অ্যালবাম
অ্যালবাম হল সিডি, লিপি , অডিও টেপ, বা অন্য কোন মাধ্যমে কতগুলো অডিও লিপির সংগ্রহকে একক অনুচ্ছেদে প্রকাশ। ২০ শতকের গোড়ার দিকে এর উন্নতি হয়,গ্রামোফোন নামে,যার গতি ছিল প্রতি মিনিটে ৭৮ টি ঘুর্নন। যা পরে ১৯৪৮ এ সালে ৩৩১⁄৩ ঘুর্ননে উন্নীত হয়। ভিনাইল LP লিপি এখনো প্রকাশ করা হয় যদিও সিডি ও এমপি৩ ধরন এখন সার্বজনিন। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ভিনাইল রেকর্ডের পাশাপাশি অডিও টেপ বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল।
একটি অ্যালবাম রেকর্ডিং স্টুডিওতে (নির্ধারিত বা ভ্রাম্যমাণ),কনসার্টে, বাড়ীতে,মাঠে, বা বিভিন্ন জায়গাতে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে । লিপিবদ্ধ করতে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক বছর ও লাগতে পারে। সাধারণত কতগুলো ক্ষুদ্র অংশকে আলাদাভাবে কয়েকবার চেষ্টার পরে লিপিবদ্ধ করা হয়, পরে মিশানো হয়। বারবার চেষ্টা ছাড়াই যে লিপি একবারেই তৈরি করা যায় তাকে “সরাসরি” বলা হয়,যা কিনা স্টুডিওতেও করা সম্ভব। স্টুডিও মূলত শব্দ শোষণ করে ,প্রতিধ্বনি কমিয়ে কয়েকটি চেষ্টা মিশাতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্য স্থানে যেমন কনসার্টের ভেন্যুতে এবং কিছু "লাইভ কক্ষ"এ ,প্রতিধ্বনি থাকে যা ‘সরাসরি’ শব্দ তৈরি করে। অধিকাংশ স্টুডিওতেই সম্পাদনার প্রাচুর্য ,শব্দের প্রভাব, কণ্ঠস্বর সমন্বয় ইত্যাদি সুবিধা থাকে। আধুনিক লিপিবদ্ধ করার প্রযুক্তি অনুসারে, সঙ্গীতশিল্পীদের পৃথক কক্ষে বা হেডফোন ব্যবহার করে অন্যান্য অংশ শুনতে শুনতে বিভিন্ন সময়ে লিপি সংগ্রহ করা যাবে,প্রতিটা অংশ আলাদা ট্রাক হিসেবে লিপির মাধ্যমে ।
অ্যালবাম প্রচ্ছদ এবং নিচের নথি ব্যবহার করা হয় এবং এ দিয়ে মাঝে মাঝে কিছু তথ্য দেয়া হয়।[১][২] যেমন লিপির বিশ্লেষণ, গীতি বা কাজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ঐতিহাসিক কালে অ্যালবাম শব্দটি বইরুপে কতগুলো পদের সংগ্রহ কে বোঝাত। সঙ্গীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যালবাম শব্দটি ১৯ শতকের শুরুর দিকে স্বরলিপির ছোট ছোট অংশের সংগ্রহকে বোঝাত। পরবর্তিতে বই আকারে বান্ডিল করা গ্রামোফোনের রেকর্ডকে বোঝাত (গ্রামোফোন রেকর্ড এর এক পাশে ৩.৫ মিনিটের শব্দ ধরতে পারত)। যখন দীর্ঘ সময় বাজানো গ্রামোফোন রেকর্ড আসল,এর একটি রেকর্ডে কতগুলো অংশের সংগ্রহকে বুঝাত। শব্দটি অন্যান্য মাধ্যমের ক্ষেত্রেও বিস্তৃত করা হয়েছে,যেমন সিডি,ছোট ডিস্ক,কপম্যাক্ট অডিও ক্যাসেট এবং ডিজিটাল এ্যালবাম প্রবর্তন করা হয়েছে।
ইতিহাস সম্পাদনা
১৯৪৮ এ কলাম্বিয়া রেকর্ডস দীর্ঘ সময়ের লিপি বা ৩৩১⁄৩ ঘুর্ননের মাইক্রগ্রোভ ভিনাইল লিপি চালু করে। যা অ্যালবামের জন্য লিপি শিল্পে আদর্শ ধরন হিসেবে এটি গৃহীত হয়েছে । এছাড়াও তুলনামূলক ক্ষুদ্র পরিমার্জনা এবং বহুমাত্রিক শব্দ করার ক্ষমতা এর পরবর্তি গুরুত্বপূর্ণ যোগ এর কারণে এটা ভিনাইল অ্যালবামের জন্য আদর্শ ধরনই থাকে। সঙ্গীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যালবাম শব্দটি ১৯ শতকের শুরুর দিকে স্বরলিপির ছোট ছোট অংশের সংগ্রহকে বোঝাত। পরবর্তিতে বই আকারে বান্ডিল করা গ্রামোফোনের রেকর্ডকে বোঝাত (গ্রামোফোন রেকর্ড এর এক পাশে ৩.৫ মিনিটের শব্দ ধরতে পারত)। যখন দীর্ঘ সময় বাজানো গ্রামোফোন রেকর্ড আসল,এর একটি রেকর্ডে কতগুল অংশের সংগ্রহকে বুঝাত।শব্দটি অন্যান্য রেকর্ডিং মিডিয়ার ক্ষেত্রেও বাড়ানো হয়েছে যেমন সিডি,মিনি ডিস্ক,কম্প্যাক্ট অডিও ক্যাসেট এবং পরিচিতির পর ডিজিটাল অ্যালবাম । অনেকে মনে করে কৌশলী বিক্রয়ের রীতির কারণে ২১ শতকে অ্যালবামের মৃত্যু হয়েছে।
ব্যাপ্তিসম্পাদনা
অ্যালবামে প্রয়োজন অনুসারে কম না বেশি ট্রাক থাকতে পারে, যুক্তরাজ্য অ্যালবাম তালিকা এর মানদন্ড অনুসারে ৪টি গান বা ২৫ মিনিটের বেশি চললে তাকে অ্যালবাম বলা যাবে।[৩] কখন ছোট অ্যালবামকে “ক্ষুদ্র অ্যালবাম” বা ইপি বলে। মাইক ওল্ডফিল্ডের টাবুলার বলস, অ্যামারক, হারজিস্ট রিজ অ্যালবামগুলো তে ৪টি গানেরও কম ছিল। অইভাবে শিল্পীর প্রতি কোন নিয়ম নেই যেমন পাইনহেড গানপাউডার তাদের ৩০ মিনিটের নিচের প্রকাশকে অ্যালবাম হিসেবে মনে করে।
যদি একটি অ্যালবামের ব্যাপ্তি অনেক লম্বা হয় এবং গ্রামোফোনের একটি রেকর্ডে না ধরে তবে দুটি রেকর্ডে দ্বি অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ করা যেতে পারে,যেখানে দুটি দীর্ঘ সময়ের ভিনাইল রেকর্ড বা সিডি একটি প্রচ্ছদে অথবা ত্রি অ্যালবাম তিনটি দীর্ঘ সময়ের ভিনাইল রেকর্ড বা সিডি ধারণ করে। লিপির শিল্পীর যদি ব্যাপক পরিচিতি না থাকলে, সুন্দর নকশার একটি বক্সে অনেকগুলো সিডিতে পুনঃপ্রকাশ করতে পারে অথবা পুর্বের অপ্রকাশিত লিপির সংকলনও একসাথে পুনঃপ্রকাশ করতে পারে। অনেকে একসাথে ৩টির বেশি সিডি বা দীর্ঘ সময়ের ভিনাইল রেকর্ডে নতুন লিপি প্রকাশ করে যা অ্যালবাম হিসেবেই গন্য হবে।
ট্রাকসম্পাদনা
অ্যালবামের অংশে থাকা সুর অথবা শব্দকে ট্রাক বলে,সাধারনত ১১ বা ১২ ট্রাক। একটি সুরের ট্রাক(সচরাচর একে ট্রাক বলা হয়) হল একক সঙ্গীত বা বাদ্যযন্ত্রের লিপি। জনপ্রিয় সুরের বেলায় ভিন্ন ট্রাকগুলো অ্যালবাম ট্রাক নামে পরিচিত হয়। এটি অন্যান্য মাধ্যমের বেলায় যেমন EP এবং এককের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যখন ভিনাইল লিপিই অডিও লিপির একমাত্র মাধ্যম ছিল তখন ট্রাকগুলো খাজ দেখে চেনা যেত এবং অনেক অ্যালবাম প্রচ্ছদে বা হাতায় প্রত্যেক পাশে ট্রাকের জন্য নাম্বার দেয়া থাকত।সিডিতে ট্রাকগুলি সূচি অনুযায়ী সাজানো থাকে যাতে নির্দিষ্ট ট্রাকে লাফ দিয়ে যাওয়া যায়। iTunes এর মত ডিজিটাল সুরের দোকানগুলোতে সঙ্গীত বলতে কন্ঠস্বরযুক্ত সুরকে বোঝায়।
