজানো বা বাসর ঘর সাজানো
  • বিয়ের পরে স্ত্রীর ফিরা যাত্রা
  • আদিবাসীদের বিয়ে, মাতৃতান্ত্রিক সমাজে পুরুষরা স্ত্রীর বাড়ি যায় ইত্যাদির উল্লেখ

 —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৮:৪৬, ২৭ জানুয়ারি ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

করম নাচ সম্পাদনা

মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রংপুর অঞ্চলে ভাদ্র মাসে করম নাচ হয়। ফসল কাটার উৎসবকে কেন্দ্র করে করম রাজা-রাণীকে বিয়ে দেয়া হয়। এই নাচ পরিবেশিত হয় পাহাড় কিংবা সমতলভূমিতে একটি কদমগাছের নিচে। করম নাচের উৎপত্তি মূলত ওঁরাও আদিবাসী সমাজে। একটি গাছের ডাল মাটিতে পুঁতে রেখে নারী-পুরুষ উভয় মিলে সংগীতের তালে এ নাচ পরিবেশন করেন। তারা গান ও নাচের মাধ্যমে নিজেদের আকাঙ্ক্ষা ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করেন। করম নাচে ব্যবহৃত বাংলা গান রাজশাহীর গবর্ধন সর্দারের বর্ণনায়-

বা বাগান চা সবাই গে নাইও
ঝুটিয়া সবাই গে নাইও।
পুরুষ বিনু সবাই গে নাইও,
সাঁইয়া বিনু সবাই গে নাইও।।

এ নাচে নির্দিষ্ট কোনো মুদ্রা ব্যবহৃত হয় না। শিল্পীরা নিত্যব্যবহৃত পোশাক পরেন।

এশিয়াটিক সোসাইটির প্রকাশিত Cultural Survey of Bangladesh Series-এর Performing Arts নিবন্ধে এই তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে। আমি হুবহু তুলে দিলাম। লেখাটি কপিরাইটকৃত। তাই হুবহু ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশের বিয়ে নিবন্ধের সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বুঝতে পারছি না। ভবিষ্যতে নিবন্ধে প্রয়োজন হলে ব্যবহার করা যেতে পারে। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৪:২০, ১৮ এপ্রিল ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন


আমি দীর্গদিন কুষ্টিয়াতে ছিলাম। রংপুরে বেড়াতে গিয়েছি। এই তিনজেলার কোনটিতেই পাহাড় নেই। রংপুরে ওরাও উপজাতি আছে কিনা বলতে পারছি না কিন্তু বাকি দুই জেলায় তো নেই। এফ রহমান (আলাপ) ২০:১৪, ১১ জুলাই ২০১৪ (ইউটিসি)এফ রহমানউত্তর দিন

হিন্দু আইন সম্পাদনা

মঈনুল ইসলাম ভাই, "হিন্দু বিবাহ" অংশে আপনি লিখেছেন, "বাংলাদেশের হিন্দু আইনে বর্ণপ্রথা রয়েছে অর্থাৎ আইনগতভাবে বর-কনেকে অবশ্যই সমগোত্রীয় হতে হবে।" আমি বাংলাদেশী নই। বাংলাদেশের আইনের ব্যাপারটা ঠিক জানি না। তবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, বর্ণপ্রথার জন্য হিন্দুদের সমগোত্রে বিবাহ নিষিদ্ধ। আমার মনে হয়, তথ্যটিতে আরও ব্যাখ্যামূলক সংযোজন প্রয়োজন। --রবির আলো (আলাপ) ১৫:৩০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন, নিবন্ধটিতে চোখ রাখার জন্য, এবং নিবন্ধের তথ্যে সম্ভাব্য ত্রুটি ধরিয়ে দেবার জন্য। আসলে হিন্দু আইন বিষয়ে লেখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত একজন হিন্দু আইনবিদের। সেক্ষেত্রে আমি একেতো মুসলমান, তার উপর হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে স্বল্প জ্ঞানধারী; আইন সম্পর্কে পূর্বাপর অনভিজ্ঞ। আপনার বক্তব্য অনুযায়ী আমার উল্লেখিত তথ্যটি সম্পূর্ণ বিপরীত। এব্যাপারে আলোচনার সুযোগ রয়েছে, কারণ মূল তথ্যসূত্রেও আমি তথ্যটি বুঝতে পারছি না। "বর্ণ" এবং "গোত্র" শব্দ দুটি ভজকট পাকিয়ে দিচ্ছে। নিবন্ধেও আমি মূল তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছি, সেখানে লেখা: "বিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর ও কনেকে একই বর্ণের (ঈধংঃব) হতে হবে ৷ একজন হিন্দু একই গোত্রের কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না ৷ ভারতে ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিয়ে আইনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে বিয়ে বৈধ ৷ বহু বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৷ একটি বিয়ে উত্সাহিত করা হয়েছে ৷ একজন হিন্দু একই গোত্রের কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে।" -এর মানে কী দাঁড়াল। দয়া করে মূল তথ্যসূত্রটি একটু দেখে আমাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিন, অথবা উপযুক্ত তথ্যটি আপনিই সংযোজন করুন। কিন্তু একটা কথা এখানে বলে রাখা দরকার: হিন্দু শাস্ত্রীয় আইন আর রাষ্ট্রীয় আইন মূলত এক হলেও অনেক অনেক ভিন্নতা রয়েছে এতদুভয়ের মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রে শাস্ত্রকে অবদমিত করে রাষ্ট্রীয় আইন উর্ধ্বে উঠার চেষ্টা করেছে। আবার রাষ্ট্রভেদেও হিন্দু আইন পৃথক হয়ে গেছে। যেমনটা এই তথ্যসূত্রে আমি দেখছি। আপনার উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থাকুন আর আবারও অভিনন্দন গ্রহণ করুন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:১১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আইন এবং ধর্মশাস্ত্র দুটি আলাদা ক্ষেত্র। ভারতে হিন্দুদের ভিন্ন বর্ণে ও ভিন্ন গোত্রে বিবাহ আইনসিদ্ধ। কিন্তু এগুলি শাস্ত্রানুমোদিত নয়। প্রগতিশীল হিন্দুরা অবশ্য প্রায়শই স্ববর্ণে ও স্বগোত্রে বিবাহ করে থাকেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ণ হল সামাজিক শ্রেণী এবং গোত্র হল পারিবারিক শ্রেণী। বর্ণের ভিত্তি হল পেশা। যেমন, পূজাপাঠ যাঁরা করেন তাঁরা ব্রাহ্মণ, যুদ্ধ করেন যাঁরা তাঁরা ক্ষত্রিয়। পক্ষান্তরে গোত্রের ভিত্তি পরিবার। পরিবারের আদিপুরুষের নামে গোত্রের নামকরণ হয়। যেমন ধরুন, যদি ক-এর গোত্র "ভরদ্বাজ" হয়, তাহলে বুঝতে হবে তিনি ঋষি ভরদ্বাজের বংশধর। আবার দেখা গেল, খ-এর গোত্রও ভরদ্বাজ। অর্থাৎ, সে-ও একই পূর্বপুরুষের সন্তান, অতএব আত্মীয়। শাস্ত্রানুযায়ী হিন্দুরা আত্মীয়কে বিবাহ করতে পারে না। এই কারণে সগোত্রে বিবাহও হিন্দুধর্মে নিষিদ্ধ। সাধারণ ধারণাটি এই। আইনের ব্যাপারটি বাংলাদেশের আইন ব্যাপারে অভিজ্ঞ ব্যক্তিই বলতে পারবেন। এই ব্যাপারে আপনাকে সাহায্য করতে পারছি না বলে খুবই দুঃখিত। রবির আলো (আলাপ) ১৭:০৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

