অ্যামেরিকান ভিশনস

'অ্যামেরিকান ভিশনস: দা এপিক হিস্ট্রি অফ আর্ট ইন আমেরিকা' (ইংরেজি: American Visions: The Epic History of Art in America) হল শিল্প সমালোচক রবার্ট হিউজ কর্তৃক ১৯৯৭ সালে রচিত একটি বই। বইটিকে উপজীব্য করে পরবর্তীতে ছয় খণ্ডের ডকুমেন্টারি সিরিজ তৈরি করা হয়।

অ্যামেরিকান ভিশনস: দা এপিক হিস্ট্রি অফ আর্ট ইন আমেরিকা
প্রথম সংস্করণ
লেখকরবার্ট হিউজ
দেশইংল্যান্ড
ভাষাইংরেজি
বিষয়নন-ফিকশন, যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকলার ইতিহাস
প্রকাশিত১৯৯৭ (হার্ভিল প্রেস)
মিডিয়া ধরনমুদ্রিত (হার্ডকভার)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৬৩৫
আইএসবিএন৯৭৮-০৬৭৬৫২৭৮৪১
ওসিএলসি৯০১৫৬৮৩২৪

সূচিপত্র সম্পাদনা

ও মাই অ্যামেরিকা, মাই নিউ ফাউন্ডি ল্যান্ড (O My America, My New Founde Land)
দা রিপাবলিক অফ ভার্চু (The Republic of Virtue)
দা ওয়াইল্ডারনেস অ্যান্ড দা ওয়েস্ট (The Wilderness and the West)
অ্যামেরিকান রেনেসাঁ (American Renaissance)
দা গ্রিটি সিটিজ (The Gritty Cities)
আর্লি মডার্নিজম (Early Modernism)
স্ট্রিমলাইনস অ্যান্ড ব্রিডলিনেস (Streamlines and Breadlines)
দা এম্পায়ার অফ সাইনস (The Empire of Signs)
দা এজ অফ অ্যাংজাইটি (The Age of Anxiety)

[১]

পাঠোত্তর অভ্যর্থনা সম্পাদনা

বুকলিস্ট অ্যামেরিকান ভিশনকে "মার্কিন শিল্পকলার রোমাঞ্চকর ইতিহাস" অভিহিত করে লেখে, "মার্কিন শিল্পকলায় প্রকৃতি এবং নগরজীবনের প্রভাবের বিরোধাভাস জনাব হিউজের আখ্যায়িকার প্রধান অবলম্বন।"[২] চয়েস রিভিউ তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, "বইটিতে লেখকের নন্দনতাত্ত্বিক সংবেদনশীলতা (যা শিল্পকর্ম কেবল তার প্রায়োগিক গুণই নয়, অন্তর্দৃষ্টিয় এবং বৌদ্ধিক বৈশিষ্ট্য দ্বারা নিরীক্ষণ করে), শিল্পোপলব্ধির তীক্ষ্ণতা এবং সুদক্ষ লিখনশক্তি দারুণভাবে ফুটে উঠেছে"।[২]

কিরকাস রিভিউ বইটি সম্পর্কে তারকাযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একে "মার্কিন শিল্পকলার অসাধারণ সুখপাঠ্য আকরগ্রন্থ" বলে আখ্যায়িত করে লিখেছে, "বিগত তিন শতাব্দীর শিল্পকলা এবং শিল্পরীতি বিষয়ে তার (লেখকের) পর্যালোচনা উৎকৃষ্টরূপে জীবন্ত, বিস্তৃত এবং কৌতূহল-জাগানিয়া (যদিও শিল্পকলার সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে তিনি খানিকটা রূঢ়) এবং চূড়ান্তভাবে তার মন্দগ্রাহী দৃষ্টি প্রকাশিত হয়েছে অত্যন্ত স্পষ্টভাষণের সাথে। সুদৃঢ় কর্মশক্তি এবং তেজস্বী অভিযানসূচক বইটি একইসাথে সারগর্ভ এবং আলোকজ্জ্বল।"[৩]

পাবলিশার্স উইকলি জানায়, "কেবল নিজের বিষয় বা এর কাঙ্ক্ষিত দর্শককে আমোদ দেয়ার জন্য কোনো হালকা, বোধহীন জরিপ নয়; হিউজ বইটি লিখেছেন রাজনৈতিক ঠাটবিমুখী সমালোচকের তাচ্ছিল্যে, শিল্পকলার প্রায়োগিক গুরুত্ব সম্বন্ধে ঐতিহ্যবাদীর দৃষ্টিতে এবং কথিত অতীন্দ্রিয়বাদী জালিয়াতির বাস্তববাদী জবাব দিয়ে"। তারা মনে করে "বইটিতে সমসময়ের বর্ণনা হতাশাজনকভাবে মামুলি", শেষ করে এই বলে, "মার্কিন শিল্পকলার এই গতিময়, বুদ্ধিদীপ্ত এবং তীব্রভাবে স্বমত-আসক্ত বয়ান নিতান্তই বিপরীতমনস্ক পাঠককেও দারুণভাবে আকৃষ্ট করবে, অন্তত ঘৃণা করতে!"[৪]

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রতিক্রিয়ায় একে "মার্কিন শিল্পকলার আদ্যন্ত প্রয়োজনীয়, সুন্দর, উচ্ছ্বসিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত ইতিহাস" বলে উল্লেখ করে। তারা লেখে, "এই ঐতিহাসিক অভিযানে জনাব হিউজ তার আদর্শ শিল্প-সমালোচক চরিত্র অক্ষুণ্ন রেখেছেন এবং বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে"। পত্রিকাটি শেষ করেছে এই বলে, "এই বই দিয়ে জনাব হিউজ মার্কিন শিল্পকলাকে জনসাধারণের কাছে গ্রাহ্য এবং নিরাপদ করে তুলেছেন।"[৫]

এছাড়া বইটি অ্যামেরিকান ভিশন, লন্ডন রিভিউ অফ বুকস,[৬] দা জার্নাল অফ অ‌্যামেরিকান হিস্ট্রি[৭]এবং দা নিউইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস[৮] দ্বারাও সমাদৃিত হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "American visions : the epic history of art in America"worldcat.org (ইংরেজি ভাষায়)। ওসিএলসি। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "American visions : the epic history of art in America"www.buffalolib.org (ইংরেজি ভাষায়)। Buffalo and Erie County Public Library। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. "AMERICAN VISIONS: The Epic History of An in America"www.kirkusreviews.com (ইংরেজি ভাষায়)। Kirkus Media LLC। ১ মার্চ ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. "American Visions: The Epic History of Art in America"www.publishersweekly.com (ইংরেজি ভাষায়)। PWxyz LLC। ৩১ মার্চ ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  5. Lee Siegel (২৭ এপ্রিল ১৯৯৭)। "A critic interprets American art as a perpetual beginning"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. "Big Daddy"লন্ডন রিভিউ অফ বুকস (ইংরেজি ভাষায়)। এলআরবি লিমিটেড। ১৯ (২১): ১০, ১১। ৩০ অক্টোবর ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. "American Visions: The Epic History of Art in America. By Robert Hughes."দ্য জার্নাল অফ আমেরিকান হিস্টোরি (ইংরেজি ভাষায়)। ৮৫ (১): ২০০, ২০১। ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 
  8. Louis Menand (২৬ জুন ১৯৯৭)। "Made in the USA"দ্য নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস (ইংরেজি ভাষায়)। NYREV, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা