আব্দুর রব (বিচারক)

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক

আব্দুর রব বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১][২]

আব্দুর রব
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

আব্দুর রব ১৯৫৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন।[৩] পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আইনে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আব্দুর রব ১৯৮৭ সালে জেলা আদালতের আইনজীবী হন।[৩]

১৯৯০ সালে, আব্দুর রব সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন।[৩]

আব্দুর রব ২০১০ সালে ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।[৩] ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল তাকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি করা হয়।[৩]

২০১২ সালের জুলাই মাসে, আব্দুর রব ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বাংলাদেশ বিমানকে ২০০৭ সালে স্বেচ্ছাসেবী অবসর প্রকল্পের অধীনে বহিষ্কৃত কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন।[৪] আব্দুর রব ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আমিনবাজারে সাত শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে নির্দেশ দেন।[৫] আব্দুর রব ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রের একটি সংশোধনীকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিলেন।[৬] আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাদের এই আদেশ স্থগিত করেন।[৬]

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে, আব্দুর রব ও বিচারপতি শহিদুল ইসলাম ২০০৭ সালের নরসিংদী হত্যা মামলায় একটি বিভক্ত রায় দেন যাতে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।[৭] আব্দুর রব মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, শহিদুল ইসলাম তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[৭] এরপর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ মামলার শুনানি করেন এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।[৭]

২০১৫ সালের আগস্টে, আব্দুর রব ও বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার ফাইল চেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার করা একটি আবেদন খারিজ করে দেন।[৮] তারা কয়লা খনির মামলার স্থবিরতা প্রত্যাহার করে মামলার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন।[৯] আব্দুর রব ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হবিগঞ্জের মেয়র গোলাম কিবরিয়া গাউসের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Court rules Khaleda Zia to face corruption trial"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  2. "Bangladesh HC clears way for coalmine graft case against Khaleda"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৯-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২৩-০৬-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  4. "Reappoint terminated Biman staff"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৭-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  5. "Law and Our Rights"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  6. "SC stays HC order"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০১-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  7. "HC upholds death sentence on seven"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৬-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  8. "Khaleda's request for case files rejected"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  9. "Bangladesh HC orders trial against Khaleda Zia in coal mine graft case"The Economic Times। ২০১৫-০৯-১৭। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫ 
  10. "Kibria murder: No bail for Gaus"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৮-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৫