নিবন্ধ শিরোনাম সম্পাদনা

নিবন্ধের নাম বাংলাদেশের বিয়ে আছে। এটা কেন বাংলাদেশে বিয়ে হবে না, তা আমার মনকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। কেউ যদি অন্তর্নিহিত বিষয়টা ধরতে পারেন পরামর্শ দিলে বাধিত হবো। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৮:২৩, ৯ জুন ২০১১ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অনেক আগের আলাপে নাক গলালাম। ভাই, আমি আপনার মতো যুবক, তরুন। আমারও মন মাঝে মাঝে কুড়ে কুড়ে খায়। দিল্লীর লাড্ডুর নাকি মিশ্রস্বাদ। সবাই উপভোগ করতে চায়। আমাকে স্বন্তনা দিয়ে বলেন 'এটা বয়সের দোষ।'--আশা (আলাপ) ১৫:৩৯, ৩০ এপ্রিল ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন
:)  —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৬:২৫, ৩০ এপ্রিল ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

শিরোনাম সম্পাদনা

আচ্ছা ইংরেজি উইকিপিডিয়ায় একটা নিবন্ধ দেখলাম Bengali wedding। এই নিবন্ধটাকেও শুধুমাত্র বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে "বাঙালি বিবাহ" বা "বাঙালি বিয়ে" করা যায় না? -তৃণাঞ্জন (আলাপ) ১০:৫৬, ৩০ এপ্রিল ২০১২ (ইউটিসি), ১৭ বৈশাখ ১৪১৯উত্তর দিন

কেন করা যাবে না? কিন্তু নিবন্ধটার প্রেক্ষাপট শ্রেফ বাংলাদেশ রেখেই নিবন্ধটা অনেক বড় করে ফেলেছি। এখনও অনেক কাজ বাকি এতে। আমি তথ্যসূত্র খুঁজে চলেছি। পাওয়ামাত্র এতে আরো তথ্য যোগ করে এর কলেবর আরো বাড়িয়ে সম্পূর্ণ করার ইচ্ছা আছে। এতে এখন শ্রেফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশেরই বিভিন্ন অঞ্চলের বিয়ের রীতি-নীতি স্থান দেয়া হচ্ছে। এর সাথে পশ্চিমবঙ্গের রীতি যোগ করলে নিবন্ধের কলেবর অনেক অনেক বেড়ে যাবে, যা বোধহয় ঠিক হবে না। এজন্য আমার প্রস্তাব হলো, নিবন্ধটা যেভাবে চলছে, চলুক, সবাই মিলে কাজ করে এর মূল নির্যাস ঠিক রেখে আরো বাড়িয়ে দিই নিবন্ধটাকে। আর বাঙালি বিয়ে নামে আলাদা একটা নিবন্ধ তৈরি করে তাতে এই নিবন্ধ থেকে নির্যাস নিয়ে তার সাথে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি বিয়ের রীতি-নীতি যোগ করে সেটাকেও সম্পূর্ণ করা যেতে পারে। অর্থাৎ, এই নিবন্ধকে ঠিক রেখে বাঙালি বিয়ে নামে আলাদা নিবন্ধ করার প্রস্তাব করছি। ভালো থাকবেন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৫:৩৪, ৩০ এপ্রিল ২০১২ (ইউটিসি)উত্তর দিন

Sumon সম্পাদনা

Khan 202.86.221.137 (আলাপ) ০৪:০৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"বাংলাদেশে বিবাহপ্রথা" পাতায় ফেরত যান।