অ্যাস্ট্রিড বার্গেস-ফ্রিসবি

ফরাসি অভিনেত্রী

অ্যাস্ট্রিড বার্গেস-ফ্রিসবি (জন্ম ২৬ মে ১৯৮৬, বার্সেলোনা) একজন ফরাসী-স্পেনীয় অভিনেত্রী ও মডেল।[১] তিনি দ্য সি ওয়াল চলচ্চিত্রে সুজানা, পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডসে সিরিনা এবং আই ওরিজিনসে সোফি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি ২০০৯ প্রিক্স সুজানা বিয়াশেটি এবং ২০১১ কান চলচ্চিত্র উৎসবে বর্ষসেরা নারী উদীয়মান বিভাগে ট্রোফি চোপার্ড পুরস্কার গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে রোমে ডেবিড ডি দোনাতেলোতে মনোনয়ন পান।

অ্যাস্ট্রিড বার্গেস-ফ্রিসবি
২০১১ সালের ১৮ই জুন বার্গেস-ফ্রিসবি
জন্ম (1986-05-26) ২৬ মে ১৯৮৬ (বয়স ৩৭)
জাতীয়তা
  • ফরাসী
  • স্পেনীয়
পেশা
  • অভিনেত্রী
  • মডেল
কর্মজীবন২০০৭–বর্তমান

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

অ্যাস্ট্রিড বার্গেস-ফ্রিসবি স্পেনের বার্সেলোনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন কাতালোনিয় এবং তার মা ফরাসী-মার্কিন নাগরিক। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ২ বছর বয়সে তার বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর ৫ বছর বয়সে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে চলে যান। তিনি লা রোচেলের নিকট একটি মফস্বলে বেড়ে ওঠেন, যেখানে তিনি শখের বশে স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অভিনয় করতেন। কিন্তু তার বসবাসের স্থান ও চলচ্চিত্র শিল্পের বৈপরীত্যের কারণে তিনি অভিনয়কে কখনই সম্ভাব্য পেশা হিসেবে দেখতেন না।[২] তার মতে অভিনয় তখন "পেশা নয়; বরং অনেকটা অবাস্তব" ছিল। [৩] পরে তার বাবা ডমিনিকান রিপাবলিক স্থানান্তরিত হন, যেখানে ফ্রিসবি ওয়েট্রেস হিসেবে কাজ করে পাঁচটি গ্রীষ্মকাল অতিবাহিত করেন। ১৭ বছর বয়সে তিনি অসটিওপ্যাথিতে তার পেশাজীবন গড়ে তোলার জন্য একাই প্যারিসে চলে আসেন, কিন্তু কারও সাথে পরিচিত না হয়ে তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। এর অল্প কিছুদিন ৪৬ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, তিনি বলেন তিনি অনুধাবন করেছিলেন জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এবং তার সত্যিকারের লক্ষ্য হলো অভিনয় করা। স্নাতক হওয়ার পর তিনি সোজা অভিনয় স্কুলে চলে যান। তিনি কাতালোনিয়, স্পেনীয় ও ফরাসি ভাষায় বেশ দক্ষ ছিলেন। পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ানের জন্য তিনি ইংরেজি শেখা শুরু করেন।[৪]

চলচ্চিত্র তালিকা সম্পাদনা

বছর শিরোনাম ভূমিকা মন্তব্য
২০০৭ সুর লে ফিল মারি সার্টসিয়ান টেলিভিশন ধারাবাহিক; ৩ পর্ব
২০০৭ ডিবাইন এমিলি মারকুইস ডি বুফলার্স টেলিভিশন চলচ্চিত্র
২০০৮ ইলিয়েস এট মোই তরুণী ইসাবেল টেলিভিশন মিনি-ধারাবাহিক
২০০৮ ইকাস জিল মেসন মঞ্চ
২০০৮ দ্য সি ওয়াল সুজানা উন বারেজ কন্ট্রে লে প্যাসিফিকুই নামেও পরিচিত
২০০৯ লা প্রিমিয়েরে ইটোইলি জুলিয়েট
২০০৯ এক্সটেস জিয়ান্নি
২০০৯ লা রিইনি মোরতে দ্য ইনফানটা টেলিভিশন চলচ্চিত্র
২০১০ ব্রুস. এল ডিসাফিও গ্লোরিয়া
২০১১ দ্য ওয়েল ডিগার'স ডটার প্যাট্রিশিয়া অ্যামোরেটি দ্য ওয়েল ডিগার'স ডটার নামেও পরিচিত
২০১১ পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস সিরিন
২০১২ এল সেক্সো ডি লস এঞ্জেলস কার্লা ইংরেজি নাম সেক্স অব এঞ্জেলস
২০১৩ জুলিয়েট জুলিয়েট কার্সেনটি
২০১৪ আই ওরিজিনস সোফি
২০১৫ আলাস্কা নাদিন সেরা অভিনেত্রী বিভাগে ডেভিড ডি দোনাতেলোর জন্য মনোনিত
২০১৭ কিং আর্থার: লেজেন্ড অব দ্য সোর্ড জাদুকরী

পেশাজীবন সম্পাদনা

২০০৭ সালে ফরাসী টেলিভিশনের মাধ্যমে তার অভিনয়ে অভিষেক ঘটে।[৫] ২০০৮ সালে দ্য সি ওয়াল চলচিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচিত্রে তার অভিষেক হয়। She began modelling in 2010, fronting French Connection's spring/summer and autumn/winter campaigns.[৬]

বার্গেস-ফ্রিসবির ২০১১ সালের চলচ্চিত্র পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান: অন স্ট্রেঞ্জার টাইডস-এ জলপরি সিরিন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার ইংরেজি ভাষার চলচিত্রে অভিষেক হয়।[৫][৭] after a whirlwind of auditions in France, Hollywood, and the UK.[৮] ? [৪] হাওয়াইয়ে দৃশ্যধারণের সময় ত্বককে pale রাখার জন্য তার বাইরে যাওয়া নিষেধ ছিল।[৯]

বার্গেস-ফ্রিসবি এছাড়াও স্পেনীয় চলচ্চিত্র এল সেক্সো ডি লস এঞ্জেলস চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। She also played the titular role in the coming-of-age French film Juliette. এটির পর তাকে তার দ্বিতীয় ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র আই ওরিজিনসে সোফি চরিত্রে দেখা যায়।

বার্গেস-ফ্রিসবি আলাস্কা (২০১৫) চলচ্চিত্রের জন্য ইতালিয় ভাষা শেখা শুরু করেন। ২০১৭ সালে তিনি কিং আর্থার: লেজেন্ড অব দ্য সোর্ড চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন।

বার্গেস-ফ্রিসবি বর্তমানে চ্যানেলের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bergès-Frisbey, Àstrid। "Interview: Astrid Berges-Frisbey – Pirates of the Caribbean: On Stranger Tides"। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪I have two nationalities and I speak both languages. 
  2. "Tommy2.net" 
  3. "Promesa cumplida - S Moda EL PAÍS"। ২৬ নভেম্বর ২০১১। ৩১ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৯ 
  4. Singer, Leigh (১৭ মে ২০১১)। "Pirates of the Caribbean: Astrid Berges-Frisbey Interview"। IGN। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১১ 
  5. Green, Emily (২০ মার্চ ২০১১)। "French Newcomer Dives Into the Fourth 'Pirates' Film"Daily Mail। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১১ 
  6. Pierce, Lisa (২৬ মে ২০১০)। "French Connection model to appear in Pirates of the Caribbean"PRWeb। ১৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১১ 
  7. "Àstrid Bergès-Frisbey Picked for Pirates of the Caribbean"Comingsoon.net। ১৫ এপ্রিল ২০১০। ১৮ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১১ 
  8. Reynolds, Simon (৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "On Set: 'Pirates 4' – Astrid Berges-Frisbey"Digital Spy। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১১ 
  9. Barker, Lynn (১৬ মে ২০১১)। ""Pirates" Mermaid Astrid Berges-Frisbey"। Kidzworld.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১১ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা