আফগানিস্তানে বাহাই ধর্ম

১৮৮০-এর দশকে বাহাইদের পদচারণা দিয়ে আফগানিস্তানে বাহাই বিশ্বাস শুরু হয়েছিল। তবে ১৯৩০ এর দশক পর্যন্ত কোনও বাহাই সেখানে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেননি।[১] ১৯৪৮ সালে কাবুলে প্রথমবারের মতো একটি বাহাই স্থানীয় আধ্যাত্মিক পরিষদ নির্বাচিত হয়েছিল[২] এবং কয়েক বছর পরে ১৯৬৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়।[৩] যদিও জনসংখ্যা সম্ভবত হাজারে পৌঁছেছিল, আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণ এবং তালেবানদের কঠোর শাসনের অধীনে বাহাইরা কোনও প্রতিষ্ঠানে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলে এবং অনেকে পালিয়ে যায়। ২০০৭ সালের একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান অনুসারে, আফগানিস্তানে বাহাইদের সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন।[৪] তবে অ্যাসোসিয়েশন অফ রিলিজিয়ন ডেটা আর্কাইভ অনুমান করেছে যে, ২০০৫ সালে আফগানিস্তানে প্রায় ১৫০০০ বাহাই ছিল।

প্রাথমিক কাল সম্পাদনা

বাহাই সূত্রে জানা যায়, বাহাউল্লাহর জীবদ্দশায় জামাল এফেন্দীই সম্ভবত ১৮৮০ এর দশকের শেষভাগে আফগানিস্তান অঞ্চল পরিদর্শনকারী প্রথম বাহাই ছিলেন।[১] আফগানিস্তানের বাইরে বাহাই হয়ে ওঠা প্রথম আফগান হলেন ড. বাহাউল্লাহ খান। তিনি তখন সমরকান্দে অবস্থান করছিলেন এবং মির্জা আবুল-ফাদাইলের মাধ্যমে বাহাই বিশ্বাসের কথা শুনেছিলেন।[৫]

বিশ্বযুদ্ধের পরে সম্পাদনা

১৯৬৩ সালের মধ্যে কাবুলের বিধানসভা প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা হারিয়েছিল। কাবুলের বিধানসভাটি পরবর্তীকালে ১৯৬৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয় এবং ১৯৭২ সালে প্রথম জাতীয় আধ্যাত্মিক পরিষদ নির্বাচিত হয়েছিল। ১৯৭০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আনুমানিক ৪০০ বাহাই ছিলো এবং ১৯৭৩ সালে চারটি সংসদীয় সম্মেলন হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Hassall, Graham। "Notes on Research Countries"Research notes। Asia Pacific Bahá'í Studies। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০০৯ 
  2. Cameron, G.; Momen, W. (১৯৯৬)। A Basic Bahá'í Chronology। Oxford, UK: George Ronald। পৃষ্ঠা 277, 391। আইএসবিএন 0-85398-404-2 
  3. "Bahá'í Faith in Afghanistan"। ১৬ জুলাই ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০০৭ 
  4. U.S. State Department। "Afghanistan – International Religious Freedom Report 2007"। The Office of Electronic Information, Bureau of Public Affairs। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০০৯ 
  5. "Archived copy"। ২০০৮-০৫-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-১৯