অরূপ চট্টোপাধ্যায়
অরূপ চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: ২৩ জুন ১৯৫৮) একজন ভারতীয়-বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক ও চিকিৎসক।[১] কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী চট্টোপাধ্যায় ১৯৮৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা। মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (মাদার টেরিজা: না বলা কথা) গ্রন্থের লেখক হিসেবে বিখ্যাত তিনি। এই গ্রন্থে মানবপ্রেম ও নিঃস্বার্থপরতার প্রতীকরূপে গণমাধ্যমে প্রচারিত ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক টেরিজার ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করেছেন।[২]
অরূপ চট্টোপাধ্যায় | |
|---|---|
 অরূপ চট্টোপ্যাধায়, ২০১৩ | |
| জন্ম | ২৩ জুন ১৯৫৮ কলকাতা, ভারত |
| পেশা | চিকিৎসক, লেখক |
| দাম্পত্য সঙ্গী | জেলফা কিটলার |
| সন্তান | ৩ |
চট্টোপাধ্যায়ের সমালোচনার দ্বারা ক্রিস্টোফার হিচেন্সের প্রামাণ্যচিত্র হেল'স এঞ্জেল (নরকের দেবদূত) অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি সম্পাদনা
মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০০২ সালে মাদার টেরিজা: দ্য ফাইনাল ভার্ডিক্ট নামে; ২০১৬ সালে যা পরবর্তীতে মাদার টেরিজা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি শিরোনামে প্রকাশিত হয়।[৩] ম্যালকম ম্যাগারিজের প্রামাণ্যচিত্র সামথিং বিউটিফুল ফর গড (১৯৬৯) পরবর্তী পর্যায়ের টেরিজাকে নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রচারণাকে চট্টোপাধ্যায় অলীক গল্প বলে আখ্যায়িত করেছেন। চট্টোপাধ্যায়ের মতে, টেরিজাকৃত মানবসেবার দাবিগুলো অতিরঞ্জিত; টেরিজা কয়েকশো দুঃস্থ মানুষকে সেবা করলে তার নোবেল ভাষণে দশ হাজার মানুষকে সেবাদানের দাবি করেছেন।[৪] টেরিজা মুমূর্ষু অসংখ্য হিন্দু ও মুসলমানকে বলপূর্বক তাদের মৃত্যুশয্যায় খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তর করেছেন।[৫][৬] নোবেল পুরস্কার পাওয়ার টেরিজা অনেক বড় বড় অনুদান পেয়েছেন যা তিনি তার সেবার মান উন্নতিকরণে ব্যয় করেননি।[৪][৭][৮] টেরিজার গর্ভপাতবিরোধিতার সমালোচনাও করেছেন চট্টোপাধ্যায়।[৯] বিশ্বের কুখ্যাত স্বৈরচারী একনায়ক, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ অনুদান গ্রহণের জন্যেও চট্টোপাধ্যায় টেরিজার সমালোচনা করেছেন।[১০] অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারত থেকে এখনো উপনিবেশী মানসিকতা দূর হয়নি, তাই সাধারণ মানুষ টেরিজার মতো সাদা মহিলাকে সমালোচনা করতে ভয় পায়।[১১]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Crawley, William (২৬ আগস্ট ২০১০)। "Mother Teresa: The Final Verdict?"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসে ২০১৫।
- ↑ "Saint of the gutters with friends in high places"। Times Higher Education। ১৬ মে ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১১।
- ↑ NAW Staff। "NAW Interview with Aroup Chatterjee"। New Asian Writing। ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ Dutta, Krishna। "Saint of the gutters with friends in high places"। Times Higher Education। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ AFP। "Mother Teresa's legacy under cloud as sainthood nears"। Daily Mail। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Stone, Michael। "Mother Teresa Brags About Coerced Deathbed Conversions"। Progressive Secular Humanist। Patheos। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Mathews Thomas, Prince। "Pointing Fingers At Mother Teresa's Heirs"। Forbes। Forbes Media LLC। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Cooke, Bill (২০০৪)। "Mother Teresa: The Final Verdict" (পিডিএফ): 54–55। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Sherwood, Harriet। "Mother Teresa to become saint amid criticism over miracles and missionaries"। The Guardian। Guardian News and Media। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Campbell, Mícheál। "It's a sin"। Socialist Review। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Was Mother Teresa a saint? In city she made synonymous with suffering, a renewed debate over her legacy"। Los Angeles Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০২। আইএসএসএন 0458-3035। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-১৮।