আবুল কাসেম (সাহিত্যরত্ন)
আবুল কাসেম সাহিত্যরত্ন (১৯০২-১৯৮৭) ছিলেন বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক। এছাড়াও পেশাগত জীবনে তিনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৩০ সালে তাকে কলকাতার সারস্বত মহামন্ডল কর্তৃক 'সাহিত্যরত্ন' উপাধি প্রদান করা হয়।[১]
আবুল কাসেম | |
---|---|
জন্ম | ১৯০২ |
মৃত্যু | ১৯৮৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব |
|
পেশা |
|
জন্ম
সম্পাদনাআবুল কাসেম সাহিত্যরত্ন ১৯০২ সালে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত অবিভক্ত বাংলার খুলনা জেলার দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[১]
শিক্ষা
সম্পাদনাতিনি কলকাতার হোমিওপ্যাথি কলেজ থেকে ১৯২৯ সালে ডি এইচ এম এবং দুই বছর পর ১৯৩১ সালে এম ডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১]
সাহিত্য
সম্পাদনাআবুল কাসেম চিকিৎসা পেশায় থাকলেও সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। তিনি সাংবাদিকতায়ও যোগ দেন। কলকাতা থেকে প্রকাশিত মোহাম্মদী, আজাদ, সোলতান ও কৃষক পত্রিকায় তিনি সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তৎকালীন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল, মায়ানমার, দূরপ্রাচ্য, মালয়, ইন্দোনেশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আমেরিকা ও চীন ভ্রমণ করেছেন। তার লেখায় ভ্রমণ থেকে লাভ করা উপাদান ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া তিনি খুলনা সাহিত্য পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহসভাপতি ছিলেন।[১]
মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৮৭ সালে আবুল কাসেম সাহিত্যরত্ন মারা যান।[১]
রচনাবলী
সম্পাদনাআবুল কাসেম সাহিত্যরত্নের রচনাবলীর মধ্যে রয়েছে[১]:
- মানসী (১৯২৮)
- আমার ভূ-প্রদক্ষিণ (১৯৩০)
- ঈশা খাঁ-স্বর্ণময়ী (১৯৩০)
- হজরত মোহাম্মদ (১৯৩১)
- ভারত ভ্রমণ (১৯৩৬)
- মহর্ষি মোহসীন (১৯৩৬)
- বিজ্ঞানের জন্মরহস্য (১৯৩৬)
- মহাসাগরের দেশে (১৯৩৭)
- বাঙ্গলার প্রতিভা (১৯৩৯)
- দূর-দূরান্তরে (১৯৬২)
- পঞ্চনদের দেশে (১৯৬৮)