বাড়তি ট্রাকসম্পাদনা
বাড়তি ট্রাক (একটি বোনাস কাটা বা বোনাস হিসাবে পরিচিত) হল অ্যালবামের অতিরিক্ত ট্রাক। এটা মূলত বাজারজাতের জন্য বিজ্ঞাপন বা অন্য কোন কারণে দেয়া হয়। পুরোন অ্যালবামের পুনঃপ্রকাশে একক ট্রাককে বাড়তি হিসেবে যুক্ত করা অসাধারণ কিছু নয়,যেখানে ঐ ট্রাকগুলো আসলে যুক্ত হয় নি। অনলাইন সঙ্গীত দোকানে ক্রেতাদের নিজেদের গান নির্বাচন করে তাদের নিজের অ্যালবাম তৈরি করার অনুমতি দেয়। বাড়তি ট্রাক ক্রেতা পুরো অ্যালবাম ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবেন, একজন শিল্পীর দুই একটি সঙ্গীত ক্রয়ের জন্য নয়। এটা ফ্রি নয়,মুলত এটা দেয়া হয় যাতে ক্রেতা পুরো অ্যালবাম কেনার অনুপ্রেরণা পায়। লুকান গানগুলির মধ্যে, বাড়তি ট্রাক, ট্রাকতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং বাড়তি ট্রাক ও অ্যালবাম ট্রাকের মধ্যে কোন শব্দহীন ফাক থাকে না।
লিপিবদ্ধকরণসম্পাদনা
অ্যালবাম বিষয়বস্তু সাধারণত একটি স্টুডিওতে বা সরাসরি কনসার্টে, যদিও এই ধরনের অন্য অবস্থানে যেমন বাড়ীতে[৪][৫] (যেমন JJ Cale এর ওকি, ব্যাকের ওডেলি, ডেভিডগ্রে-এর হুয়াইট ল্যাডার, এবং অন্যান্য ) মাঠে যেমন আর্লি ব্লুস লিপিগুলো, জেলে বা মোবাইল লিপিকরন যন্ত্র যেমন রোলিং স্টোন মোবাইল স্টুডিও এ লিপিবদ্ধ করা যাবে।
যদিও স্টুডিওতে বিশাল একাধিক ট্রাক ব্যবস্থায় একই বাদ্যের একই লিপি বার অনেকবার চেষ্টা করা যেতে পারে, কিছু লিপি সরাসরি সম্প্রচারের অনুভূতি এবং শক্তি পাওয়ার জন্য ‘সরাসরি’ লিপিবদ্ধ করা হয়। আসল অংশ যেমন ড্রাম এবং ছন্দের গীটারের সরাসরি লিপিবদ্ধ করা হয় , যেখানে পরে কন্ঠস্বর এবং একক যুক্ত করা হয়। স্টুডিওর লিপিবদ্ধকরণে বিভিন্ন সুবিধায় মেশানো ও আয়ত্ত করা যায়।
অডিও এর ধরনসম্পাদনা
ভিনাইল লিপিসম্পাদনা
দীর্ঘ সময়ের ভিনাইল লিপির দুইপাশে পুরো অ্যালবাম থাকে। রক বা পপ অ্যালবামে ট্রাক বাণিজ্যিক একক হিসেবে অ্যালবামের বিশেষ স্থানে থাকে। বাল্লাড অনুসারে ২য় ও ৩য় একক এক পাশে থাকে। ১ম এককে অন্য পাশে থাকে। পুরোনো অনেক একক অ্যালবামে আসে নি,কিন্তু অন্যগুলো একটি অ্যালবামের অংশ হিসেবে পরবর্তিতে প্রকাশ পায়।এখন অনেক বাণিজ্যিক সুরের অ্যালবামের একটি বা কিছু ট্রাক আগেই রেডিও, টিভি বা ইন্টারনেটে আগেই অ্যালবামের প্রচারের জন্য প্রকাশ পায়।পুরোনো ট্রাকের সংকলন ও প্রকাশ পায় যা আগে কখন প্রকাশিত হয় নি।
রেকর্ড পরিবর্তন কারক অনুসারে অ্যালবাম সাজানো হয়। দুই রেকর্ড সেটের ক্ষেত্রে ১ও৪ নং পাশ একটি রেকর্ডে এবং ২ও৩ নং পাশ অন্যটায়। স্বয়ংক্রিয় রেকর্ড পরিবর্তক এ ১নং পাশ উপরে এবং ২ নং পাশে নিচে দিলে ১নং পাশ বাজবে।বাজা শেষ হলে উল্টে ২নং পাশ বাজবে।দুইপাশই বাজানো শেষ হলে ব্যবহারকারী তুলে রেকর্ড দুল্টি উল্টে দেন। ফলে ৩ ও ৪ নং পাশ বাজে। রেকর্ড পরিবর্তক LP এর যুগে অনেক বছর ব্যবহৃত হয়। যা এখন আর হয়ই না।
