অম্লপ্রিয় (অণুজীব)

উচ্চ অম্লীয় পরিবেশে (২.০ পিএইচ বা তার নিচে) বেঁচে থাকতে সক্ষম অণুজীব

অম্লপ্রিয় অণুজীব বা অ্যাসিডোফাইল হলো সেই সমস্ত অণুজীব, যারা উচ্চ অম্লীয় পরিবেশে (সাধারণত ২.০ পিএইচ বা তারও নিচে) বেঁঁচে থাকতে পারে। জীববৃক্ষের বিভিন্ন শাখায় এদের পাওয়া যায়। এরা হতে পারে আর্কিব্যাকটেরিয়া, ব্যাকটেরিয়া প্রভৃতি আদিকোষী জীব,[] এমনকি সুকেন্দ্রিক জীবও অম্লপ্রিয় হতে পারে।

ব্যাকটেরিয়া

অম্লপ্রিয় অণুজীবের তালিকা

সম্পাদনা

অম্লপ্রিয় অণুজীবের অন্যতম হলো:

আর্কিয়া

সম্পাদনা

ব্যাকটেরিয়া

সম্পাদনা

প্রকৃতকোষী জীব

সম্পাদনা

অম্লীয় পরিবেশে অভিযোজন প্রক্রিয়া

সম্পাদনা

অধিকাংশ অম্লপ্রিয় অণুজীব সাইটোপ্লাজমে নিরপেক্ষ বা নিকট-নিরপেক্ষে পিএইচ বজায় রাখতে আন্তঃকোষীয় স্থান থেকে প্রোটন নির্গমনে অত্যন্ত দক্ষ বা অভিযোজিত। এই কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় আন্তঃকোষীয় প্রোটিনকে অভিযোজন প্রক্রিয়ার সাথে অম্লসহনীয় হতে অভিযোজনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। তবে, কিছু অম্লপ্রিয় জীব, যেমন অ্যাসিটোব্যাকটার অ্যাসিটি ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার সাইটোপ্লাজমে অম্লীয় পরিবেশ বজায় থাকায় জিনোমের প্রায় সকল প্রোটিনই অম্লসহনীয়রূপে অভিযোজিত হয়েছে।[] এই কারণে প্রোটিনের অম্লসহনীয় হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে অ্যাসিটিব্যাকটার অ্যাসিটিকে একটি মূল্যবান অণুজীব হিসেবে গণ্য করা হয়।

নিম্ন পিএইচ মাত্রা সহনীয় প্রোটিনের ওপর গবেষণা থেকে এই অভিযোজন প্রক্রিয়া সম্পর্কে খুবই সামান্য ধারণা পাওয়া গেছে। অধিকাংশ অম্লসহনীয় প্রোটিনে (যেমন পেপসিন বা সালফোলোবাস অ্যাসিডোক্যালডারিয়াস-এর সক্সএফ প্রোটিন) ধনাত্মক আধানের গঠন প্রক্রিয়ায় আবেশিত অম্লতার অত্যধিক প্রাচুর্য থাকে, যা নিম্ন পিএইচ মাত্রার অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধ করে। এছাড়া অন্যান্য প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে দ্রাবক অভিগম্যতার নিম্নমাত্রা এবং ধাতব কো-ফ্যাক্টর বন্ধন ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্রে, নোকার্ডিওপসিস অ্যালবা নামক জীবে অম্ল স্থিতিশীলতার জন্য এনএপিয়েজ প্রোটিন দ্বারা অম্লীয় অঞ্চল থেকে দূরবর্তী স্থানে অম্ল-সংবেদনশীল লবণ সেতু পুনর্স্থাপন করতে দেখা যায়। গতিশীল অম্লীয় স্থিতিশীলতার এই প্রক্রিয়ায় পিএইচের একটি বৃহৎ পরিসরে (অম্লীয় ও ক্ষারীয় উভয় পরিসরে) প্রোটিনের দীর্ঘায়ুতা বজায় থাকে।

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Becker, A., Types of Bacteria Living in Acidic pH". Retrieved 10 May 2017.
  2. Dworkin M, Falkow S (২০০৬)। The Prokaryotes: a handbook on the biology of bacteria 
  3. Singh OV (২০১২)। Extremophiles: Sustainable Resources and Biotechnological ImplicationsJohn Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 76–79। আইএসবিএন 978-1-118-10300-5 
  4. Quaiser, Achim; Ochsenreiter, Torsten; Lanz, Christa; Schuster, Stephan C.; Treusch, Alexander H.; Eck, Jürgen; Schleper, Christa (২৭ আগস্ট ২০০৩)। "Acidobacteria form a coherent but highly diverse group within the bacterial domain: evidence from environmental genomics"। Molecular Microbiology50 (2): 563–575। এসটুসিআইডি 25162803ডিওআই:10.1046/j.1365-2958.2003.03707.xপিএমআইডি 14617179 
  5. Pettipher GL; Osmundson ME; Murphy JM (মার্চ ১৯৯৭)। "Methods for the detection and enumeration of Alicyclobacillus acidoterrestris and investigation of growth and production of taint in fruit juice and fruit juice-containing drinks"। Letters in Applied Microbiology24 (3): 185–189। এসটুসিআইডি 6976998ডিওআই:10.1046/j.1472-765X.1997.00373.xপিএমআইডি 9080697 
  6. Rawlings, Douglas; Johnson, D. Barrie। "Eukaryotic Acidophiles"Encyclopedia of Life Support System (EOLSS)। Eolss Publishers। ২০১৪-১০-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  7. Menzel, U.; Gottschalk, G. (১৯৮৫)। "The internal pH of Acetobacterium wieringae and Acetobacter aceti during growth and production of acetic acid"Arch Microbiol143 (1): 47–51। এসটুসিআইডি 6477488ডিওআই:10.1007/BF00414767 

আরও পড়ুন

সম্পাদনা