আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল
আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল (秋田県? আকিতা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর তোওহোকু অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক বিভাগ।[২] এর রাজধানী আকিতা নগর।[৩]
আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল 秋田県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 秋田県 |
• রোমাজি | Akita-ken |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | তোওহোকু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | আকিতা নগর |
সরকার | |
• গভর্নর | নোরিহিসা সাতাকে |
আয়তন | |
• মোট | ১১,৬১২.২২ বর্গকিমি (৪,৪৮৩.৫০ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৬ষ্ঠ |
জনসংখ্যা (2015-05-01[১]) | |
• মোট | ১০,২৬,৯৮৩ |
• ক্রম | ৩৭তম |
• জনঘনত্ব | ৮৮/বর্গকিমি (২৩০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-05 |
জেলা | ৬ |
পৌরসভা | ২৫ |
ফুল | ফুকি (পিটাসাইটেস জাপোনিকাস) |
গাছ | আকিতা-সুগি (ক্রিপ্টোমেরিয়া জাপোনিকা) |
পাখি | তাম্র দোয়েল (ফেসিয়ানুস সোমেরিঙ্গিয়াই) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনাদুই প্রাচীন প্রদেশ দেওয়া ও মুৎসুর অংশবিশেষ নিয়ে বর্তমান আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়েছে।[৪] পূর্বে অবস্থিত ওওউ ও দেওয়া পর্বতমালা দ্বারা দেশের বাণিজ্য, রাজনীতি ও ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন আকিতা ৬০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মূলত শিকারী-জোগাড়ে ও যাযাবর জনগোষ্ঠীর বাসস্থান ছিল। বর্তমান আকিতা অঞ্চলের প্রথম ঐতিহাসিক উল্লেখ পাওয়া যায় ৬৫৮ খ্রিঃ, যখন হিরাফু বংশের আবে অথবা আবে নো হিরাফু বর্তমান আকিতা ও নোশিরো নগর অঞ্চলে স্থানীয় এযো উপজাতির উপর প্রভুত্ব কায়েম করেন। তৎকালীন কোশি প্রদেশের শাসক হিরাফু মোগামি নদীর পাড়ে এক দুর্গ নির্মাণ করে এখানে জাপানি জাতির প্রথম জনপদ গড়ে তোলেন।
৭৩৩ খ্রিঃ বর্তমান আকিতা নগরের তাকাশিমিযু অংশে একটি নতুন সামরিক ঘাঁটি নির্মিত হয় এবং উন্নত সড়ক ও পরিকাঠামো বানানো হতে থাকে। পরবর্তীতে এই ঘাঁটিরই নাম হয় আকিতা দুর্গ। হোনশু দ্বীপের উত্তর অংশ থেকে স্থানীয় এযো উপজাতিকে সমূলে উৎখাত করার সময় এই অঞ্চলকে জাপান সাম্রাজ্যের মূল ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আকিতা দুর্গের মালিকানা বহুবার হস্তান্তরিত হয়। তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্রের আমলে এটিকে সাতাকে পরিবারের জিম্মায় অর্পণ করা হয়। এই পরিবার ২৬০ বছর ধরে আকিতার শাসক থাকে এবং এদের হাতে আকিতার কৃষি ও খনিজ সম্পদ উত্তোলন ব্যবস্থার উন্নতি হয়। এখনও অবধি এই দুটি ক্ষেত্রই আকিতার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তোকুগাওয়া আমল পর্যন্ত অঞ্চলটি দেওয়া প্রদেশের অংশ হিসেবে গণ্য হত।
১৮৭১ খ্রিঃ মেইজি পুনর্গঠনের সময় দেওয়া প্রদেশের পুনর্বিন্যাস হয়। পুরোনো দাইমিয়ো খামারগুলি বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসনিক সংস্কার হয়। ফলে বর্তমান নাম সমেত আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের সৃষ্টি হয়।
হেইয়ান যুগের বিখ্যাত ওয়াকা কবি ওনো নো কোমাচি আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত য়ুযাওয়া নগরে জন্মেছিলেন বলে কথিত আছে।
ভূগোল
সম্পাদনাহোনশু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের পশ্চিমে রয়েছে জাপান সাগরের উপকূল এবং অন্য তিন দিকে রয়েছে অন্য চারটি প্রশাসনিক অঞ্চলের সীমানা: উত্তরে আওমোরি, পূর্বে ইওয়াতে, দক্ষিণ-পূর্বে মিয়াগি এবং দক্ষিণে য়ামাগাতা।
আকিতা আয়তাকার; এর বিস্তৃতি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৮১ কিমি এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১১১ কিমি। ওওউ পর্বত এর পূর্ব সীমা নির্দেশ করে এবং উচ্চতর দেওয়া পর্বত তার সমান্তরালভাবে কিছুটা পশ্চিমে অর্থাৎ প্রশাসনিক অঞ্চলের মাঝ বরাবর বিস্তৃত। আকিতার উপকূলের এক বিশেষ অংশ হল ওগা উপদ্বীপ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ National Census 2015 Preliminary Results[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 780, পৃ. 780,; "Tōhoku" in গুগল বইয়ে p. 970, পৃ. 970,.
- ↑ Nussbaum, "Akita" in গুগল বইয়ে p. 20, পৃ. 20,.
- ↑ Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 780, পৃ. 780,