আন্তর্জাতিক জলভাগ
আন্তর্জাতিক জলভাগ বা আন্তঃসীমানা জলভাগের শর্তাদি প্রয়োগ হয় সমুদ্র, বৃহৎ সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান, বদ্ধ বা আধা-বেষ্টিত আঞ্চলিক সমুদ্র ও মোহনা, নদী, হ্রদ, ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবস্থা (জলজ) এবং জলাভূমির মত যে কোনও ধরনের জলাভাগে (বা তাদের নিকাশী অববাহিকা)।[১]
আন্তর্জাতিক জল বা জলভাগ (উচ্চ সমুদ্র) কোনও রাষ্ট্রের এখতিয়ারে অন্তর্ভুক্ত নয়, যা 'মেরে লিবারাম' মতবাদের অধীনে পরিচিত। রাষ্ট্রগুলির মৎস্য শিকার, নৌযাত্রা, উড়ান, কেবল ও পাইপলাইন স্থাপনের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক গবেষণার অধিকার রয়েছে।
উচ্চ সমুদ্রের সম্মেলনটি ১৯৫৮ সালে স্বাক্ষরিত হয়, এই সম্মেলনে ৬৩ জন স্বাক্ষরকারী ছিলেন, উচ্চ সমুদ্রর অর্থ, "সমুদ্রের সমস্ত অংশ রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সমুদ্র বা অভ্যন্তরীণ জলভাগে অন্তর্ভুক্ত নয়" এবং "কোন রাষ্ট্র উচ্চ সমুদ্রের যে কোনও অংশকে তার সার্বভৌমত্বের অধীনে বৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে না"।[২] ১৯৮২ সালে স্বাক্ষরিত সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসঙ্ঘের কনভেনশনের (ইউএনসিএলওএস) ভিত্তি হিসাবে উচ্চ সমুদ্রের কনভেনশনটি ব্যবহৃত হয়েছিল, যেটি বেসলাইন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল (২৩০ মাইল; ৩৭০ কিমি) বিস্তৃত একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যেখানে উপকূলীয় রাষ্ট্রসমূহের জলভাগ ও সমুদ্র তলের পাশাপাশি সেখানে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে।[৩]
উচ্চ সমুদ্র গ্রহটির উপরিভাগের ৫০% অংশ ও সমুদ্রের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে।[৪]
আন্তর্জাতিক জলভাগের চুক্তি
সম্পাদনামহাকাশ (পৃথিবীর কক্ষপথ সহ; চাঁদ এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু ও তাদের কক্ষপথ) | |||||||
জাতীয় আকাশসীমা | রাষ্ট্রাধীন জলভাগের আকাশসীমা | সংলগ্ন অঞ্চলের আকাশসীমা[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | আন্তর্জাতিক আকাশসীমা | ||||
রাষ্ট্রাধীন ভূমিপৃষ্ঠ | অভ্যন্তরীণ জলভাগের পৃষ্ঠ | রাষ্ট্রাধীন জলভাগ পৃষ্ঠ | সংলগ্ন অঞ্চল পৃষ্ঠ | একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল পৃষ্ঠ | আন্তর্জাতিক জলভাগ পৃষ্ঠ[টীকা ১] | ||
অভ্যন্তরীণ জলভাগ | রাষ্ট্রাধীন জলভাগ | একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল | আন্তর্জাতিক জলভাগ[টীকা ১] | ||||
ভূগর্ভস্থ ভূমি অঞ্চল | মহীসোপান পৃষ্ঠ | বর্ধিত মহীসোপান পৃষ্ঠ | আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ পৃষ্ঠ | ||||
ভূগর্ভস্থ মহীসোপান | ভূগর্ভস্থ বর্ধিত মহীসোপান | ভূগর্ভস্থ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতলদেশ |
আন্তর্জাতিক জলভাগের প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনামিষ্টি জলের প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোলজিকাল প্রোগ্রাম (আইএইচপি)
- কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আন্তর্জাতিক যৌথ কমিশন (আইজেসি-সিএমআই)
- অববাহিকা সংগঠনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক (আইএনবিও)
- আন্তর্জাতিক শেয়ার্ড অ্যাকিফার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প
- মেক্সিকো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আন্তর্জাতিক জল সীমানা কমিশন (মার্কিন বিভাগ)
- আন্তর্জাতিক জল ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান (আইডাব্লুএমআই)
- আইইউসিএন জল ও প্রকৃতির উদ্যোগ (ডাব্লুআইএনআই)
ব্যাখ্যামূলক টিকাসমূহ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ International Waters ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে, United Nations Development Programme
- ↑ Text of CONVENTION ON THE HIGH SEAS ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে (U.N.T.S. No. 6465, vol. 450, pp. 82–103)
- ↑ "What is the EEZ"। National Ocean Service। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১।
- ↑ "THE HIGH SEAS"। Ocean Unite (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২১।