আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান
আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান (ইংরেজি: Reality television) বলতে এমন এক ধরনের টেলিভিশন অনুষ্ঠানকে বোঝায় যাতে আগে থেকে লিখিত চিত্রনাট্যনির্ভর নয়, বরং আপাতদৃষ্টিতে বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া ঘটনাপঞ্জিকে উপজীব্য করে তৈরি করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে এমন সব ব্যক্তিকে দেখানোহয়, যারা আপাতদৃষ্টিতে কোন পেশাদার বা পরিচিত মুখের কোনও অভিনেতা নন। প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানের সাথে এই আপাতবাস্তব টিভি অনুষ্ঠানগুলির পার্থক্য আছে কেন না এগুলিতে দর্শককে তথ্যদানের পরিবর্তে আবেগিক নাটকীয়তা, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে সংঘাত, অনুশোচনা, গোপন কথা, ইত্যাদি বিনোদনমূলক ব্যাপারগুলির ওপর জোর দেওয়া হয়। অনেক সময় এই অনুষ্ঠানগুলিতে ছোট ছোট খণ্ডাংশে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নিজেদের মনের কথা বলতে বা অভিমত দিতে দেখা যায়, আবার কোনও কোনও অনুষ্ঠানে প্রতি পর্বে একজন অংশগ্রহণকারীকে বহিস্কার করা হয়।
আপাতবাস্তব অনুষ্ঠান অনেক আগে থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত হলেও মূলত ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগে এবং ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে এগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ইতিহাসসম্পাদনা
অলিখিত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে চিত্রিত করা টেলিভিশন পদ্ধতিগুলি প্রায় টেলিভিশন মাধ্যমের মতোই পুরানো। প্রযোজক-আয়োজক অ্যালেন ফান্টের ক্যান্ডিড ক্যামেরায়, যেভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মজার, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি করা হয়েছিল এবং লুকানো ক্যামেরা দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছিল এবং যা প্রথম ১৯৪৮ সালে প্রচারিত হয়েছিল। একবিংশ শতাব্দীতে, ধারাবাহিকটিকে প্রায়শই আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠানের একটি আদিরূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। [১][২]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Clissold, B.(2004). "Candid Camera and the origins of reality TV: contextualizing a historical precedent". In Holmes, and Jermyn, D. (eds) Understanding Reality Television. London: Routledge, 33-53.
- ↑ McCarthy, A. (2009). "Stanley Milgram, Allen Funt and me: Postwar Social Science and the First Wave of Reality TV". In Ouellette, L., and Murray, S. (eds). Reality Television Culture. New York: NYU Press.