আরাকা ( আরবি: عرقه ) হল ফিলিস্তিনের একটি গ্রাম। এটি জেনিন গভর্নোরেট উত্তরের এলাকার পশ্চিম তীরে অবস্থিত, এর ১৫ কিলোমিটার পশ্চিম জেনিন শহর আছে । সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরো অব ফিলিস্তিনের মতে, ২০০৬ সালে গ্রামে ২,১২৪ জনের বেশি বাসিন্দা ছিল।[২]

আরাকা
পৌরসভার ধরন ডি গ্রাম্য কাউন্সিল
Arabic প্রতিলিপি
 • Arabicعرقه
 • Latinal-Araqa (official)
’Araqa (unofficial)
শেখ বাণিজ্যিক এলাকার পার্ক
শেখ বাণিজ্যিক এলাকার পার্ক
দেশফিলিস্তিন
সরকারজেনিন
জনসংখ্যা (২০০৬)
 • মোট২,১২৪
Name meaningThe cliffs[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

এখানে রোমান[৩]বাইজেন্টাইন শাসনের শেষের দিকের অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছিল মাটির তৈরী থালা, পানপাত্র, হাড়ি ইত্যাদি।[৩][৪] মুসলিম যুগের প্রথম দিকের অসংখ্য নিদর্শন এবং মধ্যযুগের অসংখ্য মৃৎশিল্পের বাসন কোসন, থালা বাটি পানপাত্র ইত্যাদি পাওয়া গেছে।[৩]

অটোমান যুগ সম্পাদনা

আদি অটোমান যুগের অনেক মৃৎপাত্রের নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী এখানে পাওয়া গেছে।[৩] ১৮৭০ সালে, ভিক্টর গুয়েরিন এটিকে একটি ছোট গ্রাম হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। এটি একটি ছোট পাহাড়ের উপর অবস্থিত এবং দু’চতুর্থাংশে বিভক্ত।[৫] দেখতে অত্যন্ত মনোরম। ১৮৮২ সালে পিইএফ এর পশ্চিম প্যালেস্টাইনের সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এটির "দক্ষিণে একটি কূপ সহ একটি পাহাড়ের পাশে মাঝারি আকারের একটি গ্রাম হিসাবে আছে।"[৬]

ব্রিটিশ ম্যান্ডেট যুগ সম্পাদনা

ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত ফিলিস্তিনের ১৯২২ সালের আদম শুমারিতে দেখা যায়, গ্রামের জনসংখ্যা ছিল ১৬৮ জন মুসলমান।[৭] ১৯৩১ সালের আদম শুমারিতে দেখা যায় ২১৯ জন মুসলমানে চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, যাদের ৩৬টি বসত বাড়ি ছিল।[৮] ১৯৪৪/৪৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায় এখানে জনসংখ্যা ছিল ৩৫০ জন মুসলমান।[৯] এক সরকারী ভূমি ও জনসংখ্যা জরিপ অনুসারে এখানে মোট ৫৬৭৫ ডুনাম জমি ছিল।[১০] এর মধ্যে ৪৬২ টি ডুনাম আবাদ এবং সেচযোগ্য ছিল, ১১৯১ টি ডুনাম খাদ্য শস্যের জন্য,[১১] এবং ২৭টি ডুনাম শহরের বাড়ি ঘর নির্মাণের জন্য ছিল।[১২]

জর্ডান যুগ সম্পাদনা

১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর, আরাকা জর্ডানের শাসনের অধীনে আসে। ১৯৬১ সালের জর্ডানের আদম শুমারিতে ৫৬৯ জন বাসিন্দা পাওয়া গেছে।[১৩]

১৯৬৭ সালের পর সম্পাদনা

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে আরাকা গ্রামটি পশ্চিম তীরের বাকি অংশের সাথে ইসরায়েল সরকারের দখলে রয়েছে। ২৭ এপ্রিল ২০১৫ সালে গ্রামের আঠারো বছর বয়সী একজন যুবক ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে মারা যায়। আইডিএফ সৈন্যরা তার পেটে গুলি করে। তার নাম হলো মুহাম্মদ মুরাদ মোস্তফা ইয়াহইয়া। সে নাবলুসরে রাফেদিয়া হাসপাতালে পারা যায়ফলে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। অনেক লোকের হতাহতের ঘটনা ঘটে। সৈন্যরা আরও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে।[১৪]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Palmer, 1881, p. 144
  2. Projected Mid -Year Population for Jenin Governorate by Locality 2004- 2006 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে Palestinian Central Bureau of Statistics
  3. Zertal, 2016, p. 215
  4. Dauphin, 1998, p. 750
  5. Guérin, 1874, p. 224
  6. Conder and Kitchener, 1882, SWP II, p. 44
  7. Barron, 1923, Table IX, Sub-district of Jenin, p. 30
  8. Mills, 1932, p. 67
  9. Government of Palestine, Department of Statistics, 1945, p. 16 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০৯-০৫ তারিখে
  10. Government of Palestine, Department of Statistics. Village Statistics, April, 1945. Quoted in Hadawi, 1970, p. 54
  11. Government of Palestine, Department of Statistics. Village Statistics, April, 1945. Quoted in Hadawi, 1970, p. 98
  12. Government of Palestine, Department of Statistics. Village Statistics, April, 1945. Quoted in Hadawi, 1970, p. 148
  13. Government of Jordan, Department of Statistics, 1964, p. 25
  14. Palestinian Man Shot in West Bank Dies of Wounds Ha'aretz 27/4/2015