অমৃতা রায় চৌধুরী হলেন একজন ভারতীয় সামাজিক কর্মী, যিনি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য কাজ করেন। তিনি ভারতের কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা সর্বোৎকৃষ্ট জ্ঞান সমিতি-র প্রতিষ্ঠাতা, যেটি বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে।

অমৃতা রায় চৌধুরী
জন্ম
জাতীয়তাভারতীয়
প্রতিষ্ঠানসর্বোৎকৃষ্ট জ্ঞান সমিতি

বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে কাজ সম্পাদনা

অমৃতা দৃশ্যমান প্রতিবন্ধকতাসহ শিশুদের পুনর্বাসনে ১৩ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছিলেন এবং তারপরে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে সেই বিষয়ে কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ৩,০০০ এরও বেশি শিশুর দৃশ্যমান পুনর্বাসন করেছেন এবং তাদের মূলধারার বিদ্যালয়ে ভর্তি করার জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে তাঁর নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্তৃক সরকারী এসএসকেএম হাসপাতালের নিউরো উন্নয়ন ক্লিনিকে দৃষ্টি বিভাগের বিকাশ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এটি তাঁকে বিশেষ অনুপ্রেরণা দিয়েছিল, অতঃপর তিনি বহু প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।[১]

বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কাজ সম্পাদনা

বিশেষ শিশুদের জন্য কাজ করার পরে অমৃতা "বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের" সাথে কাজ করার জন্য আরও একটি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে তারা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারে। কোন মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। তাঁর বেসরকারি সংস্থায়, তিনি দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই, বাবা মায়েরা যাঁরা তাঁদের শিশুদের প্রশিক্ষণ ক্লাসে নিয়ে আসছিলেন তাঁরা অমৃতার সাথে আলোচনা করেন যে, বাস্তব জীবনে চাকরির জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেও অনেক সময় সমিতিবদ্ধ চাকরিতে কিছু করার সুযোগ হয়ে উঠে না। অতঃপর তাঁদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ কি হবে এই বিষয়ে। অতঃপর অমৃতা এবং পাঁচ জন বাবা মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁদের কিছু করতে হবে। এর ফলস্বরূপ তাঁরা একটি অন্যরকম ক্যাফে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। যারা অটিজম, ডাউন সিনড্রোম বা অন্য কোনও স্নায়ুজনিত প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে এইরকম ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী "বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্ত বয়স্কদের" একটি দলকে তিনি প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে, তিনি তাদের কী পরতে হবে, কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে সেই বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে, ১৬ জনের একটি দল নির্বাচন করে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

বিশেষভাবে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্কদের কর্মসংস্থান সম্পাদনা

তারপরে তাদের রান্না করার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় এসেছিল, অমৃতা তাদের প্রশিক্ষণের জন্য পেশাদার রাঁধুনি পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ২০ জন শেফ নিজস্ব কারণ দেখিয়ে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যদিও শেষ পর্যন্ত দুই জন রাঁধুনি এগিয়ে এসেছিলেন এবং কীভাবে কাপ কেক থেকে শুরু করে সুস্বাদু কুকি বিস্কুট তৈরি করা যায় তা নিয়ে কয়েক মাস ধরে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ক্যাফেটি ২০১৮ সালে খোলা হয়েছিল। [২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Amrita Roy Chowdhury"India Autism Center [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "A special stop for breakfast"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২০