আলাপ:চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ
এই পাতাটি চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
ইতিহাস
সম্পাদনানোয়াখালীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ। সবুজ বেষ্টিত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাতাত্তর বছর ধরে শিক্ষার অনির্বাণ আলো জ্বেলে রেখেছে এ অঞ্চলে মানুষের দিশারী রূপে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) চলাকালীন সেই সময়ের নাথ ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকজন উদ্যোগী মানুষ বাবু ক্ষেত্রনাথ দালালের নেতৃত্বে চৌমুহনীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্বর্গীয় বাবু প্রসন্নকুমার রায় চৌধুরী এবং তাঁর জ্ঞাতি ভাই বাবু হরকুমার সাহা এক বিঘা জমি দান করেন। ১৯৪৩ সালে উক্ত জমিতে চৌমুহনী কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বাবু রাধা গোবিন্দ নাথ চৌমুহনী কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪৬ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য কলেজের উদ্যোক্তা, অধ্যক্ষ, অধ্যাপকসহ অনেকে দেশ ত্যাগ করেন। কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর বাবু মুকুন্দ কিশোর চক্রবর্তী কিছুদিন অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এর পরেই টি. হোসাইন নামে খ্যাত অধ্যাপক তাফাজ্জল হোসাইন প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ১৯৫০ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান এবং একনাগাড়ে ৩১ বৎসর এ দায়িত্ব পালন করেন। এক বিঘা জায়গা নিয়ে যে কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল অধ্যক্ষ টি. হোসাইনের সময়েই খরিদ সূত্রে এবং অধিগ্রহণের মাধ্যমে কলেজ বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়। বর্তমানে চৌমুহনী কলেজের প্রায় ৩৫ একর জমি রয়েছে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে চৌমুহনী কলেজের কৃতি ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সালেহ্ আহমেদ রাজাকারদের সাথে এক সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হন। ১ নভেম্বর ১৯৮৪ তারিখে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়।
২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষে হিসাববিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইসলাম শিক্ষা, পদার্থবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা এবং গণিত- এ আট বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে এ কলেজে অনার্স কোর্সের যাত্রা শুরু হয় এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে বাংলা ও ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি, সমাজকর্ম, রসায়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স প্রবর্তন করা হয়। তেরটি বিষয়ে বর্তমানে অনার্স কোর্স চালু আছে। ইংরেজি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি এ দুই বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হিসাববিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) শ্রেণির কার্যক্রম শুরু হয়।
এছাড়া বাউবি'র এইচএসসি প্রোগ্রাম চালু আছে। তৎকালীন কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ২০০৬ সালে এ কলেজে আটটি অধ্যাপকসহ ছাপ্পান্নটি পদ সৃষ্টি করা হয়। ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই বৃহত্তর নোয়াখালীর আলোকবর্তিকা হিসেবে চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ তার ভূমিকা পালন করে চলেছে। এ কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা বর্তমানে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে দেশ ও জাতির সেবা করে যাচ্ছে। Rakibul Hasan Munna (আলাপ) ০৯:৪০, ১ অক্টোবর ২০২১ (ইউটিসি)