৮ ট্রাকের টেপসম্পাদনা
৮ট্রাক টেপ(আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেরিও 8: সাধারণভাবে আট ট্র্যাক কার্টিজ, আট ট্র্যাক টেপ, বা কেবল আট ট্র্যাক হিসাবে পরিচিত) হল চুম্বকীয় শব্দ লিপির প্রযুক্তি ১৯৬০এর মাঝ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় ছিল যখন কম্প্যাক্ট ক্যাসেট এর প্রচলন কমে যাওয়ার পর।এই ধরন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে,যুক্তরাজ্য,কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রযুক্তি অপ্রচলিত বলে গন্য করা হত।
লিয়ার জেট কর্পোরেশনের বিল লিয়ারের এমপেক্স, ফোর্ড মটর কোম্পানি, জেনারেল মটরস, মটোরলা, এবং আরসিএ এর সাহচার্যে স্টেরিও ৮ তৈরি হয় ১৯৬৪ সালে। পরবর্তিতে স্টেরিও-পাক ৪ট্রাকের কার্টিজ তৈরি করেন Earl "Madman" Muntz। পরে ৪ চ্যানেলের শব্দের ধরন বের করে আরসিএ যা কোয়াড ৮ এবং পরে কিউ ৮ পরিচিতি পায়।
কম্প্যাক্ট ক্যাসেটসম্পাদনা
১৯৭০ থেকে ১৯৯০ এ সুরের পূর্ব লিপি দেয়ার জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল কম্প্যাক্ট ক্যাসেট। ১৯৬৩ এর আগস্টে Philips সর্বপ্রথম প্রটোটাইপ হিসেবে কম্প্যাক্ট ক্যাসেট পরিচিত করায়। ১৯৮০তে সনির ওয়াকম্যানের আবির্ভাবের পর এটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। কারণ ওয়াকম্যান ছিল সহজে বহনযোগ্য এবং এতে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যেত। কম্প্যাক্ট ক্যাসেট এ শ্রোতার পছন্দসই গানের সংকলনের মিশ্রটেপ তৈরি করা যেত। বাণিজ্যিক বিক্রির জন্য দুইপাশের চুম্বকীয় টেপ ব্যবহার করা হত। "A" এবং "B" দুই পাশেই সুর লিপিবদ্ধ করা হয় এবং পাশ ঘুরিয়ে টেপ বাজাতে হবে। কম্প্যাক্ট ক্যাসেট খসড়া লিপির জন্যও সুরকারদের কাছে জনপ্রিয় ছিল।১৯৯০ এর দিকে সিডি আসার পর কম্প্যাক্ট ক্যাসেট বাজারজাত কমতে থাকে। তবে এখন এটা স্বনির্ভর সুরকাররা ব্যবহার করেন কারণ এটা ইন্টারনেটে ভাগ করা যায় না।
সিডিসম্পাদনা
সিডি মূলত ভিনাইল রেকর্ড ও ক্যাসেটের পরিবর্তে সুরের অ্যালবামের বাণিজ্যিক বণ্টনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ২০০১ থেকে ২০০৯ এ iPod এর মত এমপি৩ প্লেয়ারের আবির্ভাব ও সুর নামানোর পরিচিতির পর যুক্তরাষ্ট্রে অ্যালবাম বিক্রি ৫৪.৬% কমে যায়। সিডি হল ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষন যন্ত্র যা ডিজিটাল লিপিবদ্ধের প্রযুক্তি অনুসারে সুর লিপি ও চলানোর সুবিধা দিয়ে থাকে।
এমপি৩ অ্যালবাম এবং অনুরূপসম্পাদনা
এমপি৩ অডিও ধরন মূলত ডিজিটাল ভান্ডারের ধারণাকে উন্নীত করেছে। আগে এমপিথ্রি অ্যালবাম ক্যাসেট বা ভিনাইল রেকর্ড থেকে রেকর্ড করা হত,অনেক সময় সিডিতেও করা হত।
