আইচি প্রশাসনিক অঞ্চল
আইচি প্রশাসনিক অঞ্চল (愛知県? আইচি কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর চুউবু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী নাগোয়্যা নগর, যা চুউকিও মহানগর অঞ্চলের কেন্দ্র।[২]
আইচি প্রশাসনিক অঞ্চল 愛知県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 愛知県 |
• রোমাজি | Aichi-ken |
স্থানাঙ্ক: ৩৫°১০′৪৮.৬৮″ উত্তর ১৩৬°৫৪′৪৮.৬৩″ পূর্ব / ৩৫.১৮০১৮৮৯° উত্তর ১৩৬.৯১৩৫০৮৩° পূর্ব | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | চুউবু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | নাগোয়্যা |
আয়তন | |
• মোট | ৫,১৫৩.৮১ বর্গকিমি (১,৯৮৯.৯০ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২৮শ |
জনসংখ্যা (১লা মে, ২০১৬) | |
• মোট | ৭৪,৯৮,৪৮৫ |
• ক্রম | ৪র্থ |
• জনঘনত্ব | ১,৪৫৪.৯৪/বর্গকিমি (৩,৭৬৮.৩/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-23 |
জেলা | ৭ |
পৌরসভা | ৫৪ |
ফুল | কাকিৎসুবাতা (আইরিস লেভিগাটা) |
গাছ | হানানোকি (এসার পিন্যান্থাম) |
পাখি | স্কপ্স-প্যাঁচা (ওটাস স্কপ্স জাপোনিকাস) |
মাছ | কুরুমা চিংড়ি (পিনীয়াস জাপোনিকাস) |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
সম্পাদনামেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত অঞ্চলটি ওওয়ারি ও মিকাওয়া প্রদেশে বিভক্ত ছিল।[৩] ১৮৭১ খ্রিঃ ওওয়ারি ও মিকাওয়ার পুনর্বিন্যাস ঘটে। চিতা উপদ্বীপ বাদে ওওয়ারি প্রদেশের বাকি অংশের নাম হয় নাগোয়্যা প্রশাসনিক অঞ্চল, এবং চিতা উপদ্বীপ সমেত মিকাওয়ার নাম হয় নুকাতা প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৮৭২ খ্রিঃ এপ্রিলে নাগোয়্যা প্রশাসনিক অঞ্চলের নতুন নাম হয় আইচি, এবং ঐ বছরেরই ২৭শে নভেম্বর সেটি নুকাতা প্রশাসনিক অঞ্চলের সাথে যুক্ত হয়।
আইচি প্রশাসনিক আঞ্চলিক সরকারের মূল কার্যালয় নাগোয়্যায় অবস্থিত, যা ছিল পূর্বতন ওওয়ারি প্রদেশের রাজধানী।
এক্সপো ২০০৭ বিশ্বমেলা আয়োজিত হয়েছিল সেতো ও নাগাউকে নগরে।
ভূগোল
সম্পাদনাহোনশু দ্বীপের মাঝামাঝি অবস্থিত আইচি প্রশাসনিক অঞ্চলের দক্ষিণে আছে ইসে ও মিকাওয়া উপসাগর, পূর্বে শিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল, উত্তর-পূর্ব ও উত্তরে যথাক্রমে নাগানো ও গিফু প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পশ্চিমে মিয়ে প্রশাসনিক অঞ্চল। এর বিস্তার পূর্ব-পশ্চিমে ১০৬ কিমি এবং উত্তর-দক্ষিণে ৯৪ কিমি। নোওবি সমভূমির এক বিরাট অংশ আইচি প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্গত। এর উচ্চতম বিন্দু চাউসুয়্যামা পর্বত, যার উচ্চতা ১৪১৫ মিটার।
আইচির অধিকাংশ পশ্চিম ভাগ নাগোয়্যা নগর ও তার শহরতলি অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এটি জাপানের তৃতীয় বৃহত্তম নগর। পূর্বাংশে জনবসতি অপেক্ষাকৃত কম হলেও এখানেও বহু গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বর্তমান। ২০০৫ এর অক্টোবর থেকে ২০০৬ এর অক্টোবরের মধ্যবর্তী সময়ে আইচির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪%, যা টোকিও নগরের থেকেও বেশি।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী আইচি প্রশাসনিক অঞ্চলের ১৭ শতাংশ ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে আইচি কোওগেন, হিদা-কিসোগাওয়া ও মিকাওয়া ওয়ান জাতীয় উদ্যান; তেন্রিউ-ওকুমিকাওয়া উপ-জাতীয় উদ্যান এবং সাতটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৪]
পর্যটন
সম্পাদনাআইচির দ্রষ্টব্য স্থানগুলির মধ্যে পড়ে ইনুয়্যামার মেইজি মুরা উন্মুক্ত স্থাপত্য জাদুঘর, যেখানে জাপানের মেইজি ও তাইশো যুগের স্থাপত্য সংরক্ষণ করা হয়। অন্যান্য জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে আছে তোয়োতা নগরে তোয়োতা গাড়ি কারখানা ভ্রমণ, ইনুয়্যামার বানর উদ্যান এবং নাগোয়্যা, ওকাযাকি, তোয়োহাশি ও ইনুয়্যামার দুর্গ।
জাপানের পূর্ব উপকূল বরাবর অবস্থিত হলেও আইচি প্রশাসনিক অঞ্চলে শিযুওকার তুলনায় তেমন কোনও জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত নেই। আইচির পর্যটনকেন্দ্রগুলির অধিকাংশই মানুষের সৃষ্টি, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Aichi-ken" গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 11, পৃ. 11,; "Chūbu" গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 126, পৃ. 126,.
- ↑ Nussbaum, "Nagoya" গুগল বইয়ে p. 685, পৃ. 685,.
- ↑ Nussbaum, "Provinces and prefectures" গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 780, পৃ. 780,.
- ↑ "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (পিডিএফ)। Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১২।