আবদুল মোমিন
আবদুল মোমিন (১৯০৬ ― ৩০ অক্টোবর ১৯৮৩) বাংলায় শ্রমিক আন্দোলনের নেতা। ১৯২৯ সালের বৃহৎ চটকল ধর্মঘটের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে বিখ্যাত গাড়োয়ান ধর্মঘটেও তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান নেতা। ধর্মঘটের কারণে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করেন।
আবদুল মোমিন | |
---|---|
জন্ম | ১৯০৬ |
মৃত্যু | ৩০ অক্টোবর, ১৯৮৩ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | শ্রমিক আন্দোলন |
জন্ম
সম্পাদনামেহেরপুর (অবিভক্ত নদীয়া), ব্রিটিশ ভারতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৬ সালে।
শ্রমিক আন্দোলন
সম্পাদনা২০ এর দশক থেকে হাওড়া ও কলকাতার শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক আন্দোলনের নেতা ছিলেন আবদুল মোমিন। হাওড়ার চেংগাইল-বাউরিয়া অঞ্চলের জুটমিলে কর্মী ছাঁটাই ও বর্ধিত কাজের বিরুদ্ধে ছয়মাসব্যাপী এই ধর্মঘটে বঙ্কিম মুখার্জী, আবদুর রেজ্জাক খান, আবদুল হালিম, কালি সেনের সাথে নেতৃত্ব দেন তিনি। এই আন্দোলনে প্রায় ২ লক্ষ শ্রমিক সংহতি জানায়।[১]
কমিউনিস্ট পার্টিতে
সম্পাদনা১৯৩১ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। বেংগল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি রূপে নির্বাচিত হন মোমিন। চল্লিশের দশকে মধ্যবিত্ত কর্মচারী সংগঠন গড়ে তোলার অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৪৫ সালে বি.পি.টি.ইউ.সি.এর সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য থাকাকালীন দীর্ঘ দিন কারাবাস করতে হয়েছে তাকে।[২]
মৃত্যু
সম্পাদনা৩০ অক্টোবর, ১৯৮৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন আবদুল মোমিন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ cpim.org। "ফার্স্ট জেনারেল স্ট্রাইক অফ জুট ওয়ার্কার্স"। Communist Party of India (Marxist)। ২৯ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 23.12.16। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪৭। আইএসবিএন 81-85626-65-0।