এমপি৩ অ্যালবামে শুধু এমপি৩ই থাকবে এমন কোন কথা নেই। এতে FLAC এবং WAV এর মত উচ্চমানের ধরনও ব্যবহার করা যেতে পারে যা সিডিআর রোম, হার্ড ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ মেমরি (যেমন ইউএসবি, এমপি৩ প্লেয়ার, এসডি কার্ড) ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যাবে।
অ্যালবামের ধরনসম্পাদনা
স্টুডিওসম্পাদনা
অধিকাংশ অ্যালবামই স্টুডিও অ্যালবাম- লিপিকরনের স্টুডিওতে লিপি করা হয় যেখানে অ্যালবামের শব্দের উপর যন্ত্রপাতি দিয়ে যতটা সম্ভব তত্ত্বাবধান করা যায়। স্টুডিও অ্যালবামে বাহিরের শব্দ, প্রতিধ্বনি দূর করে। এতে উচ্চ সংবেদনশীল মাইক্রোফোন থাকে এবং শব্দ মেশানোর যন্ত্র থাকে। কিছু স্টুডিও তে গানের দলের প্রত্যেকে আলাদা কক্ষে তাদের নিজের অংশ পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করে(হেডফোনে সবারটা একত্রে শুনতে শুনতে)।
সরাসরিসম্পাদনা
একটি অ্যালবাম রেকর্ডিং স্টুডিওতে (নির্ধারিত বা ভ্রাম্যমাণ),কনসার্টে, বাড়ীতে,মাঠে, বা বিভিন্ন জায়গাতে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে । লিপিবদ্ধ করতে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক বছর ও লাগতে পারে। সাধারণত কতগুলো ক্ষুদ্র অংশকে আলাদাভাবে কয়েকবার চেষ্টার পরে লিপিবদ্ধ করা হয়, পরে মিশানো হয়।বারবার চেষ্টা ছাড়াই যে লিপি একবারেই তৈরি করা যায় তাকে “সরাসরি”বলা হয়,যা কিনা স্টুডিওতেও করা সম্ভব। স্টুডিও মূলত শব্দ শোষণ করে ,প্রতিধ্বনি কমিয়ে কয়েকটি চেষ্টা মিশাতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্য স্থানে যেমন কনসার্টের ভেন্যুতে এবং কিছু "লাইভ কক্ষ"এ ,যেখানে প্রতিধ্বনি থাকে যা ‘সরাসরি’ শব্দ তৈরি করে।
কনসার্ট বা মঞ্চ অনুষ্ঠান দুরবর্তি লিপিবদ্ধকরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে লিপিবদ্ধ করা হয়। একটি কনসার্টের লিপি বা একাধিক কনসার্টের লিপি একসাথে "সরাসরি" অ্যালবামে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে। এতে হাততালি,দর্শকদের কোলাহল,দুটি অংশের মধ্যে অভিনেতার মন্তব্য,তাৎক্ষনিক উদ্ভাবন ও আরো কিছু যোগ করা যেতে পারে। একাধিক ট্রাক লিপিকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে সরাসরি মঞ্চের শব্দ ব্যবস্থা থেকে( দর্শকের মাঝে মাইক্রোফোন রাখার থেকে ) এবং লিপির গুনাগুন বাড়াতে অনুষ্ঠানের পর আরও কিছু সংকলন এবং ইফেক্ট যোগ করতে পারে।হাসির অ্যালবাম,সরাসরি রেকর্ড করা হয় কারণ এতে দর্শকের প্রতিক্রিয়াি বলে দেয় কৌতুক অভিনেতা কতটুকু সফল হয়েছেন। দর্শকদের হাসির শব্দ যেভাবে বাজানো হয় সেইভাবে
২০০৬ এর নভেম্বরে Garth Brooks' Double Live সারা বিশ্বে ২১ মিলিয়ন প্রতিলিপি বিক্রি হয় যা বহুল বিক্রিত সরাসরি অ্যালবাম ছিল। রোলিং স্টোনের সর্বকালের সেরা ৫০০ অ্যালবাম এর ১৮টি অ্যালবাম ছিল সরাসরি অ্যালবাম।
