আপদনাশক
আপদনাশক বা পেস্টিসাইড বলতে এমন কিছু রাসায়নিক বা রাসায়নিক মিশ্রণ কে বোঝায় যা আপদ দমনে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুসারে, "অবাঞ্ছিত উদ্ভিদ বা প্রাণীকে দমন বা তাদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য যে দ্রব্য বা দ্রব্যের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয তা হচ্ছে আপদনাশক।"[১]
ইতিহাসসম্পাদনা
অ্যাকরিসাইড (acricides)সম্পাদনা
যে সকল রাসায়নিক প্রধানত একরিনা (acarina) বর্গের টিক ও মাইট নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয় তাদেরকে এ্যাকরিসাইট বলে। অ্যাকরিসাইট সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী ও দীর্ঘ রেসিডুয়াল ইফেক্ট সম্পন্ন তবে স্তন্যপায়ীর প্রতি নিম্ন মাত্রায় বিষাক্ততা প্রর্দশন করে। এগুলো যে কোন অ্যাকরিসাইট টিক বা মাইটের ডিম বা সদ্যোজাত নিম্ফের মৃত্যু ঘটায়। অন্যগুলো সকল জীবন দশার উপরই সক্রিয়। নিচে কয়েকটির উদাহরণ দেওয়া হল:
১.ডাইকোফেল: এর গঠন কাঠামো ডিডিটির সমরূপ। তবে ডিডিটির অনুতে যে একমাত্র ইথেন হাইড্রোজেন থাকে তা এতে হাইড্রোক্সিল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এই মাকড়নাশক ১৯৬২সালে প্রথম ব্যবহার করা হয়। এটি উদ্ভিদভোজী মাকড়ের সকল দশার উপর কার্যকারী। এটি সাধারণত ২০% ঘনীভূত অদ্রবরূপে পাওয়া যায়। ২.ক্লোরোবেনজিলেট: এটি ডিডিটির সাথে সাদৃশ্যযুক্ত একটি এস্টার তাই একে ইথাইল ডাইক্লোরোবেনজিলেট বলা হয়। এই মাকড়নাশক মৌমাছির শ্বাসনালীর মাকড় দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে বিক্ষেপণযোগ্য গুঁড়া এবং ঘনীভূত অদ্রব্যরূপে পাওয়া যায়। ৩.ক্লোরোফেনসন:এর রাসায়নিক নাম ক্লািরোফিনাইল ক্লোরোবেনজিন সালফোনেটে, এটি ১৯৪৯ সালে প্রথম ব্যবহ্ত হয়। এপট গাছের রস শোষনকারী মাকড়ের ডিম এবং অপরিনত দশায় কার্য করী। এটি দীর্ঘস্থায়ী ও সুস্থিত অবস্থায় থাকে। উষ্ণ রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীদের জন্য এর বিষক্রিয়া খুবই কম।এই মাকড়নাশক সাধারনত পানিতে আদ্রকারী গুঁড়া আকারে পাওয়া যায়।
আরো দেখুনসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ US Environmental (July 24, 2007), What is a pesticide? epa.gov. Retrieved on September 15, 2007.