আলাপ:এফ-১৫ ঈগল

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Istiaq Himon কর্তৃক ৫ বছর পূর্বে

আমেরিকান ফাইটার এয়াক্রাফটগুলো ভিয়েতনাম যুদ্ধে রাশান ফাইটারগুলোর কাছে মার খাচ্ছিলো সে সময়ে আমেরিকানরা একটি এয়ার সুপিরিওর এয়ারক্রাফটের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। যার ফলাফল হিসেবে১৯৬৭ সালে এই ফাইটার উন্নয়নের কাজ ম্যাকডোনেল ডগলাস কে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে এই ফাইটারটি প্রথম উড্ডয়ন এবং ১৯৭৬ সালে এফ-১৫ ঈগল আকাশে যুক্তরাষ্টের এয়ার সুপ্রিমেসি নিশ্চিত করতে সার্ভিসে আসে। এটি খুবই উচ্চ ম্যানুভার ক্ষমতা সম্পন্ন দুই ইঞ্জিনের ফাইটার জেট যা সব আবহাওয়ায় ব্যাবহার উপযোগী। এই বিমানে সবকিছুর তুলনায় ম্যানুভার এবং ক্লোজ রেঞ্জে সক্ষমতার দিকে জোর দেয়া হয়েছিলো যদিও পরবর্তীতে এতে বিভি আর ক্ষমতা উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।

পেছনের ইতিহাস: ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন মস্কোর নিকটবর্তী ডেমোডেডোভো এয়ারফিল্ডে mig-25 উন্মোচন করে। মজার ব্যাপার হলো তখনো মিগ-২৩ আমেরিকানদের ঘুম নষ্ট করছিলো f-4 fantom গুলাকে নাকানি চুবানি খাওয়ায়ে। যার জন্য তারা F-X প্রোগ্রাম সেট করেছিল। F-X প্রোগ্রামের উন্নয়নে পানি ঢালতে গোদের উপর বিষফোড়া হিসেবে আসে মিগ-২৫। মিগ-২৫ সার্ভিসে আসার পর আমেরিকানরা কার্যত পাগল হয়ে যায় একটি কার্যকর এয়ার সুপিরিয়র ফাইটার সার্ভিসে আনতে। প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল কথাটা আরো একবার প্রমান করে সার্ভিসে আসে এফ-১৫ ঈগল।

ব্যাবহারকারী দেশসমূহ: আমেরিকার মিত্র দেশ ব্যাতীত কাউকে এই বিমান দেয়া হয়নি। তাই এর ব্যাবহারকারীদের সংখ্যা খুব সীমীত। ইসরায়েল এর প্রথমদিকের ব্যাবহারকারী দেশগুলোর একটি (১৯৭৭), এছাড়া জাপান (মিতশুবিশি f-15j), আত সৌদি আরব এর প্রধান ব্যাবহারকারী। কিছুদিন আগে সৌদি আরব নিজেই লাইসেন্স নিয়ে বানানোর জন্য প্রোডাকশন লাইন স্থাপন করেছে। ১৯৮৯ সালে এর গ্রাউন্ড এটাক ভার্সন সার্ভিসে আসে যা F-15E Strike Eagle নামে পরিচিত।

যুদ্ধ ইতিহাস: মিকোয়ান কর্পোরেশনের mig-25 এর চাপে পড়ে যেমন সার্ভিসে এসেছিলো তেমনি মিকোয়ান ফাইটারগুলার জন্য অভিশাপ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে F-15। সর্বভুক ভাল্লুকের মত mig-29, mig-25, mig-23, mig-21, su-25, su-7 সবই আছে এর শিকার লিস্ট। এর প্রথম শিকার ছিলো ইজ্রালের দ্বারা সিরিয়ান মিগ-২১। পরবর্তীতে উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাকি এয়ারফোর্সের মাজা ভাঙ্গার দায়িত্ব এফ-১৫ ঈগল কেই দেয় USAF.। একশ এর বেশী কিল রেকর্ডের বীপরীতে F-15 এর যুদ্ধে হারার রেকর্ড শুন্য যা তার সক্ষমতার সবচেয়ে বড় প্রমান। এ পর্যন্ত ১৭৫ টি f-15 দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। সংখ্যাটা অনেক বড় মনে হলেও তা যে কত কম তা পরিস্কার হবে যখন আপনি জানবেন প্রতি ৫০০০০ ঘন্টা উড্ডয়নের বিপরীতে একটি দুর্ঘটনা। একটি ভালো বিমান যে পাইলটের মনস্তত্ত্বকে কতখানি বাড়িয়ে দেয় তার একটি উদাহরন নিচের ঘটনাটি। USAF দুটি এফ-১৫ ঈগল ইরাক ইরান সিমান্তে টহল দিচ্ছিলো এসময় ইরানি রাডার তাদের ডিটেক্ট করে এবং যোগাযোগ করে ইরানি এয়ারোস্পেস থেকে সরে যেতে বলে নতুবা ইন্টারসেপ্টে পাঠাবে বলে হুমকি দেয়। হুমকির বিপরীতে এফ-১৫ ঈগল পাইলটের জবাব ছিলো: This is USAF F-15eagle if u dare to come we are waiting। যাইহোক সবকিছুর ই শেষ আছে তাই এফ-১৫ ঈগল এর সার্ভিস লাইফও USAF এ শেষের পথে। যদিও অন্যান্য দেশগুলোর জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রোডাকশন লাইন চালু থাকবে। ৪৭ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি হবে।

ট্যাকনিকাল তথ্য রোলঃ এয়ার সুপিরিয়রিটি ফাইটার প্রস্তুতকারকঃ ম্যাকডনেল ডগলাস প্রথম উড্ড্যন: ২৭ জুলাই ১৯৭২ জনসম্মুখে প্রকাশ: ৯ জানুয়ারী ১৯৭৬ স্ট্যাটাস : চলমান প্রাথমিক ব্যাবহারকারী: United States Air Force Japan Air Self-Defense Force Royal Saudi Air Force Israeli Air Force Number built: F-15A/B/C/D/J/DJ: 1,198 Unit cost:- F-15A/B: US$27.9 million (1998) F-15C/D: US$29.9 million (1998) Variants: McDonnell Douglas F-15E Strike Eagle McDonnell Douglas F-15 STOL/MTD Boeing F-15SE Silent Eagle Mitsubishi F-15J Istiaq Himon (আলাপ) ২০:০১, ৮ আগস্ট ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

"এফ-১৫ ঈগল" পাতায় ফেরত যান।