আমোদ (পত্রিকা)

কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সংবাদপত্র

আমোদ (সাপ্তাহিক আমোদ নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র। শুরুতে এটি একটি ক্রীড়া পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও পরে এটি সাধারণ সংবাদপত্রে রুপ নেয়।[১] এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম সাপ্তাহিক পত্রিকা।

সাপ্তাহিক আমোদ
সাপ্তাহিক আমোদের প্রথম সংখ্যা
ধরনসাপ্তাহিক সংবাদপত্র
ফরম্যাটব্রডশিট
প্রতিষ্ঠাতামোহাম্মদ ফজলে রাব্বী (প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক)
প্রকাশকবাকীন রাব্বী
সম্পাদকবাকীন রাব্বী
প্রতিষ্ঠাকাল৫ মে ১৯৫৫
ভাষাবাংলা
সদর দপ্তরচৌধুরীপাড়া, কুমিল্লা, বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটwww.amodbd.com

ইতিহাস সম্পাদনা

সাপ্তাহিক আমোদ ১৯৫৫ সালের ৫ মে থেকে যাত্রা শুরু করে।[২] এটি কুমিল্লা শহরের চৌধুরীপাড়া থেকে ফজলে রাব্বীর সম্পাদনায় প্রকাশ পায়। শুরুতে এটি একটি ক্রীড়া পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ পায়। চার পৃষ্ঠার কাগজটির মূল্য ছিল এক আনা।[২] ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো থেকে মনোনীত এশিয়ার ৫টি সফল আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে ‘আমোদ’ পত্রিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।[৩]

পরিচালনা সম্পাদনা

মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি (১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর মারা যান) আমোদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর অধীনে কাজ করা সাংবাদিকরা ছিলেন তাহেরুদ্দিন ঠাকুর, অনিল কারমেকার এবং মোবারক হোসেন খান। বর্তমানে পত্রিকাটি পরিচালনা করেন রাব্বির স্ত্রী শামসুন নেহার রাব্বি এবং ছেলে বাকীন রাব্বি, যিনি বর্তমানে এটির প্রকাশক এবং প্রধান সম্পাদক।

বাজার সম্পাদনা

যদিও সাপ্তাহিক আমোদকে অন্যান্য সাপ্তাহিক পত্রিকার সাথে পাল্লা দিতে হয়েছে, তবে মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি বিশ্বাস করতেন তাদের প্রথম গুরুতর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কুমিল্লার প্রথম দৈনিক পত্রিকা রূপসী বাংলা, যেটি ১৯৭৯ সালে চালু হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'আমোদ' প্রতিষ্ঠাতা ফজলে রাব্বীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৮ নভেম্বর ২০১৭। ২৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. মোল্লা, মহিউদ্দিন। "কুমিল্লায় সংবাদপত্রের ১৩৮ বছর"বাংলাদেশ প্রতিদিন। কুমিল্লা। ২৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৮ 
  3. খান, তোয়াব (১১ জানুয়ারি ২০১৭)। "অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা লালন করেছে সংবাদ"কালের কণ্ঠ। ২৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৮