আবি ও রাবি
আবি ও রাবি (ফার্সি: آبی و رابی) হল ১৯৩০ সালে নির্মিত ইরানি নির্বাক হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র এবং অভানেস ওহানিয়ান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ইরানের ইতিহাসের প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন অভানেস ওহানিয়ান, মোহাম্মাদ খান জারাবি, গোলামালি খান সোহরাবি ফারদ, মোহাম্মাদ আলি গোটবি এবং আলি আরজমান্দ।[১][২]
আবি ও রাবি | |
---|---|
পরিচালক | অভানেস ওহানিয়ান |
প্রযোজক | সাকো এলিদজে |
রচয়িতা | অভানেস ওহানিয়ান |
শ্রেষ্ঠাংশে | অভানেস ওহানিয়ান মোহাম্মাদ খান জারাবি গোলামালি খান সোহরাবি ফারদ মোহাম্মাদ আলি গোটবি আমির আরজমান্দ |
চিত্রগ্রাহক | খান বাবা মোতাজদিম |
পরিবেশক | সিনেমা মায়াক |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৬০ মিনিট |
দেশ | ইরান |
ভাষা | নির্বাক |
এই চলচ্চিত্র বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আবি (একজন লম্বা মানুষ) এবং রাবি (একজন খাটো মানুষ) দুজনের হাস্যরসাত্মক অভিযানের গল্প তুলে ধরেছে। আবি প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে অনেক পানি পান করে কিন্তু রাবির পেট ফুলে ঢোল হয়ে যায়। আবি ঘুমানোর সময় গরমের কারণে নিজের মাথা বালিশের ভেতরে রাখে। বালিশ ছিঁড়ে যায় এবং বালিশের সাদা পালকগুলো ঘরের সর্বত্র উড়ে বেড়াতে থাকে। সেই মুহূর্তে রাবি কক্ষে প্রবেশ করে এটা দেখার পর তুষারপাত হচ্ছে ভেবে নিজের ছাতাটা খুলে নিজের মাথার উপর তুলে ধরে। রাবিকে বেলন দিয়ে পিষে ফেলা হয় যার ফলে সে লম্বা হয়ে যায়। আবি তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে যার ফলে সে আবার খাটো ও মোটা হয়ে যায়। আবি ও রাবি একটি ট্যাক্সি ভাড়া করে শাহাবদোলাজিমের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর পর দেখা যায় লোকজন দুপুরের খাবার খাচ্ছে এবং বাচ্চারা পুলে খেলছে। একজন পুলে পড়ে যায় এবং আরেকজনের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে। আহতকে চিকিৎসা সেবা দিতে ডাক্তার আসে। তারপর আবি ও রাবি রেস্টুরেন্টে মুরগির মাংস অর্ডার করে। ওয়েটার খাবার নিয়ে আসার পর কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়ার সময় মুরগিটি উড়ে চলে যায়।[২][৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ آبی و رابی aftabir.com (ফার্সি ভাষায়)
- ↑ ক খ Directory of World Cinema: Iran edited by Parviz Jahad, page 59
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আবি ও রাবি (১৯৩০) (ইংরেজি)