এককসম্পাদনা
জনপ্রিয় গানের ক্ষেত্রে, একটি গানের দলের একজনের নামে বা নিরপেক্ষ একজন শিল্পীর অ্যালবামই হল একক অ্যালবাম। যদিও এতে দলের দুই একজন বা সবাই অংশ নিতে পারে। ১৯৪০ এর শেষে একক অ্যালবাম পরিচিতি পায়। ১৯৪৭ এ বিলবোর্ড ম্যাগাজিন একটি প্রবন্ধে ঘোষণা করে মার্গারেট হুইটিং ফ্র্যাং ডি ভলিউম এর সাথে তার প্রথম একক অ্যালবাম বের করবে ক্যাপিটাল রেকর্ড থেকে। অ্যালবাম বের করার ক্ষেত্রে কোন আনুষ্ঠানিক নিয়ম নেই, একটি ব্যান্ডের সদস্য তার ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে অনুরোধ করতে পারেন, তখনও একটি দলের অ্যালবাম একক অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ পাবে। একজন সমালোচক লেখেন যে,কৌশলগত ভাবে রিংগো স্টারের ৩য় উদ্যোগ রিংগো একক অ্যালবাম নয় কারণ বাকি ৪ জন ও এই অ্যালবামে ছিলেন এবং তাদের দল ও অটুট ছিল।
একজন শিল্পী নানা কারণে একক অ্যালবাম বের করতে পারেন। অন্য সদস্যদের সাথে কাজ করা একজন একক শিল্পীর,দলের উপর পুরো ক্ষমতা থাকবে,সঙ্গতবাদক ভাড়া ও বাদ দিতে পারবে এবং বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব পাবে। শিল্পীর গান তৈরির ক্ষমতা থাকতেও পারে যা তার দলের শব্দের থেকে ব্যাপক ভিন্ন বা এমন যে সে নিজের অ্যালবামে অন্যের অংশগ্রহণ চায় না। দ্য হলিসের গ্রাহাম ন্যাশ তার একক অ্যালবাম তৈরির অভিজ্ঞতা থেকে বলেন," অ্যালবাম তৈরি করতে গিয়ে আমি একটি মজার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পার অরেছে যেখানে অন্যের কারণে গান সংগ্রহ করতে পারি নি।" এছাড়াও একটি একক অ্যালবাম গ্রুপ থেকে শিল্পীর প্রস্থানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
শ্রদ্ধা বা কভার অ্যালবামসম্পাদনা
একজন শ্রদ্ধা বা কভার অ্যালবাম গান বা যন্ত্রসঙ্গীত কম্পোজিশনের কভার সংস্করণের একটি সংকলন।এটার ধারণাটি হল, একটি একক শিল্পীর,রীতি বা সময়ের গানের কভারে বিভিন্ন শিল্পীদের জড়িত থাকতে পারে বা বিভিন্ন শিল্পীদের গান বা একটি একক শিল্পী, রীতি বা সময়ের গান একজন শিল্পী কভার করতে পারেন। কভার গানের যে কোন সংস্করনের একটি অ্যালবাম "শ্রদ্ধা" হিসাবে বিক্রী হয়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Album Cover Art Series"। Rock Art Picture Show। ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১২।
- ↑ "The history of the CD – The 'Jewel Case'"। Philips Research। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১২।
- ↑ "Rules For Chart Eligibility – Albums" (পিডিএফ)। The Official UK Charts Company। জানুয়ারি ২০০৭। ২৭ জুন ২০০৭ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ "JJ-Cale-Okie"। discogs.com।
- ↑ "JJ Cale Obituary"। telegraph.co.uk। ২৮ জুলাই ২০১৩।