আঘাত (আক্রমণ)
অস্ত্র বা হাতিয়ার দিয়ে শারীরিকভাবে আক্রমণ অথবা মনুষ্যদেহ দ্বারা প্রতিপক্ষকে নির্জীব করাকে আঘাত বলে। বিভিন্ন ধরনের আঘাত আছে। মুষ্টিবদ্ধ হাতের আঘাতকে ঘুষি, পাদদেশ বা পা দিয়ে আঘাতকে লাথি, মাথা দিয়ে আঘাতকে ঢুস বলা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মার্শাল আর্টে আরও বিভিন্ন ধরনের আঘাত আছে।
প্রয়োগ
সম্পাদনাবিভিন্ন ধরনের খেলায় আঘাত হচ্ছে চাবিকাঠি যেমন মুষ্টিযুদ্ধ, কারাতে, মুই থাই, তায়কোয়ান্দ এবং ওয়িং চুন। কিছু মার্শাল আর্ট প্রতিপক্ষকে আঘাত করতে কব্জি, বাহু,ঘাড় এবং চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী খেলায় হাতের তালু,কনুই, হাঁটু এবং পাদদেশ বেবহার করে। অন্যান্য খেলা যেমন মল্লযুদ্ধে কুনো আঘাত করা হয়না বরং আঁকড়াইয়া ধরাই লক্ষ হিসেবে বিবেচিত।
প্রহার
সম্পাদনাবাহুর কিছু অংশের আঘাতকে প্রহার বলে। এটা সাধারণত কনুই,হাত,কনুই হতে কব্জি পর্যন্ত অংশ এবং কব্জির পৃষ্টদেশ।
ঘুষি
সম্পাদনামুষ্টিবদ্ধ হাতের আঙ্গুলের গাঁট দিয়ে(হাতুড়ি মুষ্টি বাতিত) আঘাতকে ঘুষি বলে।
হাতের তালু
সম্পাদনাহাতের তালু দিয়ে আঘাত করা হয়। সাধারণত তালুর শক্ত অংশ দিয়ে আঘাত করা হয়। বিস্ময়করভাবে কিছু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে হাতের তালুর আঘাত মুষ্টিবদ্ধ ঘুষির চেও বেশি কার্যকরী। তালুর আঘাত বেশি কার্যকরী কারণ এটি ঘুষির থেকেও খুব স্বাচ্ছন্দ্যভাবে আঘাত করা যায়। আঘাতের প্রচুর জায়গা আছে যেমন নাক, চোয়াল, কান, ঘাড়, কুঁচকি, বৃক্ক, গহ্বর।
ছোরা হস্ত
সম্পাদনাবৃদ্ধাঙ্গুলির অপর পার্শ্বের (কনিষ্ঠঙ্গুলির নিচের অংশ) আঘাত, যেটি কারাতেতে সুতো হিসেবে পরিচিত।
পৃষ্টদেশ হস্ত
সম্পাদনাবৃদ্ধাঙ্গুলি হাতের তালুর দিকে ভাঁজ করে, আঘাতের পদ্ধতিকে বলা হয় পৃষ্টদেশ হস্ত অথবা বিপরীত ছোরা হস্ত।
বর্শা বা বল্লম হস্ত
সম্পাদনাবর্শার মতো সোজা আঘাত।
হাতুড়ি মুষ্টি
সম্পাদনালক্ষ্যবস্তুতে হাতের পার্শ্বদেশ বা কব্জি দিয়ে হাতুড়ির মত মারাকে হাতুড়ি ঘুষি বলে।
আঙ্গুলের বর্ধিত অংশের আঘাত
সম্পাদনাআঙ্গুলের বর্ধিত অংশ দিয়ে আঘাত।
কনুইয়ের আঘাত
সম্পাদনাকনুইয়ের যে কোন ধরনের আঘাত।
লাথি
সম্পাদনাসম্মুখ লাথি
সম্পাদনাবুক পর্যন্ত হাঁটু ও পা উঠিয়ে সামনে লক্ষ্যে লাথিকে সম্মুখ লাথি বলে।
পার্শ্ব লাথি
সম্পাদনাসোজা দাঁড়ান অবস্থান থেকে পাশে লাথি মারাকে পার্শ্ব লাথি বলে।
ঘুরে বারি লাথি
সম্পাদনাএটাকে ঘুরে লাথিও বলা হয়।
হাঁটুর আঘাত
সম্পাদনাহাঁটু দিয়ে বা হাঁটুর হাড় দিয়ে অথবা হাঁটুর আশপাশের জায়গা দিয়ে আঘাত।