অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ
অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ (ওসিআইএস) ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে অবস্থিত ইসলাম ও মুসলিম সমাজের উন্নত অধ্যয়নের কেন্দ্র এবং একটি নিবন্ধিত শিক্ষামূলক দাতব্য সংস্থা। এর পৃষ্ঠপোষক হলেন ওয়েলস প্রিন্স । ২০১২ সালে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রতিষ্ঠানটিকে একটি রাজকীয় সনদ প্রদান করেন। কেন্দ্রের শাসন পরিচালনা করে বিশ্বের পণ্ডিত ও রাষ্ট্রনায়কদের নিয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড এবং কাউন্সিল দ্বারা মনোনীত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল। [১][২][৩]
কেন্দ্রটি বহু-বিষয়ক দৃষ্টিকোণ থেকে, ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতা এবং সমসাময়িক মুসলিম সমাজের সমস্ত দিকগুলি অধ্যয়নের জন্য উৎসর্গীকৃত৷ কেন্দ্রের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ এবং কলেজগুলোতে সক্রিয়। কেন্দ্রের স্কলারশিপ এবং ভিজিটিং ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অনেক ছাত্র ও সিনিয়র শিক্ষাবিদ বছরের পর বছর ধরে অক্সফোর্ডে আসেন। কেন্দ্র সমস্ত শিক্ষাবর্ষ জুড়ে বক্তৃতা, সেমিনার, কর্মশালা এবং সম্মেলন, প্রদর্শনী ও অন্যান্য উচ্চ শিক্ষায়তনিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৯৩ সালে প্রিন্স অফ ওয়েলসের কেন্দ্রীয় একটি অনুষ্ঠানে, যার উদ্বোধনী বক্তৃতা ছিল 'ইসলাম ও পশ্চিমাবিশ্ব' বিষয় নিয়ে, সেখানে অনেক বিশিষ্ট রাষ্ট্রনায়ক এবং পণ্ডিতরা বক্তৃতা দিয়েছেন। এই ধারাবাহিকের বক্তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মুসলিম বিশ্বের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পণ্ডিতগণ, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ, ইউনেস্কো এবং কমনওয়েলথ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থার মহাসচিবরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। [৪][৫][৬][৭][৮][৯][১০]
কেন্দ্রটি সেন্ট ক্রস রোডের একটি কাঠের কুঁড়েঘরে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে জর্জ স্ট্রিটে এর অফিস স্থানান্তরিত হয়। [১১] পরে এটি ২০১৬/২০১৭ শিক্ষাবর্ষে মিশরীয় স্থপতি আবদেল-ওয়াহেদ আল-ওয়াকিল, [১২] দ্বারা নকশা করা একটি নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। [১৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "A speech by HRH The Prince of Wales"। princeofwales.gov.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "About OCIS"। Oxford Centre for Islamic Studies। ২০০৮-১২-১৫। ২০০৭-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "HRH visits the Oxford Centre for Islamic Studies new building"। The Prince of Wales। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। ১৯ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৫।
- ↑ "Palestinian Ambassador Afif Safieh at OXCIS Palestinian-Israeli Relations: History is Still Undecided"। The Muslim Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ "Prince 'Abdul Mateen graces Sultan of Brunei Prize presentation ceremony | Borneo Bulletin Online" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ Binyon, Michael (২০১৮-০৩-০৩)। "Catholic Church sets out a vision for closer ties with Islam"। The Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0140-0460। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ "Dr Wan Azizah visits Oxford Centre for Islamic Studies"। Malay Mail (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ OTHMAN, ZAHARAH (২০১৮-০৯-২৩)। "Dr M to deliver major lecture on Islam at Oxford Centre for Islamic Studies"। NST।
- ↑ Devenport, Mark (২০১৮-০৯-১৩)। "Seeing the human side of a UN chief" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ "A royal relationship: Prince Andrew honours Sheikh Zayed at centenary event"। The National (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ "Prince Charles urges population to 'rediscover unity' as he opens Islamic centre"। Oxford Mail (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।
- ↑ "Abdel-Wahed El-Wakil or the Triumph of the Islamic Architectural Style"। Muslim Heritage। ২০০৯-১০-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৮।
- ↑ "£60m Islamic studies centre to open at last"। Oxford Mail (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১৮।