অক্সিজেন বিষাক্ততা
অক্সিজেন বিষাক্ততা হচ্ছে এমন কিছু ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়া যা অত্যধিক আংশিক চাপের উপস্থিতিতে অক্সিজেন শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করার ফলে সৃষ্টি হয়। সাধারণত ডুবুরী, অক্সিজেন গ্রহণরত অপূর্ণকালিক নবজাতক এবং অধিক চাপে অক্সিজেন থেরাপিতে থাকা ব্যক্তি এধরনের প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে থাকে। পূর্বে অক্সিজেন বিষাক্ততার ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাবকে 'পল বার্ট' Paul Bert প্রতিক্রিয়া এবং শ্বসনতন্ত্রের প্রভাবকে 'লরাইন স্মিথ' James Lorrain Smith প্রতিক্রিয়া বলা হত। তবে উওনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে গবেষকরা এর বর্ণনা দিতে সক্ষম হন।
প্রকারভেদ
সম্পাদনাশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব সৃষ্টির ভিত্তিতে অক্সিজেন বিষাক্ততাকে মোট ৩ ভাগে বিভক্ত করা হয়-
- কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রভাব
- শ্বসনতন্ত্রের প্রভাব এবং
- রেটিনোপ্যাথিক প্রভাব
লক্ষনসমূহ
সম্পাদনাসংস্পর্শের স্থায়ীত্য (মিনিট) | প্রতিক্রিয়ার লক্ষন |
---|---|
৯৬ | দীর্ঘকালীন চোখ-ধাধানো, পাকস্থলির পেশীতে আক্ষেপের ফলে তীব্র খেঁচুনিসহ বমি |
৬০-৬৯ | ঠোট এবং হাতে তীব্র কাঁপুনি, ইউফোরিয়া, বমি-বমি ভাব এবং মাথা ঘুরানো |
৩১-৩৫ | বমি-বমি ভাব, খেঁচুনি, ঠোট কাঁপা এবং মাথা ঘুরানো |
১৬-২০ | খেঁচুনি, মাথা ঘুরানো এবং ঠোটে তীব্র কাঁপুনি, শ্বাসকষ্ট |
৬-১০ | প্রচন্ড বমি-বমি ভাব, চোখ-ধাধানো, ঠোট কাঁপা, মাথা ঘুরানো, ডায়াফ্রামে সংকীর্ণতা |
প্রতিকার
সম্পাদনা- কৃত্রিম বায়ুরন্ধ্রের ব্যবহার
- শ্বাসনালি প্রসারক এবং শ্বসন্তন্ত্রের তল ব্রৃদ্ধিকারক
- ক্রায়ো সার্জারি, লেজার সার্জারি
- স্ক্লেরাল বাকলিং, ভিরেক্টমি