অ্যাস্ট্রিড স্ট্যাম্প ফেডারসন

নারীবাদী

অ্যাস্ট্রিড স্ট্যাম্প ফেডারসন (১৮৫২–১৯৩০), সাধারণত অ্যাস্ট্রিড স্ট্যাম্প নামে পরিচিত, তার বোন রিগমোর স্ট্যাম্প বেন্ডিক্সের সাথে তিনি ছিলেন একজন ডেনমার্কের নারী অধিকার কর্মী এবং লেখক। স্ট্যাম্প ১৮৮৩ থেকে শুরু করে ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত নারী আন্দোলনে যোগদান করেন, তিনি ড্যানিশ উইমেন সোসাইটির বোর্ড সদস্য ছিলেন, তিনি নারীদের সমস্যা নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।[১][২]

অ্যাস্ট্রিড স্ট্যাম্প ফেডারসন
জন্ম(১৮৫২-১২-১৯)১৯ ডিসেম্বর ১৮৫২
মৃত্যু১৬ এপ্রিল ১৯৩০(1930-04-16) (বয়স ৭৭)
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
আত্মীয়রিগমোর স্ট্যাম্প বেন্ডিক্স (বোন)
ক্রিস্টিন স্ট্যাম্প (দাদি)
সম্মাননামেধায় স্বর্ণপদক, ১৯২২

জীবনী সম্পাদনা

১৮৫২ সালের ১ ডিসেম্বর ভারডিংবার্গের কাছে ক্রিস্টিনলুন্ডে জন্মগ্রহণকারী স্ট্যাম্প সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন ছিলেন। তিনি হেনরিক স্ট্যাম্পের কন্যা ছিলেন (১৮২১–১৮৯২), যিনি ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং হফজগারমেস্টার। তার পিতার পদমর্যাদার কারণে, তিনি ব্যারোনেস উপাধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছে তার দাদী ক্রিস্টিন স্ট্যাম্প এবং তার প্রপিতামহ জোনাস কলিন, যিনি ছিলেন হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের পিতৃপুরুষ। স্ট্যাম্পের ব্যক্তিগত শিক্ষক কোপেনহেগেনে তাকে লালন-পালন করেন এবং তার শিক্ষাগত ভ্রমণ তাকে একটি সংস্কৃত পটভূমি দিয়েছিল। তিনি সুইডীয়, ফরাসি এবং ইংরেজি শিখেছিলেন কিন্তু শ্লেসভিগ যুদ্ধের কারণে তিনি জার্মান ভাষা শিখতে পারেননি।

১৮৮১ সালে, তিনি গুস্তাভ হ্যাকন ভালদেমার ফেডারসনকে (১৮৪৮–১৯১২) বিয়ে করেন। তার কর্মজীবনের সময়, গুস্তাভ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সহকারী, রিংকজোবিংয়ের একজন আম্টম্যান এবং পরে লোল্যান্ড-ফ্যালস্টারের খ্রিস্টীয় ধর্মাধ্যক্ষের অনুগত ছিলেন। এই দম্পতিটির চারটি সন্তান ছিল, যথা: হ্যাকন (জন্ম ১৮৮৩), জোনা (১৮৮৪), গুদরুন (১৮৮৭) এবং ইনগ্রিড ক্রিস্টিন (১৮৮৮)।

স্ট্যাম্প পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন এবং অবিবাহিত নারীসহ পুরুষ ও নরীদের মধ্যে বৃহত্তর সমতার জন্য লড়াই করেছিলেন।[৩] ১৮৮২ সালের শুরুর দিকে তার স্বামী তার নারীবাদী স্বার্থ এবং ডেনিশ উইমেন্স সোসাইটির কোপেনহেগেন শাখার সদস্যপদকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি সফলভাবে সমিতির অবস্থানকে শক্তিশালী করতে এবং প্রদেশগুলিতে তার প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। ১৮৮৩ সালের এপ্রিল মাসে, তিনি উইমেন্স সোসাইটি বোর্ডের সদস্য হন, তিনি ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যদিও তিনি ১৯০৩ সালে বোর্ডে পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি ১৯১৪ সালে কোপেনহেগেনে নারীদের অধিকার নিয়ে প্রথম নর্ডিক সভায় সভাপতিত্ব করেন।[৪][৫][৬]

স্ট্যাম্প ১৯২২ সালে তার ৭০ তম জন্মদিনে গোল্ড মেডেল অফ মেরিট পেয়েছিলেন।[৫] ১৯৩০ সালের ১ এপ্রিল তিনি কোপেনহেগেনে মারা যান। তাকে জংশোভেড সমাধিক্ষেত্রে সমাধিস্থ করা হয়েছিল, যদিও তার সমাধিটি এখন আর নেই।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Stampe, Astrid (১৮৮৭)। Kvindesagen (ডেনীয় ভাষায়)। 
  2. Feddersen, Astrid Stampe (১৮৮৮)। Kan kvindesagen og sædelighedssagen skilles ad? (ডেনীয় ভাষায়)। 
  3. Lundqvist, Dr Åsa; Fink, Dr Janet (২০১২-১২-২৮)। Changing Relations of Welfare: Family, Gender and Migration in Britain and Scandinavia (ইংরেজি ভাষায়)। Ashgate Publishing, Ltd.। আইএসবিএন 978-1-4094-9227-6 
  4. Melby, Kari; Wetterberg, Christina Carlsson; Ravn, Anna-Birte (২০০৯)। Gender Equality and Welfare Politics in Scandinavia: The Limits of Political Ambition? (ইংরেজি ভাষায়)। Policy Press। আইএসবিএন 978-1-84742-465-5 
  5. "133 (Salmonsens konversationsleksikon / Anden Udgave / Bind XXII: Spekulation—Søøre)"runeberg.org (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৮ 
  6. "Astrid Stampe | lex.dk"Dansk Biografisk Leksikon (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৮ 
  7. "Astrid Stampe"gravsted.dk। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৮