রোগবিস্তারবিজ্ঞানে আক্রমণ হার বলতে কোনও নির্দিষ্ট সময় পরিসরের ভেতরে একটি ঝুঁকিতে থাকা জনসমষ্টির যে অনুপাত রোগে আক্রান্ত হয়, তাকে বোঝায়।[১] এই রাশিটিকে অনুমানমূলক পূর্বাভাস প্রদানে ও প্রকৃত রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় ব্যবহার করা হয়। ঝুঁকিতে থাকা জনসমষ্টি বলতে সেই জনসমষ্টিকে বোঝায় যার আক্রমণকারী রোগ সংক্রামক জীবাণুটির বিরুদ্ধে কোনও অনাক্রম্যতা বা প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই; জীবাণুটি একটি নতুন রোগসংক্রামক জীবাণু হতে পারে, কিংবা একটি প্রতিষ্ঠিত জীবাণুও হতে পারে। আক্রমণ হার ব্যবহার করে কোনও মহামারীর সময় প্রত্যাশিত সংক্রমণের সংখ্যা পূর্বাভাস করা হয়। এভাবে চিকিৎসা সেবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং টীকা, ভাইরাসনিরোধক ঔষধ কিংবা ব্যাকটেরিয়া নিরোধক ঔষধ উৎপাদনের জন্য সম্পদ জড়ো করা সহজ হয়।[২] ঝুঁকিতে থাকা জনসমষ্টির মধ্যে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাকে ঐ জনসমষ্টির সমস্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে আক্রমণ হার নির্ণয় করা হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Principles of Epidemiology | Lesson 3 - Section 2"www.cdc.gov (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০ 
  2. Anthony N. Glaser. High-Yield Biostatistics. Williams & Wilkins. Baltimore. 1995

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা